অবৈধ সম্পদ: দীপু মনি দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
Published: 10th, February 2025 GMT
প্রায় ৮ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৬০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দীপু মনি দম্পতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলা দুটি করা হয়েছে।
প্রথম মামলায় বলা হয়েছে, চাঁদপুর-৩ আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক মন্ত্রী ডা.
দ্বিতীয় মামলায় দীপু মনি ও তার স্বামী তৌফিক নেওয়াজকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে পরস্পর যোগসাজশে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৩৯ হাজার ২০৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের আগস্টে দিপু মনির বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু হয়।
এর আগে দীপু মনি, তার স্বামী তৌফিক নাওয়াজ এবং বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপুর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে।
২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট সাবেক মন্ত্রী দীপু মনিকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এখন তিনি একাধিক মামলায় কারাগারে আছেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জেমকন গ্রুপের দুই পরিচালকের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করবে দুদক
প্রায় ১১৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ১২৫ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে জেমকন গ্রুপের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কাজী আনিস আহমেদ এবং তাঁর ভাই কাজী ইনাম আহমেদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদক সূত্র জানায়, প্রথম মামলায় কাজী আনিস আহমেদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৮০ কোটি ৩৫ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হবে। একই সঙ্গে তাঁর নামে ২০টি ব্যাংক হিসাবে ৭৯ কোটি ১৪ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগও করা হবে।
অন্য মামলায় কাজী ইনাম আহমেদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের বাইরে ৩২ কোটি ৬৬ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হবে। এ ছাড়া তাঁর নামে ১৪টি ব্যাংক হিসাবে ৭৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে।
দুদক বলছে, দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হবে।