টেকনাফে মুক্তিপণ দিয়ে ফিরলেন অপহৃত ৫ যুবক
Published: 7th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড়ি এলাকায় জ্বালানি কাঠ সংগ্রহকালে অপহৃত পাঁচজনকে দুইদিন পর ছেড়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে তাদের ছেড়ে দিতে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ প্রদান করেছে স্বজনরা।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে অপহৃতদের ৫ জনকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়েনের পানখালী পাহাড়ের পাদদেশে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বাহারছড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হুমায়ুন কাদের চৌধুরী।
অপহৃতরা হলেন- টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাঠ পাড়া ও বাইন্ন্যা পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল হকের ছেলে মারুফ উল্লাহ (১৮), মোহাম্মদ হাসানের ছেলে মোহাম্মদ কাইফ উল্লাহ (১৭), হামিদুল হকের ছেলে মোহাম্মদ ইসা (২৮), মৃত কালা মিয়ার ছেলে ইউসুফ উল্লাহ (৩০) এবং শফিউল আজমের ছেলে মো.
গত বুধবার সকালে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মাঠ পাড়া ও বাইন্ন্যা পাড়া এলাকার ১৫ জন লোক স্থানীয় পাহাড়ে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহে যান। এক পর্যায়ে স্থানীয় চাকমা পাড়া সংলগ্ন এলাকার পূর্ব পাশের পাহাড়ি এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে। পরে তাদের মধ্যে ৫ জনকে জিম্মি রেখে অন্যদের ছেড়ে দেয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হুমায়ুন কাদের চৌধুরী বলেন, ঘটনার ২ দিন পর দুর্বৃত্তরা তাদের ছেড়ে দেয়। এর আগে বুধবার রাতে অপহৃতদের ছেড়ে দিতে স্বজনদের কাছে মোবাইল ফোনে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে কয়েক দফায় আলোচনা করে ৫ জনের পরিবার মোট ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ পাঠানোর পর এদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
তবে মুক্তিপণের টাকা কি প্রক্রিয়ায় কাকে পাঠানো হয়েছে, তা বিস্তারিত বলেছেন না স্বজনরা।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি অবহিত হওয়ার পর থেকে পুলিশ অপহৃতদের উদ্ধারে টেকনাফের বিভিন্ন পাহাড়ী এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছিল। এক পর্যায়ে এদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। স্বজনরাও মুক্তিপণ প্রদানের কোনো তথ্য পুলিশকে জানাননি। ৫ জনের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের তথ্য বলছে, গত ১৩ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২২৪ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে একই সময়ে উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির থেকে ৮৭ জনকে অপহরণ করা হয়।
বিএইচ
উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।