ঢাকার ধামরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আলী আজগর (৪৭) নামে এক এনজিও কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। একই দুর্ঘটনায় প্রাইভেটকারে থাকা সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষিকাসহ ৩ শিক্ষার্থী ও প্রাইভেটকার চালক আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বুধবার সকালে, ধামরাই-কালিয়াকৈর সড়কের বাঙ্গালপাড়া এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, কালিয়াকৈর থেকে সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজ যাওয়ার পথে, প্রাইভেটকার মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে পতিত হয়। সংঘর্ষের পর, প্রাইভেটকারে উল্টে খাদে পড়ে যায় এবং মোটরসাইকেল আরোহী এনজিও কর্মকর্তা আলী আজগর গাড়ির নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

নিহত আলী আজগর ধামরাইয়ের সুতিপাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর দক্ষিণপাড়া এলাকার নুরুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে। তিনি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এসডিআই এর শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন, সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষিকা স্বরনিকা আলম (৩০), তার দুই মেয়ে জিম (৮) ও জাহিন (৬), ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী জুম (১৪) এবং প্রাইভেটকার চালক আলমগীর হোসেন। এদের মধ্যে শিক্ষিকা স্মরণিকা আলমের অবস্থা গুরুতর এবং অন্যদের চিকিৎসা চলছে। আহতরা সকলেই টাঙ্গাইল জেলার কালিয়াকৈর থানার হিজলহাটি গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয়দের মতে, সকাল ৭টার দিকে কালিয়াকৈর থেকে আসা প্রাইভেটকারটি ধামরাইয়ের বাঙ্গালপাড়া এলাকায় পৌঁছালে অপরদিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় প্রাইভেটকারটি খাদে পড়ে যায় এবং মোটরসাইকেল আরোহী আলী আজগর ঘটনাস্থলেই মারা যান।

ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাকবলিত যান দুটি জব্দ করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ র ঘটন দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫

টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।

আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।

এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।

রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি পুনর্বহাল
  • সিলেটে পাথরবাহী ট্রাক্টরচাপায় পর্যটক নিহত, আহত ৫
  • ক্রিকেট ম্যাচের দায়িত্ব পালন করতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা, আহত ২৭ নারী পুলিশ সদস্য
  • ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫