‘শুধু চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতলেই হবে না, হারাতে হবে ভারতকেও’—বাবরদের পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
Published: 8th, February 2025 GMT
ক্রিকেট মাঠে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান, ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন তো এটাই। তবে আজকাল আইসিসি ও এসিসি আয়োজিত টুর্নামেন্ট ছাড়া দুই দলের দেখাসাক্ষাৎ হয় না। কারণ যে রাজনীতি, সেটি না বললেও চলে। ‘চিরশত্রু’ সেই দুই দল এবার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। ২৩ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হবে দুই দল। সেই ম্যাচ নিয়ে এবার উত্তেজনার পারদ আরও চড়েছে। খোদ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীও যোগ দিয়েছেন কথার লড়াইয়ে।
শুক্রবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফি উপলক্ষে সংস্কার কাজ শেষে নতুন করে ‘উদ্বোধন’ হয়েছে লাহোর গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। সেই অনুষ্ঠানেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ পাকিস্তান দলকে জানিয়ে দিয়েছেন তাদের আসল কাজ কী।
আসল কাজটা শুধু চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ই নয়, আমাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে দুবাইয়ের ম্যাচে হারাতেও হবে। পুরো দেশ তোমাদের পাশে আছে।শেহবাজ শরীফ, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকী কাজ সেটি শুনুন শেহবাজ শরীফের জবানিতেই, ‘আমাদের দলটা খুবই ভালো। সাম্প্রতিক সময়ে তারা ভালোও করেছে। তবে আসল কাজটা শুধু চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ই নয়, আমাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে দুবাইয়ের ম্যাচে হারাতেও হবে। পুরো দেশ তোমাদের পাশে আছে।’
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?