ক্রিকেট খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে মসজিদে ঢুকে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ
Published: 15th, February 2025 GMT
কুমিল্লার দেবিদ্বারে ক্রিকেট খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মসজিদে ঢুকে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় বাধা দিলে হামলাকারীরা ৪ জনকে পিটিয়ে আহত করে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে দেবিদ্বার পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফতেহাবাদ দক্ষিণপাড়া বায়তুল আকসা জামে মসজিদে এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ইব্রাহীম, ইসমাইল, কামরুল ও কাওসার। এর মধ্যে, ইব্রাহীমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী মুসল্লিরা জানান, সম্প্রতি ক্রিকেট খেলা নিয়ে পার্শ্ববর্তী নয়াকান্দি গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে ফতেহাবাদ দক্ষিণপাড়া গ্রামের ছেলেদের মারামারি হয়। ওই মারামারিকে কেন্দ্র শুক্রবার বিকেলে নয়াকান্দি গ্রামের একজনকে মারধর করেন ফতাহাবাদের কয়েকজন তরুণ।
গত রাত ৮টার দিকে নয়াকান্দি গ্রামের তরুণরা ফতেহাবাদ গ্রামের কামরুল নামের একজনকে রাস্তায় পেয়ে মারধর করেন। এ সময় কামরুলের সঙ্গে থাকা অন্যরা ভয়ে মসজিদের ভেতরে আশ্রয় নেন। পরে নয়াকান্দি গ্রামের তরুণরা মসজিদে ঢুকে ভাঙচুর চালান।
এ সময় তাদের বাধা দিতে এগিয়ে এলে মসজিদের সেক্রেটারি মো.
মসজিদের ইমাম মাওলানা আবদুল আউয়াল বলেন, ‘‘শবে বরাতের বেশ কয়েকজন যুবক হাতে রড, হকিস্টিক, পাইপসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। তারা মসজিদে ঢুকে গ্লাস, দরজা-জানালা ভাঙচুর করেন। মসজিদের সেক্রেটারি ইব্রাহীম বাধা দিলে তাকেসহ ৪ জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়েছে বলে মাইকিং করলে তারা পালিয়ে যায়।’’
মসজিদের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, ‘‘মসজিদে নামাজ পড়ছিলাম। হঠাৎ দেখি একদল ছেলে মসজিদের বাইরে চারদিকে গ্লাস, দরজা-জানালা ভাঙচুর করছে। তাদের কয়েকজন মসজিদের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। পরে শুনেছি, ক্রিকেট খেলা নিয়ে আগের মারামারিকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে।’’
দেবিদ্বার থানার ওসি (তদন্ত) মো. শাহিনুল ইসলাম বলেন, ‘‘ক্রিকেট খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মসজিদে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।’’
ঢাকা/রুবেল/রাজীব
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নয় ক ন দ মসজ দ র
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় চোর সন্দেহে একজনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় চুরির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বেলা পৌনে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ব্যক্তির নাম মো. ইসরাফিল (৪০)। তাঁর বাড়ি উপজেলা সদরের জাঙ্গালিয়া গ্রামে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ ভোরে জাঙ্গালিয়া গ্রামে তিনটি মুঠোফোন ও নগদ ১ হাজার ৬০০ টাকা চুরি হয়। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে এলাকাবাসী ইসরাফিলকে নিজ বাড়ি থেকে ধরে এনে মারধর করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
ইসরাফিলের পরিবারের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কয়েক দিন আগে পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামের ইমরুল নামের এক ব্যক্তির মুঠোফোন চুরি হয়। সে সময় থেকেই ইসরাফিলকে সন্দেহ করা হচ্ছিল। আজ এলাকায় আরও একটি চুরির ঘটনা ঘটলে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে তাঁকে বাড়ি থেকে ধরে এনে পিটিয়ে হত্যা করেন।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রহমান বলেন, একরামুল নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে তিনটি মুঠোফোন ও টাকা চুরি হয়। ওই ঘটনায় ইসরাফিলকে অভিযুক্ত করে স্থানীয় লোকজন পিটুনি দেন। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আগে কয়েকটি চুরির অভিযোগ থাকলেও বর্তমানে কোনো মামলা নেই। এ ঘটনায় তাঁর পরিবার থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।