সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

রাজধানীর প্রগতি স্মরণীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. ইব্রাহিম আনছারি অপূর্বকে গ্রেপ্তার করেছে বাড্ডা থানা পুলিশ।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা হতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

এতে বলা হয়, রাজধানীর প্রগতি স্মরণীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি মো.

ইব্রাহিম আনছারি অপূর্বকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির বাড্ডা থানা পুলিশ। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০.৫৫ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা হতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বাড্ডা থানা সূত্রে জানা যায়, গত বছর ১৯ জুলাই বাড্ডা থানাধীন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে প্রগতি স্মরণীর রাস্তায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী তৌফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া (৪৩) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী ইসমত জাহান ইলোরা বাদী হয়ে গত বছরের ২৮ জুলাই বাড্ডা থানায় মামলা করেন। গ্রেপ্তার ইব্রাহিম আনছারি অপূর্ব সে মামলার তদন্তে প্রাপ্ত আসামি। তদন্তাধীন এ মামলায় গোয়েন্দা এবং তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে অপূর্বকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বিএইচ

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
 
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।

বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ