পঞ্চগড় জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
Published: 16th, February 2025 GMT
অপারেশন ডেভিল হার্ট অভিযানে পঞ্চগড় জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর কবিরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত কবীর।
এর আগে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার ভজনপুর বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে তেঁতুলিয়া মডেল থানার পুলিশ।
আলমগীর কবির তেঁতুলিয়া উপজেলার গনাগছ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা তসির উদ্দিনের ছেলে। তিনি পঞ্চগড় জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.
তাকে উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের সিপাইপাড়া বাজারে এক ব্যবসায়ী কর্তৃক দায়েরকৃত হামলা ও ভাঙচুর মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত কবীর বলেন, “আলমগীর কবিরকে শনিবার রাতে অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়।”
ঢাকা/নাঈম/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে মাউশির দপ্তরে দুদকের অভিযান
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে কলেজের নতুন এমপিও ভুক্তির আটকে রাখা ৯১টি ফাইল পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
বুধবার দুপুরে ওই কার্যালয়ের কলেজ শাখার উপপরিচালক আলমগীর কবির টাকা ছাড়া ফাইল ছাড়েন না, এমন অভিযোগে অভিযান চালায় দুদক।
দুদকের ভাষ্যমতে, নতুন এমপিওভুক্তির জন্য ১৫২টি আবেদন পড়ে৷ ফাইল প্রথমে পরিচালক মোহা. আছাদুজ্জামানের কাছে দাখিল হয়। এরমধ্যে শর্ত পূরণ করতে না পেরে ৪৭টি বাতিল হয়। এরপর তিনি সহকারী পরিচালক আলমাস উদ্দিনের কাছে পাঠান। আলমাস উদ্দিন তা উপপরিচালক আলমগীর কবিরের কাছে পাঠিয়েছেন। আলমগীর কবির ৯২টি পরিচালকের কাছে পাঠাননি। এই ফাইল পাঠানোর জন্য মাত্র দুই দিন সময় রয়েছে।
অভিযান চলাকালে অফিসে ছিলেন না আলমগীর কবির। তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
অভিযোগ রয়েছে, এমপিওভুক্তি ও বদলির ক্ষেত্রে অন্তত লাখ টাকা ঘুষ না দিলে ফাইল পাঠানো হয় না। এর আগে গেল ১১ মার্চ একই অফিসে অভিযান চালিয়ে দুদক আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে ১৫১টি ফাইল আটকে রাখার প্রমাণ পেয়েছিল।
মাউশির আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক মোহা. আছাদুজ্জামান বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফাইল পাঠাতে বললেও, তিনি নানা তালবাহানায় সেটা করেন না।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় রাজশাহীর সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন জানান, ঘুষের জন্য ফাইল আটকে রাখেন এমন অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। ৯২টি ফাইল আটকে রাখার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর আগে ১৫১টি ফাইল আটকে রাখার প্রমাণ পেয়েছিল দুদক। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঢাকায় প্রতিবেদন পাঠান হবে।