ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ’ নেতা অপূর্ব কারাগারে
Published: 16th, February 2025 GMT
রাজধানীর প্রগতি সরণিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকেন্দ্রিক তৌফিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. ইব্রাহিম আনছারি অপূর্বকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক মো.
এর আগে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে অপূর্বকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপি পুলিশ।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ১৯ জুলাই বাড্ডা থানাধীন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে প্রগতি সরণির রাস্তায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী তৌফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী ইসমত জাহান ইলোরা বাদী হয়ে গত বছরের ২৮ জুলাই বাড্ডা থানায় মামলা করেন। গ্রেপ্তার ইব্রাহিম আনছারি অপূর্ব সে মামলার তদন্তে প্রাপ্ত আসামি।
ঢাকা/মামুন/এসবি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
খামেনিকে হত্যায় সংঘাত বাড়বে না, বরং অবসান ঘটাবে: নেতানিয়াহু
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যার আশঙ্কার বিষয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানি শীর্ষ নেতার হত্যায় ‘সংঘাত বাড়বে না, বরং অবসান ঘটাবে’।
তিনি বলেন, ‘ইরানি নেতার হত্যার সম্ভাব্য পরিকল্পনা ইরান ও ইসরায়েল মধ্যকার চলমান সংঘাতকে ‘আরও বাড়িয়ে তুলবে না, বরং সংঘাতের অবসান ঘটাবে’।
এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহুকে প্রশ্ন করা হয়, খামেনিকে হত্যার লক্ষ্যবস্তু করার চিন্তা আছে কিনা। প্রশ্নের জবাবে নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরান দীর্ঘদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। ইরান ‘চিরস্থায়ী যুদ্ধ’ চায় এবং ইসরায়েলে পরমাণু যুদ্ধের কিনারায় নিয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, ইসরায়েল এই আগ্রাসন ঠেকাচ্ছে। এটা ঠেকাতে হলে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই হবে। আমরা যা প্রয়োজন, তাই করছি।
ইরানের সঙ্গে সংঘর্ষে ইসরায়েল বিজয় অর্জন করতে যাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সোমবার ইসরায়েলি বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, আমরা বিজয় অর্জনের পথে। এর আগে, তেহরানের আকাশ ‘পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ অর্জন’ করার দাবি করেন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী কর্মকর্তারা। সেইসঙ্গে, ইরানের মিসাইল লঞ্চার বা ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ যন্ত্রের ‘এক-তৃতীয়াংশ ধ্বংস'’করে দেওয়ারও দাবি করেন তারা।
সেই দাবিই পুনর্ব্যক্ত করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের দু'টি লক্ষ্য অর্জনের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। পারমাণবিক হুমকি নির্মূল এবং ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি নির্মূল করা।
ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকদেরকে ইরান হামলার লক্ষ্যবস্তুে পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেন নেতানিয়াহু। বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনের সময় সেখানে উপস্থিত সেনাদের উদ্দেশে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের ধন্যবাদ। সৃষ্টিকর্তার সাহায্যে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করবো এবং সফল হব। বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত আমরা (যুদ্ধ) চালিয়ে যাব।’