স্নাতক ভর্তিতে আর্থিক সহায়তার আবেদন শুরু বৃহস্পতিবার
Published: 5th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ভর্তিতে আর্থিক সহায়তা পেতে শিক্ষার্থীদের আবেদন শুরু হবে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) শুরু হয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তিচ্ছুরা ভর্তি সহায়তার আবেদন করতে পারবেন। উপজেলা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদেরকে এ সংক্রান্ত চিঠি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ভর্তিতে অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের এই আর্থিক সহায়তা দেবে প্রধান উপদেষ্টার শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ভর্তি সহায়তা পেতে শিক্ষার্থীকে নির্ধারিত লিংকে প্রবেশ করে (http://www.
প্রধান উপদেষ্টার শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ওয়েবসাইটের ভর্তি সহায়তা সেবা বক্সে আপলোড করা ফরম ডউনলোড ও প্রিন্ট করে শিক্ষার্থী যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হচ্ছে সে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা বিভাগীয় প্রধানের কাছ থেকে সুপারিশ নিয়ে আবেদন করতে হবে।
জানা গেছে, জাতীয় বেতন স্কেলে ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের সব কর্মচারীর সন্তানকে আবেদন পত্রের সঙ্গে অভিভাবকের অফিস প্রধানের দেওয়া বেতন গ্রেডের প্রত্যয়ন সংযুক্ত করতে হবে। অন্যান্য শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা বিভাগীয় প্রধানের দেয়া শিক্ষার্থীর বাবা-মা অভিভাবকের বাৎসরিক আয় দুই লাখ টাকার কম বলে প্রত্যয়ন সংযুক্ত করতে হবে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী, এতিম শিক্ষার্থী, ভূমিহীন পরিবারের সন্তান ও নদী ভাঙন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সন্তান, অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা সন্তানের সন্তানদের ভর্তি সহায়তা পেতে অগ্রাধিকার পাওয়ার জন্য প্রমাণপত্র সংযুক্ত করে আবেদন করতে হবে। ভর্তি সহায়তার আবেদনের সঙ্গে সব শিক্ষার্থীকে সর্বশেষ শ্রেণির পরীক্ষার সত্যায়িত নম্বরপত্র সংযুক্ত করতে হবে।
বিএইচ
উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: স য ক ত কর
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।