জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোররুমে আগুন লেগে প্রয়োজনীয় মালামাল ও কাগজপত্র পুড়ে গেছে। আজ সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিস প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগুন লাগার ঘটনায় রোগী ও তাঁদের স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে দ্রুত কমপ্লেক্সের ভবন থেকে নিচে নেমে আসেন। আগুনের ঘটনার সময় স্টোররুমের পাশে অপারেশন থিয়েটারে এক অন্তঃসত্ত্বার অস্ত্রোপচার (সিজার) চলছিল।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটারের পাশে স্টোররুমে আগুনের সূত্রপাত হয়। সেখানে স্তূপ করে রাখা খালি কার্টনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক হাসপাতালের নার্স ও কর্মচারীরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে পুরো আগুন নিয়ন্ত্রণে নেন। এ সময় আতঙ্কে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীরা হুড়োহুড়ি করে নিচে নেমে আসেন। অপারেশন থিয়েটারে এক অন্তঃসত্ত্বার অস্ত্রোপচারের কাজ চলছিল। কিন্তু তাঁদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.

মোহছেন উদ্দিন। এ সময় তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, স্টোররুমে আগুন লাগার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করা হবে। প্রতিবেদন পেলে আগুন লাগার সঠিক কারণটি জানা যাবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা দেবাশীষ রাজবংশী বলেন, ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় অপারেশন থিয়েটারের পাশে একটি স্টোররুমে হঠাৎই আগুন ও কালো ধোঁয়া দেখতে পাই। পরে আমার কর্মচারী, নার্সরাসহ সবাই ওপরে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করি। এরপর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুন কেমনে লাগছে, এই মুহূর্তে আমি বুঝতে পারছি না।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ব স থ য কমপ ল ক স র আগ ন ল গ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ