যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া শান্তি আলোচনায় ইউক্রেন আমন্ত্রণ পায়নি
Published: 17th, February 2025 GMT
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যকার আলোচনায় কিয়েভকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ইউক্রেন সরকারের একটি উচ্চপর্যায়ের সূত্র বিবিসিকে এই তথ্য জানিয়েছে।
ইউক্রেন বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত কেইথ কেলগ অবশ্য বলেছেন, সৌদি আরবে আজ সোমবারের এই আলোচনায় কিয়েভ অংশ নেবে।
কিন্তু ইউক্রেন সরকারের উচ্চপর্যায়ের সূত্রটি বলেছে, আলোচনায় কিয়েভের কোনো প্রতিনিধিদল উপস্থিত থাকবে না।
এমনকি ইউরোপীয় নেতাদেরও এই আলোচনায় যোগ দিতে বলা হয়নি। এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনার জন্য আজ জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউরোপীয় নেতারা। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে এই সম্মেলন হবে। সম্মেলনের আয়োজক ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনায় ইউরোপকে যুক্ত করা হচ্ছে না—এ নিয়ে উদ্বেগ থেকে ইউরোপীয় নেতারা জরুরি এই সম্মেলন করছেন।
গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গিতে একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। ইউক্রেন নিয়ে একটি টালমাটাল সপ্তাহের পার হওয়ার পর এখন বিভিন্ন পক্ষ পৃথক বৈঠক করছে।
হোয়াইট হাউসের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ নিশ্চিত করেন, ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যকার প্রথম মুখোমুখি আলোচনার জন্য তিনি গতকাল রোববার সন্ধ্যায় সৌদি আরব গেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গতকাল জানান, তাঁর দূত স্টিভ উইটকফ ইতিমধ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁরা প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠক করেছেন।
আরও পড়ুনইউক্রেন বিষয়ে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন ইউরোপের নেতারা১৮ ঘণ্টা আগেস্টিভ উইটকফ একজন ধনকুবের। তিনি রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার। তিনি ট্রাম্পের বন্ধু। গাঁজা রাখার অভিযোগে রাশিয়ায় কারাবন্দী থাকা এক মার্কিন শিক্ষকের মুক্তি নিশ্চিত করতে স্টিভ উইটকফ গত সপ্তাহে মস্কোয় গিয়েছিলেন।
সৌদি আরবে অনুষ্ঠেয় আলোচনায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজও যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের ফোনালাপের এক সপ্তাহের কম সময়ের ব্যবধানে সৌদিতে এই বৈঠক হতে যাচ্ছে।
গত বুধবার ট্রাম্প ও পুতিন ফোনে কথা বলেন। এর মধ্য দিয়ে ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের ক্ষেত্রে তিন বছরের স্থবিরতার অবসান ঘটে।
আরও পড়ুনরাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় ইউরোপকে যুক্ত করা হবে না: ট্রাম্পের দূত১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বারবার বলে আসছেন, কিয়েভকে আলোচনার বাইরে রেখে করা কোনো শান্তিচুক্তি তিনি মেনে নেবেন না।
গতকাল মার্কিন টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এনবিসিকে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যকার কোনো সিদ্ধান্ত তিনি কখনোই গ্রহণ করবেন না।
আরও পড়ুনইউক্রেন বিষয়ে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন ইউরোপের নেতারা১৮ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউক র ন য দ ধ ইউর প
এছাড়াও পড়ুন:
না-দেখা প্রেমের সুন্দরতার মতন
স্বপ্নের রং
বিকালের ঘুম স্বপ্নময়।
স্বপ্নে তোমার সাথে দেখা।
স্বপ্নের রং সবুজ। তারপর হালকা গোলাপি।
তোমার পরনের শাড়ির মতন। সুন্দর।
তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছিল।
তুমি বসে ছিলে। পাশ দিয়ে চলে যাবার সময় আমরা দেখেছিলাম পরস্পর।
তোমাকে ঘেঁষে আমি দাঁড়িয়েছিলাম। তোমাকে দেখছিলাম। না-দেখা প্রেমের সুন্দরতার মতন।
তুমি স্বপ্ন। স্বপ্ন দেখার অনেক সমস্যা।
স্বপ্নের কোনো রং থাকে না।
তোমাকে ভালোবাসবার রং সবুজ ও গোলাপি।
তুমিও শিকার। আমি তার লব্ধ কারিগর।
তোমাকে তুলে এনে বাগানে রেখেছি।
প্রাকৃতিক। মায়ের শাল দুধের মতন নতুন।
অভিজ্ঞতাময়। শিহরিত অমূল্য রত্নধন।
আমি সুস্বাস্থ্যে তোমারে চেয়েছি, আপন।
পাই নাই রূপ, নিজের অরূপ কেমনে মেলে ধরি
তুমি এমন কারিগর, নিরুদ্দেশে, আজব শিকারি!
বসে থাকো, অরূপ ছায়া ধরে, ভাণ্ডে-ব্রহ্মাণ্ডে গোপন
নিরাকারে, তোমাকে আমায় দেখি, বায়ুর সিংহাসন।
একা একটা আকাশ মাথা বেয়ে পুকুরে এসে পড়েছিল। আমি দেখিনি! তার তীরে কিছুক্ষণ গল্পগুজব শেষে পাতা দেখছিলাম, গাছ দেখছিলাম। নৈবেদ্যসহ মায়াদেবীর মন খারাপ করা হাঁটুমোড়া ছায়া ছিল দেখছিলাম! সারা রাত কাল ছায়ারা ঘুরেছে একা। না দেখার তৃপ্তি আছে, দেখার আনন্দের চেয়েও। আমরা গাছ দেখি, পাতা দেখি—গাছের কষ্ট দেখি না। শিকড়ের আর্তনাদ দেখি না। পাতার শিরায় যেসব দুঃখরেখা সেসব দেখি না। এমনকি ভাবিও না তাদের অবহেলা ও উপেক্ষার কথা। আমরা সবাই ফুটফুটে বাচ্চার মুখের হাসির মতো আমাদের মুখ দেখতে চাই। আমরা জানি না, বেদনার শতমুখ আমাদের মুখে বসে কেমন মাতম করছে! কাল রাতে ছায়ারা জেগেছিল। তোমাকে ঘুমাতে না দেওয়ার অজুহাতে। তুমি ছিলে মাটির নিচে শিকড়ের নীরবতার মতো গহন ও বিস্তৃত ঘুমে।
ইচ্ছাকবিতাও শাওয়ারে যাইতে চায়, তোমারে শাওয়ারে দেখতে ইচ্ছা করে। সন্ধ্যার শাওয়ার নরম হয় কি না। কত কিছু ইচ্ছা হয় হাওয়ামুখর সন্ধ্যায়। বেল ফল হিসেবে অনেক ভালো, সুস্বাদু, পরোপকারী; তারে চামড়াসহ খাইতে কত শখ, আজও মেটে নাই। তোমারে দেখার কত বাসনা! মিঠাপুকুর কেন যাওয়া হয়নি, আজও তারও কোনো কারণ নাই; অথচ দিল্লি, লরা দত্ত, আফ্রিকা, গ্রেভসের কালো কালো উত্তাপ, রাজ্য ও রাষ্ট্রে কত শাদা প্রেম রাষ্ট্র হয় জানা হয় নাই। এত কিছু না হওয়ার সাথে তোমারে দেখতে চাওয়ার যেসব মিল, তারাও পরাবাস্তব, উড়ালপ্রিয় বৃষ্টির আগে-পরে। আগে পরে কত প্লেন ওঠানামা করে, কত মন ক্ষয় হয় পূর্ণ বিষাদে, কতজন প্রিয়াঙ্গনে জড়ায়া ঘুমাতে যায়। আর তোমারে, বিউটি লাক্স, দুরন্ত কসমেটিকস, উড়ন্ত বডি স্প্রে, খয়েরি লিপস্টিক, মাশকারার আনন্দ আর কত রকমের জেল, প্রিয় রেভলনসামগ্রী, আহা জেলিফিশ, কত ভাব লয়া ঘনিষ্ঠভাবে কত উপচারে দেখে দেখে খুশিতে ক্লান্ত হয়! এই সব সুগন্ধে তাজা ভাব জাগে, মনকাড়া কবিতাও টাওয়ারে উঠে শাওয়ারে যাইতে চায়;—এই চাওয়া নিরপরাধ, ঘনিষ্ঠ, আপনায়- তোমারে শাওয়ারে চায়। অথচ আমি কোনো দিন একটাও ধরি নাই চড়াই, শালিকের লেজ। আর তোমার উত্তেজে দ্বিত্ব সত্তায় পরাবাস্তব শরীরের দিকে হেলে পড়ি, সমুদ্রজলের উচ্ছ্বাসের সমান তোলপাড়, পাড়ে পাড়ে ফেনার সমান মনে তোমার শাওয়ার আমারে ভাসায়া ডুবায়া কই থিকা কই লয়া যায়! আমার আর কিচ্ছু ইচ্ছা করে না তোমারে শাওয়ারে ছাড়া।
লীলাআমি লীলা পরাই ছন্দে ছন্দে ভাব; আমি মরি মরি হেসে। পরাই ছন্দে হাসি, নৃত্যে ছড়াই গান সন্ধ্যাভাব বিলাসে। আমি লীলা আমার পায়ে পায়ে মদ, মত্ত চোখের উন্মাদনা আমার কণ্ঠে উথাল ঢেউ, গন্ধে বর্ণ ভাসাই অভিলাষে। আমি লীলা আনীলা পরানসখি, জড়াই বায়ু দেহে, সস্নেহে বিষ পুড়াই অন্তর, ভাব অভিনব, ওড়াই অনায়াসে। আমি লীলা দুর্লভ সংকেতে রেখে যাই সবুজ চিহ্ন, আগুন, আন্ধার, আলোর তিয়াসে। আমি লীলা সর্বনামে আপনায় আপন মদে, আপনার মাঝে আমি অরূপে রূপরে সাজাই সকাশে। আমি লীলা করি। হাসি। ভাসিয়া বেড়াই।