রাজনীতিবিদরা ঐক্য হারিয়ে ফেলেছেন: ফখরুল
Published: 20th, October 2025 GMT
অভ্যুত্থানের পর রাজনীতিবিদের অনৈক্য নিয়ে হতাশার কথা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, “অনেকেই হতাশ। এত বড় একটা অভ্যুত্থানের পর এত বড় একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে দেশকে সুন্দর করার। কিন্তু চারদিকে দেখা যায়, রাজনীতিবিদরা ঐক্য হারিয়ে ফেলেছেন। অনেকে চলে যাচ্ছেন। চারদিকে একটা অনৈক্যের সুর দেখা যায়। এতে তারা অনেকেই হতাশ হচ্ছেন।”
আরো পড়ুন:
সাংবাদিক হেনস্থায় মির্জা ফখরুলের দুঃখ প্রকাশ
জনগণ বিশ্বাস করে এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত: ফখরুল
সোমবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশে (আইডিইবি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা’ নামের ম্যাগাজিন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “রাজনীতিবিদদের কথা হয়তো শুনতে ইচ্ছা করে না। কিন্তু রাজনীতিবিদেরা একটা দেশের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করেন, পথ তৈরি করেন অথবা পথ নষ্ট করেন। কিছু রাজনীতিক একটা জাতিকে অত্যন্ত উচ্চশিখরে নিয়ে যান। আবার কেউ কেউ জাতিকে একেবারে নিচে নিয়ে যান। রাজনীতির মধ্যে যদি সৌন্দর্য না আনা যায়, সততা না আনা যায়, তাহলে রাজনীতি কখনোই সুন্দর হবে না। আর রাজনীতি যদি হয় জনগণের কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়া, বিদেশে সম্পদ তৈরি করা, তাহলে মানুষ ঘৃণা করবে।”
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, “দুর্ভাগ্য যে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিম্নমানের। এজন্য দায়ী রাজনীতিবিদেরা। দায়ী আমলাতন্ত্র।”
তিনি বলেন, “কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব কম দেওয়া হচ্ছে। বিএ-এমএ পাস করে অনেকে বেকার বসে থাকেন। কিন্তু কারিগরি পড়ে কেউ বেকার থাকেন না। তবে কারিগরি শিক্ষার চেয়ে সেই বিএ-এমএতেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।”
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, “তাদের সামনে এখন বিরাট সুযোগ ও সম্ভাবনা। তাদের দৃঢ়তা ও লক্ষ্যে স্থির থাকতে হবে। স্বপ্ন দেখতে হবে। শিক্ষার্থীদের এখন ওড়ার সময়। ভবিষ্যৎ তাদের ডাকছে। পৃথিবীর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার জন্য নিজেদের তৈরি করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক রাশেদা বেগম হীরা বলেন, “মানুষকে সম্মান করতে হবে। এ দেশের সমস্যা অনেক। শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব নিতে হবে। দেশের কাছ থেকে পাওয়ার চেয়ে দেওয়ার কথা ভাবতে হবে।”
বেসরকারি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো.
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, আইডিইবির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক কবীর হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমার সম্পাদক হারুন অর রশীদ প্রমুখ।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম র জ ফখর ল ইসল ম আলমগ র র জন ত ব দ অন ষ ঠ ন ব এনপ র ফখর ল
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি: ইউপিডিএফ
জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এ পার্বত্য চট্টগ্রমের জনগণের আকাঙক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি বলে মন্তব্য করেছেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সহ-সভাপতি নুতন কুমার চাকমা।
তিনি বলেছেন, “জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এ পার্বত্য চট্টগ্রমের জনগণের আকাঙক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি। এই সনদ রাষ্ট্র ব্যবস্থা সংস্কারের নির্বাচনী অঙ্গীকার ও রাজনৈতিক ইচ্ছাপত্র ভিন্ন কিছু নয়। এ ধরনের অঙ্গীকার শাসকগোষ্ঠীভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলো হরহামেশা করে থাকে। কিন্তু নির্বাচনে জেতার পর বেমালুম ভুলে যায়।”
আরো পড়ুন:
রাঙামাটিতে পিসিসিপির ডাকা হরতাল প্রত্যাহার
সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারকে সহায়তার আহ্বান পার্বত্য উপদেষ্টার
শনিবার (১৮ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “যে শোষণ ও নিপীড়নের ভিত্তির ওপর বাংলাদেশ রাষ্ট্র দাঁড়িয়ে আছে, তাকে নামমাত্র ঘষামাজা বা সংস্কার করে জনগণের ভাগ্যের কোনো মৌলিক ইতিবাচক পরিবর্তন সাধন করা সম্ভব নয়।”
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে ইউপিডিএফের প্রথম দফা সংলাপের পর উগ্র সাম্প্রদায়িক ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠীর চাপে স্বৈরাচারী কায়দায় পুরো সংলাপ প্রক্রিয়া থেকে ইউপিডিএফ তথা পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণকে বাদ দেওয়ার ঘটনা স্মরণ করে তিনি বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার বা স্বায়ত্তশাসনের অধিকারকে অস্বীকার করে যেকোনো গণতান্ত্রিক সংস্কার প্রচেষ্টা বিফল হতে বাধ্য।”
জুলাই জাতীয় সনদে সন্নিবেশিত অনেক সংস্কার প্রস্তাবের সাথে একমত হওয়া সত্ত্বেও পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের মৌলিক আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন না হওয়ায় গত বছর জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী দল ইউপিডিএফ জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ অনুমোদন করে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ঢাকা/শংকর/মেহেদী