১৪ হাজার ওয়ানডে রানের কীর্তি কোহলির
Published: 23rd, February 2025 GMT
ক্রিকেট ইতিহাসের চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে ১৪ হাজার ওয়ানডে রানের কীর্তি গড়েছেন বিরাট কোহলি। পাকিস্তানের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে এই কীর্তি গড়েছেন তিনি।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আসরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ১৪ হাজারের ঘরে ঢুকতে ১৫ রান দরকার ছিল কোহলির। হারিস রউফকে চার মেরে ওই কীর্তি গড়েন ডানহাতি ব্যাটার।
কোহলি ১৪ হাজারের পথে ভেঙেছেন কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের রেকর্ড। ১৪ হাজার রান করতে কোহলি নিয়েছেন ২৮৭ ইনিংস। মিডল অর্ডার ব্যাটার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করা শচীন ওই মালইফলক স্পর্শ করেছিলেন ৩৫০ ইনিংসে।
১৪ হাজার রান করা অন্য ব্যাটার লঙ্কান কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারা। তিনি ৩৮০ ইনিংসের ওয়ানডে ক্যারিয়ার শেষ করেছেন ১৪ হাজার ২৩৪ রানে।
টেন্ডুলকার ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ১৮ হাজার ৪২৬ রান করেছেন। ৪৯ ওয়ানডে সেঞ্চুরি আছে টেন্ডুলকারের। কোহলি এরই মধ্যে ৫০তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র ট ক হল ১৪ হ জ র র
এছাড়াও পড়ুন:
নারীরা কেন পুরুষদের তুলনায় বেশিবার প্রস্রাব করেন?
একজন পুরুষ মূত্রথলিতে অনায়াসে ৪০০ থেকে ৬০০ মিলিলিটার প্রস্রাব ধারন করতে পারে। একজন নারীরও এই সক্ষমতা রয়েছে। তারপরেও নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশিবার প্রস্রাব করে। এর পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে।
চিকিৎসকদের মতে, ‘‘মূত্রথলির ধারণ ক্ষমতা এক হলে এর চারপাশে যেসব অঙ্গ থাকে, তা প্রস্রাব লাগার অনুভূতিতে পার্থক্য তৈরি করে। আর এখান থেকেই নারী ও পুরুষের মূত্রথলির পার্থক্যের শুরু।পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, মূত্রথলি প্রোস্টেটের ওপরে এবং রেকটামের (মলদ্বারের) সামনে থাকে। আর নারীদের ক্ষেত্রে এটি একটি অপেক্ষাকৃত সংকীর্ণ পেলভিক অঞ্চলে থাকে।’’
নারীরা গর্ভাবস্থায় বার বার প্রস্রাব করেন। এই সময়ে জরায়ু মূত্রথলিকে চেপে ধরে। আর সেকারণেই শেষ তিন মাসে নারীদের প্রায় প্রতি ২০ মিনিট পরপর বাথরুমে যেতে হয়।
আরো পড়ুন:
প্রতিদিন এন্টাসিড খাচ্ছেন? কোন কোন রোগ হতে পারে জেনে নিন
যেসব রোগ থাকলে ডাবের পানি পান করা উচিত নয়
বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা তুলনামূলকভাবে কম প্রস্রাব জমলেই মূত্রথলি ভর্তি হওয়ার অনুভব পেতে পারেন। এর কারণ হরমোনের প্রভাব। তাছাড়া সংবেদনশীলতার কারণেও এমন হয়।
নারীদের ক্ষেত্রে সন্তান প্রসব, হরমোন পরিবর্তন এবং বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে এই পেশিগুলো দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তখন নারীদের মূত্রথলির ‘ধরে রাখা’ ও ‘ছাড়ার’ মধ্যে নিয়ন্ত্রণের ভারসাম্য নষ্ট হয়।মূত্রনালীর শেষপ্রান্তে থাকা স্পিঙ্কটার নামের পেশিটি তার শক্তি হারাতে পারে বলে বার বার প্রস্রাব হতে পারে।
নারীরা ঘর থেকে বের হওয়ার আগে ইচছাকৃতভাবে প্রস্রাব করেন। যাতে বাইরে গেলে পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করতে না নয়। এটা এক রকম সংস্কৃতি। এমনকি ছোট শিশু মেয়েকেও এই শিক্ষাই দেওয়া হয়। যার ফলে এক ধরণের সংবেদনশীলতা তৈরি হয়ে যায়। এই সংবেদনশীলতাও বার বার প্রস্রাব হওয়ার একটি কারণ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘পুরুষের চেয়ে নারীর বার বার প্রস্রাব হওয়ার পেছনে ইচ্ছাশক্তির দুর্বলতা বা ছোট মূত্রথলির ব্যাপার নেই। বরং এটি শরীরের গঠন, অভ্যাস আর হরমোনের প্রভাবে হয়ে থাকে।’’
তথ্যসূত্র: বিবিসি
ঢাকা/লিপি