নরসিংদীতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত ৬৩
Published: 22nd, February 2025 GMT
নরসিংদী সদর উপজেলার বাসাইল এলাকায় বাস-ট্রাক-প্রাইভেটকারের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ৬৩ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে দুইজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাসাইল এলাকায় সিলেটমুখী মালবোঝাই একটি ট্রাকের সঙ্গে ঢাকামুখী একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় পেছন থেকে একটি প্রাইভেটকার দুর্ঘটনাকবলিত বাসের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে বাস-ট্রাক ও প্রাইভেটকারে থাকা ৬৩ জন যাত্রী আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বাসের এক যাত্রী ও ট্রাকের চালককে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠান।
ইটাখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘‘দুর্ঘটনাকবলিত বাস-ট্রাক-প্রাইভেটকার পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’’
আরো পড়ুন:
যানজটে জামায়াত আমিরের গাড়িবহর, ছাড়াতে গিয়ে বাসচাপায় কর্মীর মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে অটোভ্যানে বাসের ধাক্কা, নিহত ২
ঢাকা/হৃদয়/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
১৭ দিন পর কাটলো অচলাবস্থা, চক্ষু হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু
জুলাই আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে কর্মচারীদের সংঘর্ষের জেরে বন্ধ হওয়ার ১৭ দিন পর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরি ও বহির্বিভাগের সেবা চালু করে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার সঙ্গে প্রয়োজনে রোগী ভর্তি রেখেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে ৪ জুন জরুরি বিভাগ ও ১২ জুন সীমিত পরিসরে আউটডোরের সেবা চালু করে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম বলেন, শনিবার সকাল থেকে হাসপাতাল পুরোদমে সেবা চালু হয়েছে। রোগীদের সেবা দিতে চাই এবং চিকিৎসক-নার্সদেরও নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি করতে চাই।
কর্মরত একজন চিকিৎসক বলেন, আমরা সকাল থেকে রোগীদের সেবা দেওয়া শুরু করেছি জরুরি ও বহির্বিভাগে পূর্ণাঙ্গ সেবা পাচ্ছেন রোগীরা। প্রয়োজনে ভর্তি ও অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে।
এর আগে গত ২৮ মে আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে হাসপাতালের কর্মী, সাধারণ রোগী এবং তাদের স্বজনদের মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকে হাসপাতালটিতে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতালটিতে শুধু জুলাই আহতরা অবস্থান করেন। অন্তর্বর্তী সরকার তাদের জন্য বিশেষ উদ্যোগে খাবার সরবরাহ করেছে।
সরকার গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের ছাড়পত্র দিলেও ঈদের ছুটি শেষে তারা আবারও দুয়েকজন করে এই হাসপাতালে ফিরতে শুরু করেছেন। জুলাই আহতরা জানিয়েছেন- তারা এ হাসপাতাল থেকেই চিকিৎসা নিতে চান।