অবিলম্বে শিক্ষার সুস্থ পরিবেশ ফিরে আসুক
Published: 20th, February 2025 GMT
ছাত্রদের দাবি মেনে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকবে বলে বুধবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিন্ডিকেট। এ ছাড়া রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার সম্পৃক্ততা পেলে শিক্ষার্থীদের আজীবন বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিলের পাশাপাশি শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও কোনো ধরনের রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা তদন্তে কমিটি করা হয়েছে।
সিন্ডিকেটের এই সিদ্ধান্ত কুয়েটে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পারবে কি না, সেটাই প্রশ্ন। মঙ্গলবার লিফলেট বিতরণের মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সংঘাতে শতাধিক আহত হন। এর মধ্যে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী হলেও বহিরাগতরাও ছিলেন। ক্যাম্পাসে এখন যাঁরা সক্রিয় আছেন, তাঁরা সবাই স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অংশীদার বলে নিজেদের দাবি করেন। তাহলে তাঁদের মধ্যে এই সংঘাত কেন? নীতি ও আদর্শ নিয়ে কোনো বিরোধ থাকলে মীমাংসা করতে হবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই। এখানে হামলা, সংঘর্ষ ও জবরদস্তির সুযোগ নেই।
গত মঙ্গলবার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ক্যাম্পাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর উপাচার্যের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেছিলেন শিক্ষার্থীরা। ছাত্রদলের অভিযোগ, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা লিফলেট বিতরণের মতো নিরীহ কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব হবে অবিলম্বে ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা। কিন্তু সে ক্ষেত্রে ছাত্রদেরও সহায়তার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। তাদের অন্যান্য দাবির প্রায় সবটাই কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়েছে। কিন্তু তাদের তালিকা অনুযায়ী ছাত্রদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং উপাচার্য, সহ–উপাচার্য ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগের দাবির যৌক্তিকতা কতটা আছে? তদন্ত কমিটি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি ছাত্রদের আস্থা থাকতে হবে। নিরাপত্তার কারণে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করা হয়েছে, কিন্তু এটা যাতে কোনোভাবে প্রলম্বিত না হয়। সাধারণ ছাত্ররা যেমন অভিযোগ করেছেন, তেমনি ছাত্রদলের পক্ষ থেকেও অভিযোগ এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তো পরস্পরবিরোধী অভিযোগকারীর কথায় চলতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয় চলবে এর আইন ও বিধিবিধান দ্বারা।
ধারণা করা হয়েছিল, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর জাতীয় রাজনীতি ও ছাত্ররাজনীতির গুণগত পরিবর্তন হবে। কিন্তু সেটা যে হয়নি, কুয়েটের ঘটনাই তার প্রমাণ। এর সঙ্গে কেবল ক্যাম্পাস নয়, এর বাইরের রাজনীতির সম্পৃক্ততাও লক্ষণীয়। খুলনা বিএনপির পক্ষ থেকে ছাত্রদলের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার জন্য ইসলামী ছাত্রশিবিরকে দায়ী করা হয়েছে। কিন্তু যুবদলের রামদাধারী ব্যক্তি কেন ক্যাম্পাসে ঢুকে মারামারিতে যোগ দিলেন, সে প্রশ্নের উত্তর তারা দেয়নি। কোনোভাবেই বাইরের রাজনীতি ক্যাম্পাসে আনা যাবে না।
আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিগত সময়ে এবং স্বৈরাচারী সরকারের আমলে ছাত্ররাজনীতির নামে যে জবরদস্তি ও একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ কায়েমের সংস্কৃতি চলেছে, তা আর চলতে পারে না। শিক্ষার্থীরা সুস্থ ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির চর্চা করবেন, এটাই প্রত্যাশিত। তঁারা নিজেদের সমস্যা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে দর-কষাকষি করবেন। কিন্তু জবরদস্তিকে প্রশ্রয় দেবেন না। অবিলম্বে কুয়েটে শিক্ষার সুস্থ ও স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসুক।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ব শ ফ র ছ ত রদল র র র জন ত র জন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
আজ টিভিতে যা দেখবেন (১ আগস্ট ২০২৫)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ–পাকিস্তান টি–টোয়েন্টি সিরিজ আজ শুরু। যুব ওয়ানডেতে আছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দলের ম্যাচ। ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় দিন আজ।ত্রিদেশীয় যুব ওয়ানডে
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯–জিম্বাবুয়ে অনূর্ধ্ব–১৯
দুপুর ১–১৫ মি., জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট ইউটিউব চ্যানেল
ওয়েস্ট ইন্ডিজ–পাকিস্তান
সকাল ৬টা, পিটিভি স্পোর্টস
জিম্বাবুয়ে–নিউজিল্যান্ড
দুপুর ২টা, টি স্পোর্টস
ইংল্যান্ড–ভারত
বিকেল ৪টা, সনি স্পোর্টস টেন ১
কানাডিয়ান ওপেন
রাত ৯–৩০ মি., সনি স্পোর্টস টেন ২