ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭ জন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে বিএনপি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরো পড়ুন:
প্রাথমিক মনোনয়ন তালিকায় নাম নেই রিজভীর
২৩৭ জনের তালিকায় নেই রুমিন ফারহানা
ঢাকায় ধানের শীষ নিয়ে যারা লড়বেন
ঢাকা-৮, মির্জা আব্বাস
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
ঢাকা-৩, গয়েশ্বর
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৩ (কেরানীগঞ্জ) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে লড়বেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
ঢাকা-২, আমান
ঢাকা-২ আসনে লড়বেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান। তিনি ঢাকসুর ভিপি ছিলেন। এছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন।
ঢাকা-১৪, সানজিদা তুলি
ঢাকা-১৪ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন ‘মায়ের ডাকে’র অন্যতম সমন্বয়ক সানজিদা তুলি। তার ভাই বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমন গুম হওয়ার পর তিনি এই সংগঠন গড়ে তোলেন। গুম নিয়ে সোচ্চার ভূমিকায় দেশ-বিদেশে তিনি বেশ আলোচিত হন।
ঢাকা-৬, ইশরাক
ঢাকা-৬ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য, সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন।
ঢাকা-১৬, ফুটবলার আমিনুল
ঢাকা-১৬ থেকে ধানের শীষে লড়াই করবেন আমিনুল হক। রাজনীতিতে আসার আগে তিনি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কৃতি গোলকিপার। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক। এবার আসন্ন নির্বাচনে এমপি পদে লড়াই করবেন তিনি।
ঢাকা-৫, নবী উল্লাহ নবী
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও ঢাকা-৫ আসনে নবী উল্লাহ নবী ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন।
ঢাকা-৪, তানভীর আহমেদ রবিন
ঢাকা-৪ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন। আসনটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৭, ৫১, ৫২, ৫৩, ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং শ্যামপুর থানা নিয়ে গঠিত।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র সদস য ব এনপ র লড়ব ন
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’