অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য রণজিৎসহ স্ত্রী-সন্তানের বিরুদ্ধে মামলা
Published: 18th, February 2025 GMT
যশোর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রণজিৎ কুমার রায় ও তাঁর স্ত্রী নিয়তি রানী রায় এবং দুই সন্তানের বিরুদ্ধে সাড়ে ১৫ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও বিভিন্ন ব্যাংকে ২১৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকার সন্দেহভাজন লেনদেনের অভিযোগে পৃথক চারটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো.
আক্তার হোসেন বলেন, যশোর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রণজিৎ কুমার রায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৬ কোটি ১২ লাখ টাকা অর্জন করেছেন। তাঁর নিজ নামে ২৫টি ব্যাংক হিসাবে ৩৯ কোটি টাকার সন্দেহভাজন লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে।
দুদক কর্মকর্তা বলেন, রণজিতের স্ত্রী নিয়তি রানী রায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১ কোটি ৯৯ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তাঁর নিজ ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ২১টি ব্যাংক হিসাবে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলায় স্বামী রণজিৎ কুমার রায়কেও আসামি করা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, রণজিত–নিয়তি রানী দম্পতির ছেলে রাজিব কুমার রায় ও সজিব কুমার রায়ের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় রাজিব কুমার রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তাঁর নিজ ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ৬৯ ব্যাংক হিসাবে ১৬২ কোটি ৩৪ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, রাজিবের ভাই সজিব কুমার রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁর নিজ ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১৮ ব্যাংক হিসাবে ৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বলেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১০ কোটি ৩৪ লাখ ৫৭ হাজার ৪২৭ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাঁর তিনটি ব্যাংক হিসাবে ৮ কোটি ৩২ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করা হয়েছে।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, এসব অর্থ তিনি জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের কাজে ব্যবহার করেছেন। এ প্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২–এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭–এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
দুদক জানিয়েছে, শিগগিরই এই মামলার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে এবং আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।