চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে একটিই প্রস্তুতি ম্যাচ বাংলাদেশের, প্রতিপক্ষ কে
Published: 12th, February 2025 GMT
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলবে ৮ দল, এর মধ্যে ৬ দলই এখন মাঠে ব্যস্ত। যে দুটি দলের ম্যাচ-প্রস্তুতির অভাব, তার একটি বাংলাদেশ। তবে ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ দল। আজ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির অফিশিয়াল ওয়ার্মআপ ম্যাচের সূচি ঘোষণা করেছে আইসিসি।
যেখানে বাংলাদেশের ওয়ার্মআপ ম্যাচ আছে একটি, আফগানিস্তানের দুটি। বর্তমানে পাকিস্তানে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড খেলবে একটি করে ওয়ার্মআপ ম্যাচ।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে মোট ৪টি ওয়ার্মআপ ম্যাচ রেখেছে আইসিসি। এই চার ম্যাচে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে খেলবে ‘শাহিনস’ নামে গড়া পাকিস্তানের তিনটি দল। ১৭ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ের আইসিসি ক্রিকেট একাডেমি মাঠে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান শাহিনস। যে দলটির নেতৃত্ব দেবেন মোহাম্মদ হারিস, অন্যদের মধ্যে আছেন আমের জামাল, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, উসামা মীর, সাহিবজাদা ফারহানরা।
আফগানিস্তানের দুটি ওয়ার্মআপ ম্যাচের একটি প্রতিপক্ষ শাদাব খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান শাহিনস, আরেকটিতে প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। এ ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা দল খেলবে মোহাম্মদ হুরাইরার নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান শাহিনদের বিপক্ষে। সব কটি ওয়ার্মআপ ম্যাচ দিবারাত্রির।
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ওয়ার্মআপ ম্যাচ সূচি১৪ ফেব্রুয়ারি: পাকিস্তান শাহিনস-আফগানিস্তান—করাচি
১৬ ফেব্রুয়ারি: নিউজিল্যান্ড-আফগানিস্তান-করাচি
১৭ ফেব্রুয়ারি: পাকিস্তান শাহিনস-দক্ষিণ আফ্রিকা-করাচি
১৭ ফেব্রুয়ারি: পাকিস্তান শাহিনস-বাংলাদেশ-দুবাই
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আফগ ন স ত ন আইস স
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?