মেক্সিকো তাদের উত্তরের সীমান্তে ১০ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন করতে রাজি হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির ওপর নতুন শুল্ক আরোপ এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। মূলত অবৈধ মাদক, বিশেষ করে ফেন্টানিলের প্রবাহ ঠেকাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। খবর রয়টার্সের।

মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউম জানিয়েছেন, এই চুক্তির অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্র মেক্সিকোতে পাচার বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সোমবার এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।

সোমবার নতুন মার্কিন শুল্ক মেক্সিকো, চীন এবং কানাডার ওপর কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে ট্রাম্প ও শেইনবাউম ফোনে কথা বলেন। ট্রাম্প বলেছেন, এই এক মাসের স্থগিতাদেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো আরও আলোচনা চালিয়ে যাবে।

ট্রুথ সোশ্যাল-এ তিনি লিখেছেন, আমি প্রেসিডেন্ট শেইনবাউমের সঙ্গে এই আলোচনায় অংশ নিতে অপেক্ষা করছি। কারণ আমরা আমাদের দুই দেশের জন্য একটি চুক্তি করার চেষ্টা করছি।

এক সংবাদ সম্মেলনে শেইনবাউম বলেন, আমাদের সামনে এক মাস সময় আছে। এই সময় আমরা একে অপরকে বোঝাতে কাজ করব যে এটি সামনে এগিয়ে যাওয়ার ভালো উপায়।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্য আমদানিতে ২৫ শতাংশ করে এবং চীনের পণ্যে বর্তমান হারের অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। গত শনিবার তার দেওয়া এ–সংক্রান্ত একটি আদেশ মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। এখন মেক্সিকোর ওপর নতুন শুল্ক কার্যকর না হলেও কানাডা ও চীনের পণ্যে তা কার্যকর হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ল ককর ক র যকর র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

ক্রান্তিকালে বিসিবির প্রস্তুতির অভাব দেখছেন তামিম

জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের নির্ভরতার প্রতীক তামিম ইকবাল মনে করছেন, সাকিব-মুশফিক-রিয়াদদের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার জন্য আগেভাগে প্রস্তুত ছিল না বিসিবি। এই পরিস্থিতিতে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি), টাইগার্স ও ‘এ’ দলের কাঠামোতে আরও বেশি বিনিয়োগের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।

সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘পাঁচজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সরে গেছে, যাদের অভিজ্ঞতা ১৫-১৭ বছরের। তারা হাজারের বেশি ম্যাচ খেলেছে। এই মানের ক্রিকেটারদের বিদায়ে শূন্যতা আসবেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বোর্ড কি এই ক্রান্তিকালের জন্য প্রস্তুত ছিল?’

তামিমের মতে, জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই এখন ৭-১০ বছর ধরে খেলছেন। এই সময়টাতে তাদের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য বিকল্প খেলোয়াড় গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলকে যতটা সম্ভব সুযোগ-সুবিধা দিন, কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে এইচপি, টাইগার্স ও “এ” দলে বেশি ফোকাস করুন। এই জায়গাগুলোতে ভালো বিনিয়োগ না হলে জাতীয় দল সবসময় ধুঁকতেই থাকবে।’

তবে সামগ্রিকভাবে দেশের ক্রিকেট নিয়ে আশাবাদী তামিম। তার ভাষায়, ‘আমরা কখনোই তিন সংস্করণে একসঙ্গে ভালো করিনি। এই দলটাকেও যদি সময় দেওয়া হয়, তারা ঘুরে দাঁড়াবে।’

ভবিষ্যৎ তারকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তামিম বেশ কয়েকজনের নাম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘পেস বিভাগে তাসকিন আছে, নতুন নাহিদ রানা ভালো করছে। তাইজুল চমৎকার স্পিনার। হৃদয়, জাকের আলীরাও সম্ভাবনাময়। এদের মধ্য থেকেই কেউ কেউ বড় তারকা হয়ে উঠতে পারে।’

সবশেষে তিনি বোর্ডের প্রতি ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস দিন, বোঝান– তারা বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ