“চাচা হেনা কোথায়?’ বাপ্পারাজের কণ্ঠে এমন সংলাপ সম্প্রতি ভাইরাল হয়। ‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমার বকুল চরিত্রের অভিনেতা বাপ্পারাজ হেনার চরিত্রে অভিনয় করেন শাবনাজ।

অনেক আগেই নন্দিত নায়ক নাঈমকে বিয়ে করে সংসারী হয়েছেন শাবনাজ। সম্প্রতি এ দম্পতির বাড়িতে তারকাদের মিলন মেলা বসে। হেনাকে নিয়ে নাঈম-বাপ্পারাজের ধারণ করা একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। কেউ কেউ নাঈমের সমালোচনাও করেন। এবার ভিডিওটির নেপথ্যের গল্প শোনালেন নাঈম।

ভিডিওতে দেখা যায়, সিনেমার মতোই দৌড়ে এসে বাপ্পারাজ নাঈমের সামনে দাঁড়ান। তার মুখে শোনা যায়, “নাঈম ভাই, হেনা কোথায়?” নাঈম বলেন, “হেনার সঙ্গে অনেক আগেই আমার বিয়ে হয়ে গেছে।” তারপরই “না” বলে বাপ্পারাজকে জড়িয়ে ধরেন, সান্ত্বনা দেন নাঈম। পরে দেখা যায়, গান গাইতে গাইতে হেনা অর্থাৎ শাবনাজ হাজির হন।

আরো পড়ুন:

‘ঝগড়ার সমাপ্তি, এখন থেকে হাতাহাতি হবে’

অপসারণের আলটিমেটামের মধ্যেই এফডিসির এমডিকে ফুল দিয়ে বরণ

এসব মজার ঘটনা নিয়েই সম্প্রতি টেলিপ্যাব (টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রোডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) আয়োজিত পিকনিক ও আনন্দ উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে কথা বলেন নাঈম। এই অভিনেতা বলেন, “বাপ্পা, ওমর সানীসহ আমাদের সেই সময়ের সবার সঙ্গে নিয়মিতই দেখা হয়, আড্ডা হয়। এবার যখন বাপ্পাসহ আরো অনেকে টাঙ্গাইলে আমাদের গ্রামের বাড়িতে আসেন, তখন যথারীতি আমাদের গ্রামের বাড়ির বাগানে চা খাচ্ছিলাম, মজা করছিলাম। ওমর সানী পেছন থেকে ভিডিও করছিল। সব সময়ই নানা মজার ঘটনা ঘটে। আড্ডার মাঝে আমার মেয়ে নামিরা জানায়, বাপ্পা আর আমাকে একটা অনুরোধ রাখতে হবে। মেয়ের আবদার তো রাখতেই হবে। বাপ্পা তখন জানতে চায়, ‘কী মা বলো?”

পরের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নাঈম বলেন, “বাপ্পা তখন জানত না কী হতে যাচ্ছে। পরে নামিরার কাছে সব শুনে, সবার তো চোখ কপালে। হেনার যে অংশ ভাইরাল হয়েছে, সেই অংশ অন্যভাবে অভিনয় করে দেখাতে হবে। এখানে এবার নাঈমকেও থাকতে হবে। এই ভাইরালের যুগে এসব করলে মানুষ কি বলবে! সেই ভাবনা সবার মাথায় ছিল। মেয়ের কথা রাখতে গিয়েই, ভিডিওতে অংশ নিলাম। ওরাই সব ঠিক করল। আমাকে গাছের সঙ্গে হেলিয়ে তারা দাঁড় করিয়ে দিল। পরে আমার কাছে দৌড়ে বাপ্পা আসে। ডায়ালগ দিতে হয়। সেটা আপনারা ভিডিওতে দেখেছেন। মেয়ের ইচ্ছা পূরণ করতে বাপ্পাকে জড়িয়ে ধরি, শাবনাজ এসে নাচে।”

ভাইরাল হওয়ার জন্য ভিডিওটি তৈরি করা হয়নি। তা জানিয়ে নাঈম বলেন, “পরে দেখি এটাও ভাইরাল। আমরা ইচ্ছা করে ভাইরাল করব এমন চিন্তা ছিল না। অল্প সময়ের মধ্যেই ভিডিও করা। তবে বুঝতে পেরেছি দর্শকেরা এখনো আমাদের ভালোবাসেন। তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা।”

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র আম দ র শ বন জ

এছাড়াও পড়ুন:

যে কারণে ইরানের তেল ও গ্যাস স্থাপনায় হামলা

ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তেল ও গ্যাস স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। মধ্যপ্রাচ্যের এ দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের মধ্যে কয়েক দশক ধরে বৈরিতা চলছে। তবে এবারই প্রথম ইসরায়েল ইরানে হামলা চালানোর পর দুই পক্ষ সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে। দুই পক্ষে পাল্টাপাল্টি হামলা তীব্র হতে থাকায় বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের বাজারে অস্থিরতা তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

গত শনিবার গভীর রাতে ইরানের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েল একটি গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি ডিপোতে হামলা চালিয়েছে। একই সঙ্গে রাজধানী তেহরানে একটি তেল শোধনাগারেও আগুন ধরে যায়। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছেন।

বিশ্বের অন্যতম বড় গ্যাসক্ষেত্র ‘সাউথ পার্স’-এ ইসরায়েলের হামলায় আগুন লাগার পর ইরান আংশিকভাবে এ ক্ষেত্রে উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। ইরান কাতারের সঙ্গে ভাগাভাগি করে এই গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন করে থাকে।

ইসরায়েল নজিরবিহীনভাবে ইরানের জ্বালানি স্থাপনাগুলোতে হামলা চালানোয় মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম আরও বাড়তে পারে। দুই দেশই একে অন্যের ভূখণ্ডে আরও বড় ধরনের হামলার হুমকি দিচ্ছে।

ইরান বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাকৃতিক গ্যাস ও তৃতীয় বৃহত্তম অপরিশোধিত তেল মজুতের অধিকারী– এই তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তথ্য প্রশাসনের (ইআইএ) দেওয়া। ফলে দেশটির জ্বালানি অবকাঠামো দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তু ছিল। তবে এতদিন ইসরায়েল ইরানের জ্বালানি স্থাপনাগুলোতে হামলা এড়িয়ে চলছিল, বিশেষ করে তার মিত্র যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের চাপ ছিল। কিন্তু এবার তা বদলে গেছে।

গত শনিবার রাতে তেহরানের উত্তর-পশ্চিমে শাররান জ্বালানি ডিপো ও শহরের দক্ষিণে শার-রে অঞ্চলে অবস্থিত দেশের অন্যতম বৃহৎ তেল শোধনাগারে বড় ধরনের আগুন লাগে।  এ ছাড়া ইরানের দক্ষিণ বুশেহর প্রদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্র সাউথ পার্স লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। 

হামলায় সাউথ পার্সের ‘ফেইজ ১৪’ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে আগুন লাগে। ফলে এখানে দৈনিক ১ দশমিক ২ কোটি ঘনমিটার গ্যাস উৎপাদনকারী একটি অফশোর প্ল্যাটফর্ম বন্ধ হয়ে গেছে।

ইসরায়েলের হামলার প্রথম দিনে তেল ও গ্যাস স্থাপনা বাদ পড়লেও বাজারে তেলের দাম প্রায় ৯ শতাংশ বেড়ে যায়। সোমবার  বিশ্ববাজারে তেলের দামে আরও বড় উল্লম্ফন হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মধ্যপ্রাচ্য ইনস্টিটিউটের গবেষক অ্যালান এয়ার বলেন, ইসরায়েল চায়, ইরানের ওপর হামলায় যুক্তরাষ্ট্রও জড়িয়ে পড়ুক। তাদের লক্ষ্য, ইরানের এই সরকারের পতন ঘটানো। ইরানের সামরিক প্রতিক্রিয়া ছাড়া উপায় নেই। কারণ, দেশের অভ্যন্তরে সম্মান রক্ষার বিষয় আছে। কিন্তু ইসরায়েলে বড় ধরনের ক্ষতি করার মতো ক্ষমতা ইরানের নেই। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইরানের বন্ধুর সংখ্যা কম। আর থাকলেও ইসরায়েল পরিষ্কারভাবে দেখিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক মতামতকে পাত্তা দেয় না– বলেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ