সুনামগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার আ. ফ. ম. আনোয়ার হোসেন খানকে (এসপি) প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ হেডকোয়ার্টর্স থেকে পাঠানো আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টর্স ডিআইজি (প্রশাসন) কাজী মো. ফজলুল করিম চিঠিতে সই করেন।
আরো পড়ুন: আমি আজ চাকরি ছাড়লে কালই নির্বাচন করতে পারব
আরো পড়ুন:
ছিনতাইকারীকে ধাওয়া দিয়ে ধরলেন সার্জেন্ট মামুন
চট্টগ্রামে যুবলীগ-ছাত্রলীগের আরো ৩৯ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, “সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার নিকট দায়িত্বভার অর্পণ করে আপনি ১৮/২/২০২৫ তারিখে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ঢাকায় রিপোর্ট করবেন। যথাযথ কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে এই স্মারক জারি করা হলো।”
এর আগে আ.
গত ৫ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) আ ফ ম আনোয়ার হোসেন খানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, “আমি আজ চাকরি ছাড়লে কালই নির্বাচন করতে পারব, বিএনপির সবচেয়ে বড় বড় নেতার সঙ্গে আমার যোগাযোগ আছে।”
গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় তাকে এই মন্তব্য করতে শোনা যায় ভিডিওতে।
ভিডিওতে এসপি উত্তেজিত হয়ে গণঅধিকার পরিষদের নেতা এম এস মাসুম আহমদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। এক পর্যায়ে মাসুম আহমদকে গলা ধরে বের করে দিতে বলেন এসপি আ ফ ম আনোয়ার হোসেন খান।
ওই ঘটনা প্রসঙ্গে পরবর্তীতে আ ফ ম আনোয়ার হোসেন খান বলেছিলেন, “ছেলেটা আমার সঙ্গে বেয়াদবি করেছে। তাও চেয়েছিলাম শান্ত থাকাতে, হয়তো পূর্নাঙ্গ ভিডিও দেখলে বিষয়টি বুঝতে পারতেন।”
ঢাকা/মনোয়ার/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ন মগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লা পুলিশের সহায়তায় আপন ঠিকানায় মানসিক প্রতিবন্ধী নারী
নারায়নগঞ্জের জেলার ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় আমেনা বেগম (৩৮) নামের এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারী ফিরে গেলো তার আপন ঠিকানায়।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে তাকে উদ্ধার মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পরিবারের লোকজন কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। মানসিক প্রতিবন্ধী নারী কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার লনেস্বর গ্রামের জহিরুল হকের স্ত্রী।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ জানায়, সোমবার রাত ১১ টার দিকে ফতুল্লা বাজার এলাকায় অস্বাভাবিক আচরন করতে থাকা মানসিক প্রতিবন্ধী নারীকে ঘিরে লোকজনের ভীড় উপস্থিতি দেখতে পেয়ে এগিয়ে যায় পুলিশ।
নারীটির আচরন ও কথাবার্তা শুনে মানসিক প্রতিবন্ধী মনে হওয়ায় তাকে ফতুল্লা মডেল থানায় নিয়ে আসা হয়। প্রতিবন্ধী নারীর বিচ্ছিন্নভাবে প্রদত্ত তথ্যের সমন্বয়ে থানা পুলিশ ধারণা করেন যে তার বাড়ী কুমিল্লা জেলার কোন এক জায়গায়।
মঙ্গলবার সকালে মানসিক প্রতিবন্ধী নারী নানা কথাবার্তার এক পর্যায়ে তার বাড়ী এবং পরিবারের সদস্যদের বিষয়ে বিস্তারিত জানায়।পরবর্তীতে পুলিশ বেলা ১১ টার দিকে
ঐ নারীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে। পরে কুমিল্লা থেকে বিকেল ৪ টার ঐ নারীর ভাই সহ পরিবারের অপর সদস্যরা থানায় এলে মানসিক প্রতিবন্ধী নারী আমেনা বেগম কে গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে তুলে দেয়।
আমেনা বেগমের ভাই মোঃ মানিক জানায়,তার বোন মানসিক রুগী। বোন জামাই প্রবাসী। সোমবার সকাল ১০ টার দিকে নিজ বাসা থেকে পরিবারের সকলের অগোচরে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। তারা তাকে খুঁজে পেতে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ ও করতেছিলো।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে ফতুল্লা থানা পুলিশ তাদের কে মোবাইল ফোনে ফোন করে তার বোনকে পাওয়ার বিষয়টি জানায়। পরে চারটার দিকে তারা ফতুল্লা থানায় এসে তার বোনকে পায়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক গাজী শামীম জানান,নারীটি রাতে ঠিকমতো কিছু বলতে পারছিলোনা। সকালে তার সাথে দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তার ফলে বাসার ঠিকানা জানতে পারেন। তখন সেখানকার থানার সাথে যোগাযোগ করেন।
থানা থেকে স্থানীয় মহিলা মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করেন। পরবর্তীতে ঐ মহিলার ইউপি সদস্যের মাধ্যমে নারীর পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ হয়। বিকেল চারটার দিকে ঐ নারীর পরিবারের সদস্যরা ফতুল্লা থানায় এলে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।