নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি চান আজিজ সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা
Published: 20th, October 2025 GMT
রাজধানীর শাহবাগের আজিজ কো–অপারেটিভ সুপার মার্কেট দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আজ সোমবার দুপুরে মার্কেটের সামনে এক মানববন্ধন থেকে ব্যবসায়ীরা এই দাবি জানান। ‘আজিজ সুপার মার্কেটের দোকান মালিক এবং ব্যবসায়ীবৃন্দ’ ব্যানারে শতাধিক ব্যবসায়ী এই মানববন্ধনে অংশ নেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আজিজ কো-অপারেটিভ সুপার মার্কেট দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পালিয়ে যান। ওই বছরের ৩ অক্টোবর মার্কেট পরিচালনায় সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ব্যবসায়ী রবিউল ইসলামকে আহ্বায়ক ও ছানাউল্লাহ শিশিরকে সদস্যসচিব করে পাঁচ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। ৯০ দিনের মধ্যে এই কমিটিকে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করতে বলা হয়। তবে এক বছর পার হলেও তারা নতুন নির্বাচন আয়োজন করতে পারেনি। কমিটি নিয়ে উচ্চ আদালতেও রিট হয়। এ অবস্থায় মজিবর রহমান, সাইফুল ইসলাম ও শাহিন চৌধুরী নামের ব্যবসায়ীদের নেতৃত্বাধীন আরেকটি পক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য বর্তমান কমিটির ওপর চাপ দিলে সংকট তৈরি হয়।
এক মাস ধরে সমিতির কমিটি গঠন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। দ্বন্দ্বের জেরে একাধিকবার দুই পক্ষের ব্যবসায়ীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। একপর্যায়ে ৩ অক্টোবর মার্কেটে তালা লাগিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে মার্কেটের সাধারণ ব্যবসায়ীদের বড় একটি অংশ আতঙ্কিত হয়ে দোকান বন্ধ করে দেন। পরে পুলিশ এসে তালা খুলে দেন। এই ঘটনার পর এক মাসেও কমিটি গঠন নিয়ে সমস্যার সুরাহা হয়নি। এরই মধ্যে সমাজসেবা অধিদপ্তরের করে দেওয়া আহ্বায়ক কমিটি বাতিল ঘোষণা করে নতুন করে চার সদস্যের আরেকটি কমিটি গঠন করেছে ব্যবসায়ীদের একটি পক্ষ। আজকের মানববন্ধন থেকে এই কমিটির কাছে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি করার দাবি জানানো হয়েছে।
মানববন্ধনে অন্যরকম ফ্যাশন হাউসের স্বত্বাধিকারী রোকসানা আক্তার বলেন, ‘এক বছর ধরে এমনিতেই ব্যবসা–বাণিজ্যের অবস্থা খারাপ। এই অবস্থার মধ্যে আমরা দ্বন্দ্ব চাই না। মার্কেটে সুষ্ঠু পরিবেশ চাই। নতুন নির্বাচন আয়োজন করে নির্বিঘ্নে ব্যবসার ব্যবস্থা করা হোক, এটাই আমাদের দাবি।’
ব্যাগ ব্যবসায়ী আলাল সরকার বলেন, ব্যবসায়ীরা মার্কেটে হামলা–মামলা চান না। শুধু শান্তিতে ব্যবসা করতে চান। শান্তিতে ব্যবসা করতে হলে নির্বাচিত কমিটি দরকার। সে কারণে দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।
মানববন্ধনে নতুন কমিটির আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একটা ক্রান্তিকাল পার করছি। এই ক্রান্তিকাল থেকে ব৵বসায়ীদের উত্তরণ ঘটানোর একমাত্র উপায় হলো নির্বাচিত কমিটি। আমরা সেই চেষ্টা করছি। আমরা আর কোনো হামলা–মামলা চাই না। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে দায়িত্ব শেষ করতে চাই।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস য় দ র ব যবস য় র র ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
নোবিপ্রবিতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন
তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) মানববন্ধন করা হয়েছে। এ সময় ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বর এলাকা।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ১টায় শুরু হওয়া এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রংপুর বিভাগ ছাত্র কল্যাণ পরিষদ।
আরো পড়ুন:
জাবিতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও পানির ন্যায্য হিস্যার দাবি
ঢাকা-গোপালগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচলের দাবিতে মানববন্ধন
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তিস্তা নদীর প্রাণ ফিরিয়ে আনতে এবং উত্তরাঞ্চলের কৃষি, পরিবেশ ও মানুষের জীবনমান রক্ষায় তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন এখন সময়ের অনিবার্য দাবি। উত্তরবঙ্গের মানুষ সব সময় দেশের সংকটে পাশে থেকেছে, অথচ তাদের প্রাপ্য গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
তাদের দাবি, তিস্তা বাঁচলে উত্তরবঙ্গ বাঁচবে, আর উত্তরবঙ্গ না বাঁচলে গোটা দেশেই খাদ্য সংকট দেখা দেবে।
শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী আল জকি হোসেন বলেন, “জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই-এটা শুধু স্লোগান নয়, আমাদের সার্বভৌমত্ব ও উত্তরবঙ্গের মানুষের বাঁচার দাবির ঘোষণা। ভারতের বারবার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কারণে তিস্তা আজ রক্তশূন্য। তিস্তা কোনো দান-খয়রাত নয়, এটা আমাদের অধিকার।”
তিনি বলেনন, “নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে দিতেই হবে। অন্যথায় এই জনতার প্রতিবাদ আরো অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে। তিস্তায় পর্যাপ্ত পানি না থাকায় উত্তরবঙ্গের কৃষকরা বছরের পর বছর অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন। বিগত সরকারের ব্যর্থতায় আমরা পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হয়েছি। এখন জনগণ জেগে উঠেছে—তারা আর কোনো শোষণ মানবে না।”
একই বিভাগের শিক্ষার্থী ও রংপুর ছাত্র কল্যাণ সমিতির যুন্ম সাধারণ সম্পাদক মুজতবা ফয়সাল নাঈম বলেন, “তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ২০২৩ সালকে লক্ষ্য ধরা হলেও সেটি রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা নতুন আশায় বুক বেঁধেছিলাম। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের অবহেলায় এখনো প্রকল্পের কোনো অগ্রগতি হয়নি। প্রকল্পের মোট বাজেটের ১২ শতাংশ দেশের নিজস্ব অর্থায়নে হওয়ার কথা। অন্তত এ অংশ দিয়েই কাজ শুরু করতে হবে।”
ঢাকা/শফিউল্লাহ/মেহেদী