পাকিস্তানের আয়োজনে উত্তর আরব সাগরে শুরু হয়েছে নবম বহুজাতিক নৌ মহড়া ‘আমান-২৫’। এতে বাংলাদেশ, চীন, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, জাপান, মালয়েশিয়া, শ্রীলংকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ অংশ নিয়েছে। 

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নৌ মহড়ায় অংশগ্রহণকারী বিদেশি নৌবাহিনীর জাহাজ পরিদর্শন করেছেন পাকিস্তানের নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফ।

আরো পড়ুন:

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ

৫০ মিনিটেই শেষ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট

এসময় তিনি বলেন, “আমান মহড়া শান্তির প্রতি পাকিস্তানের অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে, আঞ্চলিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা জোরদার করে এবং আঞ্চলিক ও বহিরাঞ্চলের নৌবাহিনীর মধ্যে আন্তঃকার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।” 

পাকিস্তানের নৌবাহিনীর প্রধান মহড়ায় অংশ নেওয়া বাংলাদেশ, চীন, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, জাপান, মালয়েশিয়া, শ্রীলংকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ পরিদর্শন করেন। 

এ সময় পাকিস্তানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কমান্ডিং অফিসাররাও উপস্থিত ছিলেন। তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময়ে অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফ বলেন, “পাকিস্তান সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং সমুদ্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টায় বিশ্বাস করে।”

“এই বিশ্বাস থেকে পাকিস্তান নৌবাহিনী আঞ্চলিক সমুদ্র নিরাপত্তা টহল (আরএমএসপি) এবং বহুজাতিক মহড়া ‘আমান’-এর মতো উদ্যোগের মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতায় অবিরাম অবদান রাখছে।”

নৌপ্রধান আস্থা প্রকাশ করে বলেন, “আমান’র মাধ্যমে যে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব গড়ে উঠবে তা ভবিষ্যতেও বৃদ্ধি পাবে, যা তাদেরকে শান্তি ও সমৃদ্ধির অভিন্ন লক্ষ্যের আরো কাছে নিয়ে যাবে।”

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবি উপাচার্য-প্রক্টরসহ ৩ জনকে আইনি নোটিশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলে নিজের সিট ফিরে পাওয়াসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্য, প্রক্টর ও হলটির প্রাধ্যক্ষ বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক শিক্ষার্থী।

ওই শিক্ষার্থী হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আলোচিত ভিপি পদপ্রার্থী জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালাল। 

আরো পড়ুন:

রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উত্তাল রাতের ক্যাম্পাস

চাকসু: ৩ পদ শূন্য রেখে বামপন্থিদের ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট বেল্লাল হোসাইন (মুন্সী বেল্লাল) স্বাক্ষরিত এক আইনি নোটিশে তিনি ঢাবি প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি জানান।

জালাল আহমদ অভিযোগ করে জানান, হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এ সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের মদদে তার ওপর মব হামলাও চালানো হয়। কিন্তু তদন্ত ছাড়াই হল প্রাধ্যক্ষ তাকে বহিষ্কার করেন এবং প্রশাসন তার নামে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করে।

এর আগে, হলের রুমমেটকে মারধর এবং ভাঙা টিউবলাইট দিয়ে আঘাত করার ঘটনায় জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালালের বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন এবং ২৭ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর আদালত জামিন মঞ্জুর করলে কারাগার থেকে মুক্ত হন জালাল।

ওই শিক্ষার্থীর দাবিগুলো হলো— হামলার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি ও প্রশাসনের ক্ষমা প্রার্থনা; অবৈধভাবে বাতিল হওয়া তার বৈধ সিট ফেরত দেওয়া; বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উচ্ছেদ করা।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ