ইউরোপের নতুন ‘ক্লাসিকো’তে ম্যানচেস্টার সিটি-রিয়াল মাদ্রিদ মুখোমুখি হয়েছিল মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) দিবাগত রাতে। এই ম্যাচের উত্তাপ এতোটাই বেশি ছিল যে, ইংলিশ ক্লাবটির সাবেক প্লেয়ার সার্জিও আগুয়েরো ম্যাচের আগে একটা পডকাষ্টে বলেন- ম্যানসিটি হারলে নিজের অণ্ডকোষ কেটে ফেলবেন!

এখানেই শেষ না, ম্যাচের শুরুতে যখন চ্যাম্পিয়নস লিগের সংগীত চলছে, তখন ক্যামেরায় দেখা গেল একটা ব্যানার। তাতে লিখা ছিল, ‘স্টপ ক্রায়িং ইউর হার্ট আউট’। বাংলায় যার অর্থ দাঁড়ায়- ‘কেঁদে তোমার বুক ভাসিও না’। লিখার একপাশে আবার সিটি মিডফিল্ডার রদ্রিগোর ব্যালন ডি-অর ট্রফিতে চুমু খাওয়ার একটা ছবি। সেই মুহূর্তের আবার ছবি তুলছিলেন গ্যালারিতে বসে থাকা রদ্রি। যদিও এটি বিখ্যাত ইংলিশ ব্যান্ড ‘ওয়েসিস’ এর সবচেয়ে জনপ্রিয় গান। তবে একটা শিশুও বুঝবে, গোটা ব্যাপারটা রিয়াল তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে খোঁচা দেওয়ার জন্যই করা। তবে ভিনিসিয়ুসের দাবি এসব ব্যাপার নাকি তাকে আরও তাঁতিয়ে দিয়েছিল ভালো খেলতে।

ম্যানসিটির সমর্থকরা প্রতিপক্ষের মনোযোগ নষ্ট করতে মাঠে সারাক্ষণই উস্কানিমূলক স্লোগান দিয়েছিল। এই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারের পায়ে বল গেলেই সিটি ফ্যানরা সুর তুলেছিল, ‘তোমার ব্যালন ডি’অর কই’। ভিনি কেবল রিয়ালের জার্সিতে প্রিন্ট করা ‘১৫’ সংখ্যাটি আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন। বোঝাতে চেয়েছিলেন ব্যালন ডি-অর না থাকলেও আমার দলের ১৫টা চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা আছে।

আরো পড়ুন:

রিয়াল দেখাল তারাই ‘রাজা’

ক্লাসিকোর আগে আনচেলত্তির মাথাব্যথার কারণ গার্দিওলা

এত কিছুর পরও ভিনির মনোযোগ নষ্ট করা গেল না, উল্টো এসব অপমানে তিনি আরও ভালো খললেন। ম্যাচ সেরার খেতাব জেতা ভিনিসিয়ুস বলেন, “আমি দেখেছি এটা (ব্যানার)। প্রতিপক্ষ সমর্থকেরা যখন এরকম কিছু করে, সবসময়ই আমাকে তা আরও বেশি শক্তি জোগায় দারুণ খেলতে এবং এখানে সেটিই করতে পেরেছি। সিটি তো আমাদের ইতিহাস জানেই। তাদের জানার কথা, এই প্রতিযোগিতায় আমরা কী করেছি।”

সংবাদ সম্মেলনে একই সুরে রিয়াল বস কার্লো আনচেলত্তিও বলেন, “জানি না, ভিনি এটি দেখেছি কি না। তবে ম্যাচে যা দেখলাম, ভিনি যদি ব্যানারটি দেখে থাকে, এটা তাকে সম্ভবত আরও উজ্জীবিত করেছে ভালো করতে।”

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ য ম প য়নস ল গ

এছাড়াও পড়ুন:

গণভোট নিয়ে মতভেদে উপদেষ্টা পরিষদের উদ্বেগ

জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুতত সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়। যদিও এর আগেই এক সংবাদ সম্মেলনে এমন কথায় জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

প্রেস উইং জানায়, জাতীয় ঐক্যমত কমিশন থেকে প্রণীত জুলাই সনদ এবং এর বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপনের প্রচেষ্টার জন্য এবং বহু বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।  

এতে বলা হয়, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) আদেশ চূড়ান্তকরণ এবং এতে উল্লেখিত গণভোট আয়োজন ও গণভোটের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে লক্ষ্য করা হয় যে, ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘদিন আলোচনার পরও কয়েকটি সংস্কারের সুপারিশ বিষয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। এছাড়া, গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে ও এর বিষয়বস্তু কী হবে এসব প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর  মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে সে জন্য সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে গণভোটের সময় কখন হবে, গণভোটের বিষয়বস্তু কী হবে, জুলাই সনদে বর্ণিত ভিন্নমতগুলো প্রসঙ্গে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা নিয়ে ঐক্যমত কমিশনের প্রস্তাবগুলোর আলোকে জরুরী ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে সভা অভিমত ব্যক্ত করে।

এসব ক্ষেত্রে ফ্যসিবাদবিরোধী আন্দোলনের দীর্ঘদিনের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে স্বীয় উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে দ্রুততম সময়ে ( সম্ভব  হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে) সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা প্রদান করার আহ্বান জানানো হয়। এমন নির্দেশনা পেলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেক সহজ হবে। বলেও উল্লেখ করা হয়। পরিস্থিতিতে কালক্ষেপণের যেকোনো সুযোগ নাই সেটাও সবার বিবেচনায় রাখার জন্য বলা হয়।

সভায় ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্থে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা না পেলে কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরা আলাপ-আলোচনা করে এই বিষয়েও আমাদের একটি ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবে—এ প্রত্যাশা করছি। ওনারা যদি আলাপ-আলোচনা করেন, আমাদের জন্য কাজটি অত্যন্ত সহজ হয়। ওনারা যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, অবশ্যই সরকার সরকারের মতো সিদ্ধান্ত নেবে।” 

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ