রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার প্রধান সড়ক সংলগ্ন গাইন্দ্যা ইউনিয়নের ওগারী পাড়ার চিতাখোলা থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে থাকা একটি হাতির শাবক উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। স্থানীয় এলাকাবাসী এবং পথচারীরা জানান, সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে হাতির শাবকটি রাজস্থলীর প্রধান সড়কের পাশের একটি খাদে মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। 

বনবিভাগের রাইখালী রেঞ্জের দায়িত্বে থাকা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো.

হাসান জানান, সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টায় কয়েকজন পথচারী একটি হাতির শাবক পড়ে থাকতে দেখে খবর দেয়। এরপর বনবিভাগের একটি টিম মুমূর্ষু অবস্থায় সেটিকে উদ্ধার করেছে।

রাজভিলা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা ফিরোজ আল আমিন জানান, উদ্ধারের পর শাবকটির মায়ের জন্য ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। ২৪ ঘণ্টা পর সিদ্ধান্ত হবে, শাবকটিকে কোথায় রাখা হবে।

আরো পড়ুন:

টেকনাফের পাহাড়ে আবারো বন্যহাতির মৃত্যু

টেকনাফ পাহাড়ে বাচ্চা প্রসবের সময় হাতির মৃত্যু

রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজীব কান্তি রুদ্র জানান, গতকাল (রবিবার) থেকে ওগাড়ী পাড়া এলাকায় বন্যহাতির তাণ্ডব চলছে। বিষয়টি বনবিভাগকে অবগত করা হয়েছে। বন বিভাগের আইন অনুযায়ী শাবকটির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, হাতির শাবককে কেন্দ্র করে পথচারী এবং এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানান, যেহেতু হাতির শাবকটি এখানে পড়ে রয়েছে, সেহেতু এই হাতির মা যেকোনো সময় আবার আসতে পারে। 

তারা আরো জানান, রবিবার হাতির একটি দল এলাকায় আসলে এলাকাবাসী তাদের তাড়ানোর জন্য নিজেদের বাগানে আগুন দেয়। ফলে হাতির দলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে এদিক-সেদিকে ছুটোছুটি করার কারণে হয়ত শাবকটি তার মায়ের সঙ্গে চলে যেতে পারেনি।

ঢাকা/শংকর/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বনব ভ গ অবস থ য়

এছাড়াও পড়ুন:

ফুটবলার প্রতিমা এগিয়ে যাচ্ছেন, পাশে আছে কিশোর আলোসহ অনেকে

একটি পরিবারের ওপর নেমে আসা অপ্রত্যাশিত চাপ আর হতাশাকে দূর করেছে একটি সংবাদ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় প্রতিমা মুন্ডার পড়াশোনা ও খেলাধুলা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার টাকার জন্য। প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিলেছে সহযোগিতা, পরিশোধ হয়ে গেছে বিকেএসপির বকেয়া।

এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন প্রতিমার মা সুনিতা মুন্ডা। তাঁদের ওপর থেকে নেমে গেছে বড় ধরনের আর্থিক চাপ।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেএসপি প্রতিমার অভিভাবককে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়ের বকেয়া বেতন ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা। সেই চিঠিতেই সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের বেশি বেতন বকেয়া থাকলে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ, আর ১২ মাসের বেশি বকেয়া থাকলে বহিষ্কারের বিধান আছে। অর্থাভাবে যখন অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল প্রতিমার ভবিষ্যৎ, ঠিক সেই সময় ১১ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয় তাঁদের পরিবারের সংগ্রামের গল্প।

আরও পড়ুনবকেয়া বেতন চেয়ে বিকেএসপির চিঠি, ফুটবলার প্রতিমার পড়াশোনা বন্ধের পথে ১১ অক্টোবর ২০২৫

প্রতিবেদনটি পাঠকের হৃদয়ে নাড়া দেয়। কিশোর আলোর পক্ষ থেকে প্রতিমার বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই দিনই বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি প্রতিমা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী সহায়তা করেন আরও ১০ হাজার টাকা। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকার দেন পাঁচ হাজার টাকা ও একটি ফুটবল।

সহায়তা পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। মুঠোফোনে প্রতিমা বলেন, ‘এখন আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। বিকেএসপির পাওনা ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। আমি ভালো আছি, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা আর অনুশীলন করছি।’

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রতিমা মুন্ডা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে কিশোর আলোর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ