‘স্টপ ক্রায়িং ইউর হার্ট আউট’ তাঁতিয়ে দিয়েছিল ভিনিসিয়ুসকে
Published: 12th, February 2025 GMT
ইউরোপের নতুন ‘ক্লাসিকো’তে ম্যানচেস্টার সিটি-রিয়াল মাদ্রিদ মুখোমুখি হয়েছিল মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) দিবাগত রাতে। এই ম্যাচের উত্তাপ এতোটাই বেশি ছিল যে, ইংলিশ ক্লাবটির সাবেক প্লেয়ার সার্জিও আগুয়েরো ম্যাচের আগে একটা পডকাষ্টে বলেন- ম্যানসিটি হারলে নিজের অণ্ডকোষ কেটে ফেলবেন!
এখানেই শেষ না, ম্যাচের শুরুতে যখন চ্যাম্পিয়নস লিগের সংগীত চলছে, তখন ক্যামেরায় দেখা গেল একটা ব্যানার। তাতে লিখা ছিল, ‘স্টপ ক্রায়িং ইউর হার্ট আউট’। বাংলায় যার অর্থ দাঁড়ায়- ‘কেঁদে তোমার বুক ভাসিও না’। লিখার একপাশে আবার সিটি মিডফিল্ডার রদ্রিগোর ব্যালন ডি-অর ট্রফিতে চুমু খাওয়ার একটা ছবি। সেই মুহূর্তের আবার ছবি তুলছিলেন গ্যালারিতে বসে থাকা রদ্রি। যদিও এটি বিখ্যাত ইংলিশ ব্যান্ড ‘ওয়েসিস’ এর সবচেয়ে জনপ্রিয় গান। তবে একটা শিশুও বুঝবে, গোটা ব্যাপারটা রিয়াল তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে খোঁচা দেওয়ার জন্যই করা। তবে ভিনিসিয়ুসের দাবি এসব ব্যাপার নাকি তাকে আরও তাঁতিয়ে দিয়েছিল ভালো খেলতে।
ম্যানসিটির সমর্থকরা প্রতিপক্ষের মনোযোগ নষ্ট করতে মাঠে সারাক্ষণই উস্কানিমূলক স্লোগান দিয়েছিল। এই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারের পায়ে বল গেলেই সিটি ফ্যানরা সুর তুলেছিল, ‘তোমার ব্যালন ডি’অর কই’। ভিনি কেবল রিয়ালের জার্সিতে প্রিন্ট করা ‘১৫’ সংখ্যাটি আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন। বোঝাতে চেয়েছিলেন ব্যালন ডি-অর না থাকলেও আমার দলের ১৫টা চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা আছে।
আরো পড়ুন:
রিয়াল দেখাল তারাই ‘রাজা’
ক্লাসিকোর আগে আনচেলত্তির মাথাব্যথার কারণ গার্দিওলা
এত কিছুর পরও ভিনির মনোযোগ নষ্ট করা গেল না, উল্টো এসব অপমানে তিনি আরও ভালো খললেন। ম্যাচ সেরার খেতাব জেতা ভিনিসিয়ুস বলেন, “আমি দেখেছি এটা (ব্যানার)। প্রতিপক্ষ সমর্থকেরা যখন এরকম কিছু করে, সবসময়ই আমাকে তা আরও বেশি শক্তি জোগায় দারুণ খেলতে এবং এখানে সেটিই করতে পেরেছি। সিটি তো আমাদের ইতিহাস জানেই। তাদের জানার কথা, এই প্রতিযোগিতায় আমরা কী করেছি।”
সংবাদ সম্মেলনে একই সুরে রিয়াল বস কার্লো আনচেলত্তিও বলেন, “জানি না, ভিনি এটি দেখেছি কি না। তবে ম্যাচে যা দেখলাম, ভিনি যদি ব্যানারটি দেখে থাকে, এটা তাকে সম্ভবত আরও উজ্জীবিত করেছে ভালো করতে।”
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ য ম প য়নস ল গ
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি