Prothomalo:
2025-09-18@14:14:59 GMT

অরিন্দম কহিলা বিষাদে

Published: 2nd, March 2025 GMT

কবির আহমেদ মাসুম চিশতির প্রদর্শনী ‘মেঘনাদবধ’দেখতে পেলে দর্শক একটা ক্ষীণ আভাস পেতে পারেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত যখন প্রথম মেঘনাদবধ কাব্য লিখলেন, তখন বাঙালি পাঠক কেমন বোধ করেছিলেন।

মধুসূদন দত্ত মেঘনাদবধ কাব্যতে এক অভূতপূর্ব ব্যতিক্রম ঘটিয়েছিলেন। রাম ও রাবণকে ভিন্ন এক দৃষ্টিভঙ্গিতে উপস্থাপন করেছিলেন। রামায়ণের প্রচলিত বর্ণনাকে তিনি অনুসরণ করেননি। উনিশ শতকে মধুসূধনের লেখায় রাবণ হয়ে উঠেছিলেন নায়ক এবং রাম তাঁর সম্পূর্ণ বিপরীত। আর এই ঘটনার একটি একুশ শতকীয় পুনর্ঘটন দর্শক পাবেন মাসুম চিশতির প্রদর্শনীতে। চিশতিও তাঁর শিল্পে এনেছেন নিজস্ব ভাবনা ও প্রকাশের নতুনত্ব। মধুসূদন যেমন ইউরোপীয় মিথ, কাব্য ও দর্শনের নির্যাসকে ভারতীয় পুরাণ, কাব্য ও দর্শনের সঙ্গে মিশিয়ে গড়েছেন এক নতুন রূপ, তেমনি চিশতিও নিজের চিত্রকর্মে স্রেফ মেঘনাদবধ কাব্য-এর আক্ষরিক রূপবিন্যাস না করে জুড়েছেন শিল্পের বিভিন্ন আঙ্গিক আর আপন ভাবনার মোজাইক। 

মাসুম চিশতি কাজ করেছেন লিখিত ভাষার আক্ষরিক ব্যবহারের মাধ্যমে। ফলে প্রদর্শনীতে যখন দর্শক দেখতে পাবেন মেঘনাদবধ কাব্য-এর দৃশ্যপটের সঙ্গে অজস্র টেক্সট, তখন তাঁরা মোহিত ও বিমূঢ় দুই-ই হতে পারেন। চলচ্চিত্রের স্টোরিবোর্ড ও কমিক–শিল্পের ধরন অনুসরণে শিল্পী এঁকেছেন মেঘনাদবধ-এর দৃশ্য। এতে তিনি ব্যবহার করেছেন অনেক লিখিত ভাষার অক্ষর। অক্ষর বলছি কারণ, শিল্পীর হাতের লেখায় এই অক্ষর বা শব্দগুলো সব সময় বোধগম্য নয়। সেটা তিনি চেয়েছেন, এমনও নয়। তবে শিল্প তৈরির খাতিরে টেক্সটগুলো একটা সময় দর্শকের কাছে দৃশ্যের যে জন্ম দেবে, তা তো বটেই।

মাসুম চিশতির আঁকাআঁকির ক্ষেত্রে একধরণের সারগ্রাহী ভাব লক্ষণীয়। একাধারে তিনি প্রাচ্যরীতি, আধুনিক কমিকসের ধারা এবং মায় মাংগা রীতিকে নিয়ে এসেছেন শিল্পকর্মে। মধুসূদন যেমন করে ভারতীয় পুরাণ ও পাশ্চাত্য দৃষ্টিভঙ্গির মিশ্রণে লিখেছিলেন মহাকাব্যটি, একইভাবে চিশতির অঙ্কনেও পাওয়া যায় হরেক শৈলী। কাগজে চারকোল ও গ্রাফাইটের মাধ্যমে তিনি মেঘনাদবধই এঁকেছেন, কিন্তু জুড়ে দিয়েছেন আধুনিক জীবন-বাস্তবতার নানান অনুষঙ্গ। চিশতির ‘মেঘনাদবধে’ আছে যৌনতার চিত্রণ, আছে যুদ্ধবিমান, ট্যাংক ইত্যাদি আধুনিক সমরযন্ত্র।

প্রদর্শনীতে ‘মেঘনাদবধের’ ৩৮টি চিত্রকর্মের দেখা মেলে। এর বাইরে আছে আরও কিছু ছবি। লালমাটিয়ার কলাকেন্দ্র গ্যালারিতে ভাস্কর লালারুখ সেলিমের কিউরেশনে প্রদর্শনীটি চলবে আগামী ৪ মার্চ অবধি।

অনিন্দ্য নাহার হাবীব

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম স ম চ শত চ শত র

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে বিভিন্ন ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার ৪  

বন্দরে একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামীসহ  বিভিন্ন ওয়ারেন্টে ৪ পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের  বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর)  দুপুরে উল্লেখিত ওয়ারেন্টে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে গত বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকায় ওয়ারেন্ট তামিল অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দর থানার ২২ নং ওয়ার্ডের লের্জাস ১নং গল্লী এলাকার মৃত আজিম মিয়ার ছেলে বন্দর থানা ও নারায়ণগঞ্জ সদর থানার একাধিক জিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী রুবেল (৩৪) একই থানার সোনাকান্দা মসজিদ এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে জিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী জনি (৩৫)|r

একই থানার রামনগর এলাকার মৃত সিদ্দিক মুন্সী ছেলে সিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত  আব্দুল কুদ্দুস (৫২) ও গকুলদাশেরবাগ এলাকার আনোয়ার মিয়ার ছেলে সিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী ইব্রাহিম (৩০)। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ