কানাডায় অবতরণের সময় উল্টে গেল বিমান, আহত ১৮
Published: 18th, February 2025 GMT
কানাডার টরেন্টোতে অবতরণের সময় একটি বিমান উল্টে গেছে। এতে এক শিশুসহ ১৮ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সিএনএন এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিমানটিতে ৭৬ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু ছিলেন। উদ্ধারকর্মীরা তাদের সবাইকে উদ্ধার করেছেন।
টরন্টো পিয়ারসন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টরন্টোতে ব্যাপক তুষারপাত হয়েছিল। আবহাওয়াও খারাপ ছিল। তবে আবহাওয়ার জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এছাড়া, আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতির কারণে বিমান চলাচল ব্যহত হচ্ছে।
বিমানবন্দর থেকে ফায়ার সার্ভিস প্রধান টড এইডকেইন জানিয়েছেন, রানওয়ে ছিল শুষ্ক।
কানাডার পরিবহনমন্ত্রী অনিতা আনন্দ জানান, তিনি বিষয়টির ওপর নজর রাখছেন।
দুর্ঘটনাকবলিত বিমানের যাত্রী জন নেলসন সিএনএনকে বলেন, “এটা আশ্চর্যজনক যে আমরা এখনো এখানেই আছি।”
তিনি বিমানের ১০ নম্বর সারিতে ছিলেন। দুর্ঘটনার সময়ের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, “ বিমান উল্টে যাওয়ার পর লোকজন বের হওয়ার জন্য চিৎকার শুরু করেন। ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।” বিমান উল্টানোর পর তিনি ও তার পাশের যাত্রীও উল্টো হয়ে ঝুলছিলো বলে জানান। পরে উদ্ধারকর্মীরা তাদের উদ্ধার করেন।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে আবারও বিমান বিপর্যয়, পাইলটের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচলেন ২৫০ হজযাত্রী
ভারতের লখনৌতে অবতরণের সময় সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ল্যান্ডিংয়ের পরই বিমানের বাঁ দিকের চাকা থেকে ধোঁয়া বের হতে শুরু করে, দেখা যায় স্ফুলিঙ্গও। পাইলটের তৎপরতায় নিরাপদভাবে ২৫০ জনকে নামানো হয় লখনৌয়ে।
রোববার ভোরে এ ঘটনা ঘটেছে। সৌদি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এসভি-৩১১২ শনিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে জেদ্দা থেকে রওনা দেয়। রোববার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে বিমানটি লখনৌয়ের চৌধুরি চরণ সিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরনের কথা রয়েছে।
বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানান, অবতরণের ঠিক পরপরই বিমানের বাঁ দিকের চাকায় ধোঁয়া এবং আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে পাইলট বিপদ সংকেত পাঠান কন্ট্রোল রুমে। কোনো ঝুঁকি না নিয়ে বিমানটিকে রানওয়ে থেকে সরিয়ে আনা হয় ট্যাক্সিওয়েতে।
তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বিমানবন্দরের এমার্জেন্সি রেসপন্স টিম। ফোম ও জল ব্যবহার করে ২০ মিনিটের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে আনা হয় পরিস্থিতি। এরপর একে একে বিমান থেকে নামিয়ে আনা হয় সব যাত্রী ও কর্মীদের। সৌভাগ্যবশত, কারো কোনো চোট লাগেনি।
তদন্তে জানা যায়, বিমানের হুইল অ্যাসেম্বলিতে আচমকা হাইড্রলিক তরল লিক করায় অতিরিক্ত ঘর্ষণে বেশি তাপ তৈরি হয়েছিল। সেটাই ধোঁয়া ও স্ফুলিঙ্গের কারণ। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই সমস্যা যদি উড়া চলাকালীন বা টেক-অফের সময় ঘটত, তাহলে বড় বিপদ হতে পারত।
ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ালেও পাইলটের দক্ষতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ফ্লাইটটি হাজযাত্রীদের নিয়ে জেদ্দা থেকে এসেছিল এবং খালি অবস্থায় সৌদি আরবে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।