গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কা, প্রাণ গেল চালক-সুপারভাইজারের
Published: 22nd, February 2025 GMT
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে গাছের সাথে বাসের ধাক্কা লেগে চালক ও সুপারভাইজার নিহত হয়েছেন। এ সময় অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন। আহতদের কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের উপজেলার হিরণ্যকান্দি সাম্পান হাইওয়ে রেস্টুরেন্টের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের চালক মন্টু শেখ (৫৫) ও সুপারভাইজার আরিফ হোসেন। কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার আজিজুল হক রাজন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী সোহাগ পরিবহনের পিছনে প্রথমে টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দেয়। পরে টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে লাগায়। এতে টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের চালক ও সুপারভাইজারসহ ১০ জন আহত হন।
আহতদের কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাসের ড্রাইভার মন্টু শেখ ও সুপারভাইজার আরিফ হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ প লগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
১৭ দিন পর কাটলো অচলাবস্থা, চক্ষু হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু
জুলাই আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে কর্মচারীদের সংঘর্ষের জেরে বন্ধ হওয়ার ১৭ দিন পর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরি ও বহির্বিভাগের সেবা চালু করে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার সঙ্গে প্রয়োজনে রোগী ভর্তি রেখেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে ৪ জুন জরুরি বিভাগ ও ১২ জুন সীমিত পরিসরে আউটডোরের সেবা চালু করে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম বলেন, শনিবার সকাল থেকে হাসপাতাল পুরোদমে সেবা চালু হয়েছে। রোগীদের সেবা দিতে চাই এবং চিকিৎসক-নার্সদেরও নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি করতে চাই।
কর্মরত একজন চিকিৎসক বলেন, আমরা সকাল থেকে রোগীদের সেবা দেওয়া শুরু করেছি জরুরি ও বহির্বিভাগে পূর্ণাঙ্গ সেবা পাচ্ছেন রোগীরা। প্রয়োজনে ভর্তি ও অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে।
এর আগে গত ২৮ মে আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে হাসপাতালের কর্মী, সাধারণ রোগী এবং তাদের স্বজনদের মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকে হাসপাতালটিতে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতালটিতে শুধু জুলাই আহতরা অবস্থান করেন। অন্তর্বর্তী সরকার তাদের জন্য বিশেষ উদ্যোগে খাবার সরবরাহ করেছে।
সরকার গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের ছাড়পত্র দিলেও ঈদের ছুটি শেষে তারা আবারও দুয়েকজন করে এই হাসপাতালে ফিরতে শুরু করেছেন। জুলাই আহতরা জানিয়েছেন- তারা এ হাসপাতাল থেকেই চিকিৎসা নিতে চান।