সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা শওকত আলী আর নেই
Published: 23rd, February 2025 GMT
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এ এম এম শওকত আলী মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৭টায় ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ তথ্য জানিয়েছেন তার ছেলে ফারাহাত শওকত।
তিনি জানান, বছর দুয়েক আগে তারা বাবা শওকত আলী স্ট্রোক করেন। এরপর থেকে তিনি শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। আজ বাদ আছর গুলশান সোসাইটি মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বনানী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে।
শওকত আলী ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এক ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।
শওকত আলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকানোর পর ১৯৬৪ সালে কিছুদিন সাংবাদিকতা করেন। পরের বছর যোগ দেন অধ্যাপনায়। এরপর ১৯৬৬ সালে তৎকালীন সিভিল সার্ভিস অব পাকিস্তানে যোগ দিয়ে সরকারি বহু গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেন।
২০০১ সালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে সরকারি চাকরি থেকে শওকত অবসর গ্রহণ করেন। এরপর তিনি গবেষক ও পরামর্শক হিসেবে কাজ শুরু করেন। কৃষি, খাদ্য, দারিদ্র্য বিমোচন, সুশাসন ও মানবাধিকার সংক্রান্ত নিয়মিত কলাম লিখতেন পত্রিকায়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নদীতে মিলল স্কুলছাত্রের লাশ, চার সহপাঠী আটক
চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও হামিদচর এলাকায় কর্ণফুলী নদী থেকে এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে লাশটি উদ্ধার হয়। পুলিশ বলছে, পরিকল্পিতভাবে মারধরের পর ওই স্কুলছাত্রকে নদীতে ফেলে দেয় তার কয়েকজন সহপাঠী। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে।
নিহত স্কুলছাত্রের নাম রাহাত ইসলাম (১২)। সে নগরের চান্দগাঁও সানোয়ারা বয়েজ স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে চান্দগাঁও থানার পূর্ব ফরিদেরপাড়া এলাকার লিয়াকত আলীর ছেলে। সকালে হামিদচর এলাকায় নদীতে রাহাতের লাশ দেখতে পেয়ে বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন। এরপর তার লাশ উদ্ধার হয়।
নিহত রাহাতের বাবা লিয়াকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ছেলে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে বের হয়। এরপর তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক স্থানে সন্ধানের পরও খোঁজ না পেয়ে বিষয়টি রাতেই পুলিশকে জানানো হয়েছিল। সকালে ছেলের লাশ পাওয়া যায়। তিনি অভিযোগ করেন, পরিকল্পিতভাবে বন্ধুরা রাহাতকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) জাহাঙ্গীর আলম আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় নিহত স্কুলছাত্রের চার সহপাঠীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।