ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ শুধু একটি ক্রিকেট ম্যাচ নয়! এটি দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটি ধাপও। এই যেমন এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ভারত–পাকিস্তান ম্যাচের আগে ভারতকে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে অন্য ধরনের উপহার দেওয়া হলো। কী সেই উপহার?

পাকিস্তানের জেলখানায় বন্দী ২২ জন ভারতীয় জেলেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিসিবি প্রধান মহসিন নাকভি। মাছ ধরতে গিয়ে পাকিস্তানি জলসীমায় প্রবেশ করায় আটক করা হয়েছিল এই জেলেদের। মহসিন নাকভি পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও।

কাল দুবাইয়ে দলের অনুশীলন দেখতে এসে এই খবর জানিয়েছেন নাকভি। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে অন্য বিষয় নিয়েও কথা বলেছেন পিসিবি প্রধান। কাল দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে বসেছিলেন নাকভি। অনুশীলনে না থাকায় সেখানে অবশ্য উপস্থিত ছিলেন না বাবর আজম।

জেলেদের মুক্তি দেওয়ার প্রসঙ্গ উঠে এসেছে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে। লাহোরে কাল অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচের আগে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীতের পরিবর্তে কয়েক সেকেন্ড বাজানো হয়েছে ভারতের জাতীয় সংগীত। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই নাকভি বলেন, ‘টুর্নামেন্ট আইসিসি আয়োজন করছে।’ সঙ্গে তিনি যোগ করে বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে আমরা ২২ জন ভারতীয় জেলেকে মুক্তি দিয়েছি।’

দলের সঙ্গে আলোচনা করছেন মহসিন নাকভি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

উৎসবমুখর পরিবেশে হবে দুর্গাপূজা: ডিএমপি কমিশনার

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে। আগের মতোই সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা অনুকূল পরিবেশে ও নির্বিঘ্নে হবে। 

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে ডিএমপির সদর দপ্তরে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেছেন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ৩ পুলিশ নিহত

এবার ঢাকা মহানগরীতে ২৫৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে, জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, মণ্ডপভিত্তিক নিরাপত্তা পরিকল্পনার বাইরে পৃথক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও থাকবে। প্রতিমা বিসর্জনের দিন সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়া হবে।

প্রস্তুতি সভায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, উপাধ্যক্ষ রামকৃষ্ণ মিশন মঠসহ সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তারা শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গৃহীত নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ধন্যবাদ জানান। 

সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মাসুদ করিম, অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত কমিশনার (লজিস্টিকস) হাসান মো. শওকত আলী, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. জিললুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকতা এবং সশস্ত্র বাহিনী, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও সেবা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এমআর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ