আওয়ামী লীগ আমলে ক্যাম্পাসে সহপাঠীদের মারধরসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) ২২ জন শিক্ষার্থীর শাস্তির মেয়াদ বাড়িয়ে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত করা হয়েছে। এর আগে গত বছরের ২৭ অক্টোবর তাদের ক্যাম্পাস থেকে সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়েছিল।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কাউন্সিল গঠিত আপিল বিভাগ গত মঙ্গলবার নতুন করে শাস্তি বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত নেয়। আজ বৃহস্পতিবার তা গণমাধ্যমের হাতে আসে। শাস্তিপ্রাপ্তরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, অক্টোবরে ৭৫ জনকে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। এরপর শাস্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ৪৭ জন শাস্তি কমানোর জন্য আপিল করেন। এ ছাড়া কয়েকজন অভিযুক্তের শাস্তি কম হয়েছে দাবি করে ভুক্তভোগী বাদীরাও আপিল করেন। একাডেমিক কাউন্সিলের আপিল বোর্ড শুনানি গ্রহণ করে পরবর্তী সময়ে ২৪ জনের শাস্তি কমিয়েছে। তাঁরা একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে তাঁরা আবাসিক সুবিধা পাবেন না। একজনকে পুরোপুরি ক্ষমা করা হয়েছে। তিনি একাডেমিক এবং আবাসন সুবিধাও পাবেন।

জসিম উদ্দিন আরও বলেন, ২২ জনের শাস্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাঁচ বছর শাস্তিপ্রাপ্তরা হলেন অভিজিত দাশ, আসেফ বিন তাকি ও রিয়াজুর ইসলাম। এ ছাড়া এক বছরের জন্য এক ছাত্রকে, দুই বছরের জন্য ১০ জনকে এবং তিন বছর পর্যন্ত বহিষ্কার করা হয়েছে আটজনকে। আগে তাদের সর্বোচ্চ দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এক ড ম ক র জন য র র জন বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

রপ্তানিকারকদের সুবিধা বাড়ল, বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব থেকে সোয়াপ করে টাকা তোলা যাবে

রপ্তানিকারকদের সুবিধা বাড়ল। এখন থেকে রপ্তানিকারকেরা নিজেদের বৈদেশিক মুদ্রা (এফসি) হিসাব থেকে সোয়াপের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন।

আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোকে ৩০ দিনের পুলে রক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রা এবং রপ্তানিকারকের রিটেনশন কোটা (ইআরকিউ) হিসাবের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রা-টাকা সোয়াপ চুক্তি করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সোয়াপ কী

সার্কুলার অনুসারে, আলোচ্য সোয়াপ চুক্তি বলতে একটি নির্দিষ্ট হারে ও মেয়াদে টাকার বিনিময়ে বৈদেশিক মুদ্রার স্পট ক্রয় এবং একই সঙ্গে একটি নির্ধারিত তারিখে পুনঃবিক্রয়ের ব্যবস্থাকে বোঝাবে। এ ক্ষেত্রে রপ্তানিকারকের নিজস্ব উৎসের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহৃত হবে। সোয়াপের মেয়াদ ইআরকিউ তহবিলের ব্যবহারযোগ্য মেয়াদের বেশি হতে পারবে না এবং ৩০ দিনের পুল তহবিলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০ দিন মেয়াদি সোয়াপ করা যাবে।

সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, সোয়াপের হার নির্ধারণে বাজারভিত্তিক বা খরচভিত্তিক সুদ বা মুনাফার পার্থক্য বিবেচনায় নেওয়া যাবে। আলোচ্য সোয়াপ লেনদেনকে ঋণ বা অর্থায়ন সুবিধা হিসেবে গণ্য করা হবে না। সোয়াপের মাধ্যমে প্রাপ্ত টাকা শুধু রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চলতি মূলধনের চাহিদা মেটাতে ব্যবহার করা যাবে। কোনো ফটকা উদ্দেশ্যে ওই অর্থ ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

শিল্প খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের এ উদ্যোগের কারণে রপ্তানিকারকদের স্বল্পমেয়াদি তারল্য চাপ কমাতে সহায়তা করবে। এতে প্রচলিত রপ্তানি ঋণের ওপর নির্ভর না করেও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চালাতে পারবেন। পাশাপাশি এটি বাজারভিত্তিক বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনাকেও উৎসাহিত করবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ