রাজশাহী নগরীর নামোভদ্রা রেললাইনের পাশের একটি ভাড়া বাসা থেকে হেলেনা আক্তার (৩৫) নামে এক নারীর অগ্নিদগ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার পুলিশ তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনার পর হেলেনার স্বামী আলমগীর হোসেন রয়েল পালিয়েছেন। হেলেনা ছিলেন আলমগীরের দ্বিতীয় স্ত্রী।

চন্দ্রিমা থানার ওসি মতিয়ার রহমান বলেন, হেলেনা দু’বছর আগে সৌদি আরবে ছিলেন। গত শুক্রবার রাতের কোনো এক সময় হেলেনাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। শনিবার সকাল ৯টার দিকে স্থানীয় এক ব্যক্তির মাধ্যমে খবর পেয়ে লাশ মর্গে পাঠায়। তাদের ঘরে তেমন আসবাব নেই। মেঝেতেই ঘুমাতেন ওই নারী। আগুনে তাঁর পুরো শরীর ঝলসে গেছে। আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেলেনার স্বামীকে খুঁজছি। 

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার সাবিনা ইয়াসমিন জানান, হেলেনার আগের ঘরে এক ছেলে আছে। সে মাদ্রাসায় থেকে পড়াশোনা করে। দ্বিতীয় স্বামীকে নিয়ে হেলেনা ওই ভাড়া ঘরে থাকতেন। পাশের ঘরের এক নারী পুলিশকে জানিয়েছে, আগুন লাগলে হেলেনার চিৎকার করার কথা। তিনি কোনো চিৎকার শোনেননি। হেলেনার মা ও ভাইয়ের সঙ্গে পুলিশের কথা হয়েছে। তারা দাবি করছেন, হেলেনাকে হত্যা করা হয়েছে। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু

আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটকে এই সমাবেশ শুরু হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন আল ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৫ দফা দাবিতে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।

জামায়াতের দাবিগুলো হলো- জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

একই দাবিতে আগামীকাল ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব জেলা বা উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ