কক্সবাজারে টেকনাফের সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমানকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে ১২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের দাবি করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সদস্যরা। 

শনিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. সিয়াম-উল-হক। আটক মুজিবুর রহমান (৫৩) সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

লে.

কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, শনিবার ভোরে টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপের পশ্চিম পাড়ায় জনৈক ব্যক্তির বসত ঘরে মাদকের বড় একটি চালান মজুদের খবর পেয়ে কোস্টগার্ডের একটি দল অভিযান চালায়। ঘরটি ঘিরে ফেললে কোস্টগার্ড সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে এক ব্যক্তি কৌশলে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় ধাওয়া দিয়ে চেয়ারম্যানকে আটক করা হয়।  

তিনি জানান, পরে আটক ব্যক্তির বসতঘরটি তল্লাশি চালিয়ে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় একটি বস্তার ভেতর থেকে ১২ হাজার ২৭৪টি ইয়াবা পাওয়া যায়। আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে টেকনাফ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। 
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আটক

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ