Prothomalo:
2025-11-03@09:11:43 GMT

ব্যাটিং ব্যর্থতায় আবারও হার

Published: 24th, February 2025 GMT

রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের বাইরে এক বৃদ্ধ পতাকা বিক্রি করছিলেন। তাঁর হাতে থাকা সবচেয়ে বড় পতাকাটি ছিল লাল–সবুজ, বাংলাদেশের পতাকা। দাম ৫০০ রুপি। বৃদ্ধের সঙ্গে থাকা কিশোর স্লোগান তোলার মতো করে উর্দুতে যে কথা বলল, তার বঙ্গানুবাদ দাঁড়ায় ‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আছি।’ এটি আজ দুপুরের ঘটনা।

সন্ধ্যার দিকে গ্যালারি অনেকটাই পূর্ণ হয়ে গেলেও শুরুতে খুব বেশি দর্শক ছিল না। পতাকা ছিল আরও কম দর্শকের হাতে, তবে বেশির ভাগই লাল–সবুজ। আর কিছু পাকিস্তানের পতাকা। বাংলাদেশের পতাকা হাতে রাখা দর্শকদের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ যেমন ছিলেন, ছিলেন পাকিস্তানিও। প্রেসবক্স থেকে গ্যালারির দিকে একবার চোখ বুলিয়েই বুঝে নেওয়া গেছে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে পাকিস্তানের সমর্থন বাংলাদেশের দিকে। খেলার মধ্যে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের চার–ছয় আর বোলারদের উইকেট নেওয়ার মুহূর্তগুলোতে হয়েছে উল্লাসধ্বনি, সেটি এমনকি প্রেসবক্সেও।

আরও পড়ুননিউজিল্যান্ডের কাছে হার, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শেষ বাংলাদেশের৮ ঘণ্টা আগে

প্রেসবক্সে স্থানীয় অনেক সাংবাদিকই ম্যাচের আগে ঘোষণা দিলেন, ‘আজ আমরা বাংলাদেশের সমর্থক।’ নিজেদের দেশ ছাড়া অন্য দেশের সঙ্গে খেলায় পাকিস্তানের মানুষকে আগেও বাংলাদেশকে সমর্থন করতে দেখা গেছে। তবে আজকের সমর্থনে তাদের একটা বিশেষ স্বার্থ ছিল। নিউজিল্যান্ড ও ভারতের কাছে প্রথম দুই ম্যাচ হেরে যাওয়ায় চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাকিস্তানের সেমিফাইনালে ওঠার আশা কার্যত শেষ। তবে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারলে পাকিস্তানের আশার সলতেতে একটু জ্বালানি পড়ত।

চতুর্থ উইকেটে রবীন্দ্র ও ল্যাথামের জুটি নিউজিল্যান্ডের জয়ের ভিত.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গণভোট নিয়ে মতভেদে উপদেষ্টা পরিষদের উদ্বেগ

জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুতত সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়। যদিও এর আগেই এক সংবাদ সম্মেলনে এমন কথায় জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

প্রেস উইং জানায়, জাতীয় ঐক্যমত কমিশন থেকে প্রণীত জুলাই সনদ এবং এর বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপনের প্রচেষ্টার জন্য এবং বহু বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।  

এতে বলা হয়, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) আদেশ চূড়ান্তকরণ এবং এতে উল্লেখিত গণভোট আয়োজন ও গণভোটের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে লক্ষ্য করা হয় যে, ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘদিন আলোচনার পরও কয়েকটি সংস্কারের সুপারিশ বিষয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। এছাড়া, গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে ও এর বিষয়বস্তু কী হবে এসব প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর  মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে সে জন্য সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে গণভোটের সময় কখন হবে, গণভোটের বিষয়বস্তু কী হবে, জুলাই সনদে বর্ণিত ভিন্নমতগুলো প্রসঙ্গে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা নিয়ে ঐক্যমত কমিশনের প্রস্তাবগুলোর আলোকে জরুরী ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে সভা অভিমত ব্যক্ত করে।

এসব ক্ষেত্রে ফ্যসিবাদবিরোধী আন্দোলনের দীর্ঘদিনের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে স্বীয় উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে দ্রুততম সময়ে ( সম্ভব  হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে) সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা প্রদান করার আহ্বান জানানো হয়। এমন নির্দেশনা পেলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেক সহজ হবে। বলেও উল্লেখ করা হয়। পরিস্থিতিতে কালক্ষেপণের যেকোনো সুযোগ নাই সেটাও সবার বিবেচনায় রাখার জন্য বলা হয়।

সভায় ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্থে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা না পেলে কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরা আলাপ-আলোচনা করে এই বিষয়েও আমাদের একটি ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবে—এ প্রত্যাশা করছি। ওনারা যদি আলাপ-আলোচনা করেন, আমাদের জন্য কাজটি অত্যন্ত সহজ হয়। ওনারা যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, অবশ্যই সরকার সরকারের মতো সিদ্ধান্ত নেবে।” 

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ