সাবেক সংসদ সদস্য চয়ন ও তাঁর স্ত্রী কারাগারে
Published: 11th, February 2025 GMT
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য চয়ন ইসলাম ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী জোসনা খানমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে শাহজাদপুর চৌকি আদালতের জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রব্বানী তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
শাহজাদপুর চৌকি আদালতের পরিদর্শক আশরাফ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মারামারি ও বিস্ফোরক আইনের দুটি মামলায় তাঁদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মামলা দুটি গত বছরের ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর করা হয়েছিল।
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম আলী প্রথম আলোকে বলেন, চয়ন ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী জোসনা খানমকে দুটি মামলায় আজ আদালতে পাঠানো হয়। তবে মামলায় জোসনা খানমের নাম না থাকলেও সন্দেহভাজন হিসেবে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এর আগে গত রোববার রাতে আত্মগোপনে থাকা চয়ন ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী জোসনা খানমকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ি গ্রামে তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর সোমবার রাতে তাঁকে শাহজাদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়। শাহজাদপুর থানা-পুলিশ তাঁদের আজ আদালতে হাজির করেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রপ্তানিকারকদের সুবিধা বাড়ল, বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব থেকে সোয়াপ করে টাকা তোলা যাবে
রপ্তানিকারকদের সুবিধা বাড়ল। এখন থেকে রপ্তানিকারকেরা নিজেদের বৈদেশিক মুদ্রা (এফসি) হিসাব থেকে সোয়াপের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন।
আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোকে ৩০ দিনের পুলে রক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রা এবং রপ্তানিকারকের রিটেনশন কোটা (ইআরকিউ) হিসাবের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রা-টাকা সোয়াপ চুক্তি করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সোয়াপ কীসার্কুলার অনুসারে, আলোচ্য সোয়াপ চুক্তি বলতে একটি নির্দিষ্ট হারে ও মেয়াদে টাকার বিনিময়ে বৈদেশিক মুদ্রার স্পট ক্রয় এবং একই সঙ্গে একটি নির্ধারিত তারিখে পুনঃবিক্রয়ের ব্যবস্থাকে বোঝাবে। এ ক্ষেত্রে রপ্তানিকারকের নিজস্ব উৎসের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহৃত হবে। সোয়াপের মেয়াদ ইআরকিউ তহবিলের ব্যবহারযোগ্য মেয়াদের বেশি হতে পারবে না এবং ৩০ দিনের পুল তহবিলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০ দিন মেয়াদি সোয়াপ করা যাবে।
সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, সোয়াপের হার নির্ধারণে বাজারভিত্তিক বা খরচভিত্তিক সুদ বা মুনাফার পার্থক্য বিবেচনায় নেওয়া যাবে। আলোচ্য সোয়াপ লেনদেনকে ঋণ বা অর্থায়ন সুবিধা হিসেবে গণ্য করা হবে না। সোয়াপের মাধ্যমে প্রাপ্ত টাকা শুধু রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চলতি মূলধনের চাহিদা মেটাতে ব্যবহার করা যাবে। কোনো ফটকা উদ্দেশ্যে ওই অর্থ ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
শিল্প খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের এ উদ্যোগের কারণে রপ্তানিকারকদের স্বল্পমেয়াদি তারল্য চাপ কমাতে সহায়তা করবে। এতে প্রচলিত রপ্তানি ঋণের ওপর নির্ভর না করেও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চালাতে পারবেন। পাশাপাশি এটি বাজারভিত্তিক বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনাকেও উৎসাহিত করবে।