Samakal:
2025-08-01@05:08:01 GMT

বার্সার ‘বৃহস্পতি’ এখন তুঙ্গে!

Published: 11th, February 2025 GMT

বার্সার ‘বৃহস্পতি’ এখন তুঙ্গে!

রিয়ালকে হারতে হবে, মাদ্রিদ ডার্বি ড্র হতে হবে এবং নিজেদের জিততে হবে; এর কোনোটি এদিক-ওদিক হয়ে গেলেই লাইনের পেছনে গিয়ে দাঁড়াতে হতো তাদের। তবে ফেব্রুয়ারির প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহে কাতালানদের ভাগ্যের বৃহস্পতি যেন তুঙ্গে।

বার্সেলোনার সৌভাগ্যের দ্বার খুলে রিয়াল মাদ্রিদ ২ ফেব্রুয়ারি এস্পানিওলের কাছে হেরেছে ১-০ গোলে। শনিবার মাদ্রিদ ডার্বিতে এমবাপ্পেরা পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের কাছে এবং তার পর রোববার রাতে ১০ জন নিয়েও বার্সেলোনা তাদের গোল উৎসব ধরে রাখল সেভিয়াকে ১-৪ গোলে হারিয়ে। এই তিনটি ম্যাচেই ওলট-পালট লা লিগার পয়েন্ট টেবিল। যেখানে কিছুদিন আগেও বার্সার সঙ্গে শীর্ষস্থানে থাকা দলের ৯ পয়েন্টের ব্যবধান ছিল। সেখানে এখন ঢিল ছোড়া দূরত্বের ব্যবধান ২ পয়েন্টের।

নিশ্চয় ভীষণ খুশি বার্সার জার্মান কোচ হ্যান্সি ফ্লিক, তবে তাঁকে এতদিনে যারা চিনে নিয়েছেন, তারা অন্তত এটা জানেন তৃপ্ত তিনি এত সহজে হন না। ‘লিগে যে চার-পাঁচটি দল ভালো করছে, তাদের মধ্যে আমরা রয়েছি। লিগে এখনও অনেক ম্যাচ বাকি। তাই এই ছন্দটা ধরে রাখাই আমাদের চ্যালেঞ্জ।’

ছন্দটা বার্সার শুরু হয়েছে গত মাসে জেদ্দায় সুপার কাপের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে ধরাশায়ী করার পর থেকেই। দলের দুই গোল মেশিন লেভানডস্কি ও রাফিনিয়াও ছুটছেন ঝড়ের বেগে। এদিন সেভিয়ার মাঠে ম্যাচের ৭ মিনিটেই গোল করে বার্সাকে এগিয়ে দেন লেভানডস্কি।

প্রথমার্ধে ১-১ গোলের ম্যাচের পরবর্তী সময়ে শুধুই বার্সার আধিপত্য। বদলি নেমে গোল করেন ফের্মিন লোপস। বাকি গোল দুটি করেন রাফিনিয়া ও গার্সিয়া। পরিসংখ্যান বলছে, এই মৌসুমে সব আসরে বার্সা যে ১১৩টি গোল করেছে, তার মধ্যে লেভার গোল সংখ্যা ৩১ এবং রাফিনিয়ার ২৪। অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক গোলই এসেছে এই দুই মেশিন থেকে। লা লিগায় ১৯ গোল করে এই মুহূর্তে শীর্ষে আছেন লেভা, ১৬ গোল করে রিয়ালের এমবাপ্পে দ্বিতীয়তে আর ১৩ গোল করে রাফিনিয়া তৃতীয়তে।

এদিন ম্যাচে বার্সার মূল চ্যালেঞ্জ ছিল অবশ্য লোপেসের লাল কার্ড দেখা। রেফারি প্রথমে তাঁকে হলুদ কার্ড দেখালেও ভিএআরের রায়ে পরে লাল কার্ড দেখান। আর ম্যাচের পরবর্তী ১০ মিনিট ১০ জনকে নিয়ে লিড ধরে রাখার চ্যালেঞ্জে পড়ে বার্সা। আর এখানেই কোচ ফ্লিকের ৪-৪-১ কৌশল সফল হয়। শুরুতে তিনি একাদশ সাজিয়েছিলেন ৪-২-৩-১ ফরমেশনে, একজন খেলোয়াড় কমে গেলে পরে তাঁকে মাঝমাঠে কৌশলী হতে হয়। ‘যেভাবে আমরা ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত রক্ষা করতে পেরেছি, তাতে খুশি আমি। ১০ জন নিয়ে এই ফরমেশনে খেলাটা আমাদের জন্য শিক্ষণীয় ব্যাপার ছিল এবং এই ফরমেশনে আমরা চতুর্থ গোলটি সেট পিসে করতে পেরেছি।’ দারুণ এক সপ্তাহ কাটানোর পর দলের সবাইকে তিন দিনের বিশ্রামের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। কারণ সামনে বড় সব পরীক্ষায় নামতে হবে তাদের।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল গ ল কর

এছাড়াও পড়ুন:

‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের পরবর্তী শুনানি বুধবার

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের (রিভিউ) ওপর পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার দিন রেখেছেন আপিল বিভাগ। আজ মঙ্গলবার শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চ পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ১৮ মে শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ শুনানির জন্য ১ জুলাই দিন ধার্য করেছিলেন। ধার্য তারিখে বিষয়টি শুনানির জন্য রিভিউ আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবীর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ১৫ জুলাই পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। আজ বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকার ৭ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।

ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সংশোধন করে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। পরে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক পদধারীদের পদক্রম ওপরের দিকে রাখা ও অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়। পাশাপাশি জেলা জজদের পদক্রম আট ধাপ উন্নীত করে সচিবদের সমান করা হয়।

আপিল বিভাগের রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতির পদক্রম এক ধাপ উন্নীত করে জাতীয় সংসদের স্পিকারের সমান এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক ও মহান স্বাধীনতাসংগ্রামে অংশগ্রহণ করে যে মুক্তিযোদ্ধারা বীর উত্তম খেতাব পেয়েছেন) পদক্রমে যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়।

ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তৎকালীন চেয়ারম্যান ২০১৭ সালে পৃথক আবেদন করেন। রিভিউ আবেদনে রাষ্ট্রের ৯০ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পক্ষভুক্ত হন। পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের ওপর গত ২৭ এপ্রিল শুনানি শুরু হয়।

আজ আদালতে রিভিউ আবেদনকারী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন শুনানি করেন। রিট আবেদনকারী পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম শুনানিতে অংশ নেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, ১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে তা সংশোধন করা হয়।

সর্বশেষ সংশোধন করা হয় ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে। সংশোধিত এই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরির ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদ, সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত ও সংজ্ঞায়িত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচের ক্রমিকে রাখা হয়েছে—এমন উল্লেখ করে এর বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ২০০৬ সালে রিট করেন।

রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট আট দফা নির্দেশনাসহ ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (সংশোধিত) অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০১৭ সালে করা আবেদনের ওপর শুনানি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আসামির কাঠগড়ায় সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের ৪৫ মিনিট
  • পরবর্তী সরকারের পক্ষে এত সহজে সংস্কার আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করা সম্ভব হবে না: আসিফ নজরুল
  • বিসিআইসির নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ
  • এলডিসি উত্তরণের পরবর্তী প্রস্তুতি নিতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন
  • ৪৪তম বিসিএস: মনোনীত প্রার্থীদের তথ্য চেয়ে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
  • ‘আগামীর বাংলাদেশে মিডিয়াকে দালাল হিসেবে দেখতে চাই না’ 
  • ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের পরবর্তী শুনানি বুধবার
  • মাইলস্টোনে দগ্ধ ৩৩ জন এখনো ভর্তি, আইসিইউতে ৩
  • শেখ হাসিনার অডিওগুলো শুনলে বোঝা যায়, তাঁর এখনো প্রতিশোধ নেওয়ার ইচ্ছা আছে: আইন উপদেষ্টা
  • দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে