ছাত্র অধিকার পরিষদের নিখোঁজ নেতা অন্তর উদ্ধার
Published: 9th, February 2025 GMT
গণঅধিকার পরিষদের অঙ্গ সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতা বিষয়ক সহ-সম্পাদক নিখোঁজ রবিউল আউয়াল অন্তরকে (৩০) উদ্ধার করেছে পুলিশ। অন্তর পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লোন্দা গ্রামের বাসীন্দা
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকার কামরাঙ্গীর চর এলাকার আশ্রাফাবাদ নবীনগর এলাকার একটি ঘর থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলাপাড়া থানার ওসি মো.
আরো পড়ুন: গণঅধিকার পরিষদের নেতা নিখোঁজ, মোটরসাইকেল উদ্ধার
আরো পড়ুন:
ফেসবুকে সরকারবিরোধী পোস্ট শেয়ার, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মী আটক
নোয়াখালীতে গণপিটুনিতে নিহত এক
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কলাপাড়া পৌর শহরের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন অন্তর। সেসময় কলাপাড়া-পটুয়াখালী সড়কের রজপাড়া মাদরাসা সংলগ্ন সড়ক থেকে পার্কিং করা অবস্থায় তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এর কিছুটা দূর থেকে একটি হেলমেট উদ্ধার হয়।
অন্তর নিখোঁজ হওয়ার পরপরই কলাপাড়া থানায় একটি জিডি হয়। এ ছাড়া, গত শুক্রবার অন্তরের বড় ভাই তুষার আল মামুন পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬ কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন। অন্তর দীর্ঘদিন ধরে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ক্ষতিপূরণ আদায় ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের চাকরিসহ আট দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন করে আসছিলেন বলে জানায় পরিবার।
অন্তরের বাবা মো. সোলাইমান বলেন, “আমার ছেলে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ক্ষতিপূরণ আদায়, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের চাকরিসহ আট দফা দাবি আদায়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। অন্তরকে পাওয়ার খবরে স্বজনরা শুকরিয়া আদায় করেছেন। কীভাবে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে তা আমরা এখন পর্যন্ত জানতে পারিনি।”
কলাপাড়া থানার ওসি জুয়েল ইসলাম বলেন, “পটুয়াখালী পুলিশ সুপার সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্রিফ করবেন।
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গণঅধিকার পরিষদের নেতার বাড়িতে হামলা, সাবেক দুই এমপির নামে মামলা
গণঅধিকার পরিষদের নেতা আব্দুর রহিমের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক দুই সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরী ও হাবিবে মিল্লাত মুন্নাসহ আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) ৫১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে গণঅধিকার পরিষদের সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহিম বাদী হয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর বিকেলে আসামিরা সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রামগাতী গ্রামে আব্দুর রহিমের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও লুটপাট করে। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পরে আব্দুর রহিমকে মারধর করে থানায় নেওয়া হয় এবং একটি মিথ্যা মামলায় আদালতে পাঠানো হয়। সে সময় ভয় ও রাজনৈতিক চাপে মামলা করা সম্ভব হয়নি।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন—সিরাজগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন প্রমুখ।
ঢাকা/অদিত্য/রফিক