আজ ‘প্রমিস ডে’, ভালোবেসে প্রতিজ্ঞা করার দিন
Published: 11th, February 2025 GMT
আজ ১১ ফেব্রুয়ারি, প্রেমের সপ্তাহের পঞ্চম দিন। এই দিনকে প্রেমের সম্পর্কের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন বলা যায়। কারণ দিনটিই ‘প্রমিস ডে’। অর্থাৎ প্রতিজ্ঞার দিন। অনেকেই বলেন, বছরে একটি দিনে কেন প্রতিজ্ঞা করতে হবে? তারা ভুল বলেন, তা নয়। নিশ্চয়ই ভালোবেসে যেকোন সময় প্রতিজ্ঞা করা যায়। সত্যিকথা বলতে অনুভূতি প্রকাশের কোনো নির্দিষ্ট দিন বা সময় হয় না। তারপরও বিশ্বব্যাপী যদি বিশেষ কিছুদিনকে নির্ধারিত করা হয় উদ্যাপন করার জন্য, তাতে ক্ষতি কী?
ভালোবাসার সম্পর্ক মজবুত করতে প্রয়োজন একে অপরকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা। মনোবিদরা বলেন, যদি ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে লং-টার্ম রিলেশনশিপের দিকে এগোনোর পরিকল্পনা থাকে, তাহলে প্রমিস করা খুব জরুরি। আর যদি সেই সম্পর্ক লং ডিস্ট্যান্স হয়, তা হলে প্রমিস বা অঙ্গীকার আরও বেশি জরুরি। প্রমিস যে কোনও পরিস্থিতিতে সম্পর্ককে অটুট রাখতে সাহায্য করে।
প্রিয়জনকে কোনও উপহার দিয়ে প্রমিস করা যেতে পারে। অথবা তিনি যা ভালোবাসেন তেমন কিছু উপহার হিসেবে দিয়ে প্রমিস করতে পারেন। খাবার হোক বা এমন কিছু জিনিস দেওয়া যেতে পারে, যা দুইজনের কাছেই সারাজীবন থেকে যাবে। আর খুব ছোটখাটো কোনও সমস্যা থাকলেও তা এই দিন মিটিয়ে নিতে পারেন। এতে সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত হয়। আগের ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নিয়ে সারাজীবন হাত ধরে চলার প্রতিশ্রুতি নিতে পারেন এই দিনে।
সম্পর্কে প্রয়োজন একে অপরকে সম্মান জানানো। আজকের এই দিনে একে অপরের প্রতি সম্মান জানানোর প্রমিজ করতে পারেন। এতে সম্পর্কের স্বাদ সবসময় সুন্দর থাকে।
আরো পড়ুন:
আজ চকলেট ডে, প্রিয়জনকে চকলেট দেওয়ার দিন
আজ প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ার দিন
ভালোবাসার প্রাথমিক শর্ত পাশে থাকা। বিপদেও হাত না ছাড়ার প্রতিজ্ঞা তাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠুক এই দিনে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে দুই ট্রেনের সময় বদলে যাচ্ছে
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলা সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে নতুন করে নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। নতুন সময়সূচি আগামী ১০ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস (৮২১ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি এখন সকাল সোয়া ৬টায় চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যায়। নতুন সূচি অনুযায়ী, পরীক্ষামূলকভাবে এ ট্রেন চলাচল করবে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে।
আর কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী প্রবাল এক্সপ্রেস (৮২২ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি কক্সবাজার স্টেশন ছাড়বে সকাল ১০টায়। এখন এ ট্রেন ছাড়ে ১০টা ২০ মিনিটে। গত মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচলরত সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেসের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের উপপ্রধান পরিচালন কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ ইমরান।
রেলওয়ের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকীকের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, যাত্রীদের চাহিদা ও সময়ানুবর্তিতা রক্ষায় সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনার জন্য কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রামমুখী প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রুটে এখন দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলাচল করে আরও দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন।
কক্সবাজার রেললাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর। প্রথমে ঢাকা থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামে আন্তনগর বিরতিহীন ট্রেন দেওয়া হয়। এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে চলাচল শুরু করে পর্যটক এক্সপ্রেস। এটাও দেওয়া হয় ঢাকা থেকে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন না দেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।
গত বছরের ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়। দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই ট্রেন। এরপর ইঞ্জিন ও কোচের সংকটের কথা বলে গত বছরের ৩০ মে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে সেই অবস্থান থেকে সরে আসে রেলওয়ে। গত বছরের ১২ জুন থেকে আবার চালু হয় ট্রেন। আর নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হয় চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।
সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রী ওঠানামার জন্য ষোলশহর, জানালী হাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা ও রামু স্টেশনে থামবে।
আর প্রবাল এক্সপ্রেস যাত্রাপথে থামবে ষোলশহর, গোমদণ্ডী, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলহাজারা, ইসলামাবাদ ও রামু স্টেশনে।