সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলামের ১০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ বাতিল করে খালাসের রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাবিবুল ইসলামের খালাস পাওয়ার খবরে তাঁর নির্বাচনী এলাকা সাতক্ষীরার তালা ও কলারোয়ায় আনন্দমিছিল করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

হাবিবুল ইসলামের করা রিভিশন আবেদনের শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোহাম্মদ আলী ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। তবে মামলার অন্য আসামিদের রিভিশন আবেদনের শুনানি না হওয়ায় তাঁদের বিষয়ে উচ্চ আদালত কোনো রায় দেননি বলে জানিয়েছেন হাবিবুল ইসলামের পক্ষে শুনানি করা আইনজীবী মো.

আমিনুল ইসলাম। মামলায় ফাইলিং আইনজীবী ছিলেন হাবিবুলের স্ত্রী শাহানারা আক্তার।

রায়ের পর বিএনপি নেতা হাবিবুল ইসলাম বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তাঁর দোসররা পূর্বপরিকল্পিত ঘটনার ১২ বছর পর তাঁকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছিলেন। অথচ তিনি ঘটনাস্থলেই ছিলেন না। তিনি তখন ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। মামলায় দীর্ঘ চার বছর কারান্তরিণ ছিলেন। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর তিনি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান।

২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনার ১২ বছর পর কলারোয়া থানায় একটি মামলা হয়। মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলামসহ ৫০ নেতা-কর্মীকে সর্বনিম্ন ৪ বছর থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন সাতক্ষীরার একটি আদালত। মামলায় হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন হাবিবুল ইসলাম। রিভিশন শুনানি শেষে আজ খালাস পান হাবিবুল ইসলাম।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ ব ব ল ইসল ম র কল র য় ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা যেভাবে পড়বেন

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষা ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থীদের সুবিধার জন্য লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির পরামর্শ প্রকাশ করা হচ্ছে। আজ পঞ্চম পর্বে থাকছে বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২ বিষয়ে প্রস্তুতির পরামর্শ। পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী রিয়াজুর রহমান।

বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২ মূলত আইনজীবীদের পেশাজীবনের অনুসরণীয় বিধিমালা। এ আইন থেকে আইনজীবী তালিকাভুক্তি লিখিত পরীক্ষায় দুটি প্রশ্ন আসবে। উত্তর দিতে হবে একটি। নম্বর থাকবে ১০।

প্রশ্নপত্রের মানবণ্টন দেখেই বোঝা যাচ্ছে আইনটি কেমন হতে পারে। মূলত বার কাউন্সিলের গঠন, আইনজীবী হওয়ার যোগ্যতা এবং একজন আইনজীবী হিসেবে সমাজের প্রতি, মক্কেলের প্রতি, সহকর্মীদের প্রতি যেসব দায়িত্ব পালন করতে হবে, তা এ আইনে বলা হয়েছে। বাস্তবধর্মী ও পেশাজীবনে অতি চর্চিত একটি আইন হলো বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২। এ আইন থেকে বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনা করলে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব।

যেমন বার কাউন্সিল কীভাবে গঠিত হয়, বার কাউন্সিলের কার্যবালি কী, সদস্যরা কীভাবে নির্বাচিত হন, কতগুলো কমিটি রয়েছে, কমিটির কাজ কী কী—এগুলো পড়তে হবে। অনেকেই আছে বার কাউন্সিল ও বার অ্যাসোশিয়েশনের মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না। এটি ভালো করে রপ্ত করতে হবে। এমন প্রশ্ন হরহামেশা পরীক্ষায় আসে।

এ ছাড়া বার ট্রাইব্যুনালের গঠন ও কার্যাবলি, আইনজীবীদের পেশাগত অসদাচরণের জন্য কী কী ধরনের শাস্তি রয়েছে, বার কাউন্সিল কি আইনজীবীদের বিরুদ্ধে সুয়োমোটো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে—বিষয়গুলো কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না। অনুচ্ছেদ ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩২ এবং বিধি ৪১, ৪১ক ও ৫০–এ এসব বিষয়ে বিস্তারিত বলা আছে। সেগুলো ভালো করে পড়তে হবে। অনুসন্ধান করার ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা, একজন আইনজীবী হিসেবে আরেক আইনজীবীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়েরের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তর জানতে হবে। এসব বিষয় থেকে নিয়মিত প্রশ্ন আসে।

পেশাগত বিধি অংশে রচনামূলক প্রশ্ন আসতে পারে। যেমন পেশাগত বিধি এবং নীতিমালার আলোকে আদালতের প্রতি, মক্কেলের প্রতিসহ আইনজীবীদের প্রতি ও জনসাধারণের প্রতি একজন আইনজীবীর দায়িত্ব ও কর্তব্য পর্যালোচনা করতে বলা হয়। বর্তমান ঢাকা বারসহ বেশ কয়েকটি বার অ্যাসোশিয়েশনে এডহক কমিটি রয়েছে। এডহক বার কাউন্সিলের গঠন ও ফাংশনস সম্পর্কে প্রশ্ন আসতে পারে। এগুলো ভালো করে পড়তে হবে।

অনেক সময়ে আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরসংক্রান্ত মুসাবিদা করতে দেওয়া হয়। তাই এই মুসাবিদা নিয়মিত অনুশীলন করবেন। মনে রাখবেন, মামলার মুসাবিদা ও আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগের মুসাবিদার ধরন কিন্তু এক নয়। তাই যেকোনো ভালো একটি বই থেকে ফরমেটটি দেখে নেবেন এবং অনুশীলন করবেন। একই সঙ্গে বিগত কয়েক বছরের প্রশ্ন সমাধান করবেন। এ আইন থেকে বিগত বছরের প্রশ্ন রিপিটও হয়।

একটি বিষয় মনে রাখবেন, আইনটি সহজ বলে অবহেলা করার সুযোগ নেই। কারণ, কৃতকার্য হওয়ার জন্য এই ১০ নম্বর অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা যেভাবে পড়বেন
  • দণ্ডাদেশ বহালের রায়ের বিরুদ্ধে ১০ আসামির আপিল ও লিভ টু আপিল
  • যে ‘ধর্মীয় অনুপ্রেরণায়’ ইরানে এই হামলা চালাল ইসরায়েল
  • দক্ষিণ ভারতের নিষ্পেষিত মুসলিম নারীদের কণ্ঠস্বর