Prothomalo:
2025-05-01@07:47:58 GMT

অরিন্দম কহিলা বিষাদে

Published: 2nd, March 2025 GMT

কবির আহমেদ মাসুম চিশতির প্রদর্শনী ‘মেঘনাদবধ’দেখতে পেলে দর্শক একটা ক্ষীণ আভাস পেতে পারেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত যখন প্রথম মেঘনাদবধ কাব্য লিখলেন, তখন বাঙালি পাঠক কেমন বোধ করেছিলেন।

মধুসূদন দত্ত মেঘনাদবধ কাব্যতে এক অভূতপূর্ব ব্যতিক্রম ঘটিয়েছিলেন। রাম ও রাবণকে ভিন্ন এক দৃষ্টিভঙ্গিতে উপস্থাপন করেছিলেন। রামায়ণের প্রচলিত বর্ণনাকে তিনি অনুসরণ করেননি। উনিশ শতকে মধুসূধনের লেখায় রাবণ হয়ে উঠেছিলেন নায়ক এবং রাম তাঁর সম্পূর্ণ বিপরীত। আর এই ঘটনার একটি একুশ শতকীয় পুনর্ঘটন দর্শক পাবেন মাসুম চিশতির প্রদর্শনীতে। চিশতিও তাঁর শিল্পে এনেছেন নিজস্ব ভাবনা ও প্রকাশের নতুনত্ব। মধুসূদন যেমন ইউরোপীয় মিথ, কাব্য ও দর্শনের নির্যাসকে ভারতীয় পুরাণ, কাব্য ও দর্শনের সঙ্গে মিশিয়ে গড়েছেন এক নতুন রূপ, তেমনি চিশতিও নিজের চিত্রকর্মে স্রেফ মেঘনাদবধ কাব্য-এর আক্ষরিক রূপবিন্যাস না করে জুড়েছেন শিল্পের বিভিন্ন আঙ্গিক আর আপন ভাবনার মোজাইক। 

মাসুম চিশতি কাজ করেছেন লিখিত ভাষার আক্ষরিক ব্যবহারের মাধ্যমে। ফলে প্রদর্শনীতে যখন দর্শক দেখতে পাবেন মেঘনাদবধ কাব্য-এর দৃশ্যপটের সঙ্গে অজস্র টেক্সট, তখন তাঁরা মোহিত ও বিমূঢ় দুই-ই হতে পারেন। চলচ্চিত্রের স্টোরিবোর্ড ও কমিক–শিল্পের ধরন অনুসরণে শিল্পী এঁকেছেন মেঘনাদবধ-এর দৃশ্য। এতে তিনি ব্যবহার করেছেন অনেক লিখিত ভাষার অক্ষর। অক্ষর বলছি কারণ, শিল্পীর হাতের লেখায় এই অক্ষর বা শব্দগুলো সব সময় বোধগম্য নয়। সেটা তিনি চেয়েছেন, এমনও নয়। তবে শিল্প তৈরির খাতিরে টেক্সটগুলো একটা সময় দর্শকের কাছে দৃশ্যের যে জন্ম দেবে, তা তো বটেই।

মাসুম চিশতির আঁকাআঁকির ক্ষেত্রে একধরণের সারগ্রাহী ভাব লক্ষণীয়। একাধারে তিনি প্রাচ্যরীতি, আধুনিক কমিকসের ধারা এবং মায় মাংগা রীতিকে নিয়ে এসেছেন শিল্পকর্মে। মধুসূদন যেমন করে ভারতীয় পুরাণ ও পাশ্চাত্য দৃষ্টিভঙ্গির মিশ্রণে লিখেছিলেন মহাকাব্যটি, একইভাবে চিশতির অঙ্কনেও পাওয়া যায় হরেক শৈলী। কাগজে চারকোল ও গ্রাফাইটের মাধ্যমে তিনি মেঘনাদবধই এঁকেছেন, কিন্তু জুড়ে দিয়েছেন আধুনিক জীবন-বাস্তবতার নানান অনুষঙ্গ। চিশতির ‘মেঘনাদবধে’ আছে যৌনতার চিত্রণ, আছে যুদ্ধবিমান, ট্যাংক ইত্যাদি আধুনিক সমরযন্ত্র।

প্রদর্শনীতে ‘মেঘনাদবধের’ ৩৮টি চিত্রকর্মের দেখা মেলে। এর বাইরে আছে আরও কিছু ছবি। লালমাটিয়ার কলাকেন্দ্র গ্যালারিতে ভাস্কর লালারুখ সেলিমের কিউরেশনে প্রদর্শনীটি চলবে আগামী ৪ মার্চ অবধি।

অনিন্দ্য নাহার হাবীব

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম স ম চ শত চ শত র

এছাড়াও পড়ুন:

লর্ডসে ফাইনাল, ভেন্যু ও সময় ঘোষণা করল আইসিসি

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ২০২৬ আসরের দিনক্ষণ ও ভেন্যুর তালিকা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। আগামী বছরের ১২ জুন থেকে শুরু হবে ১২ দলের এই টুর্নামেন্ট, যার পর্দা নামবে ৫ জুলাই লন্ডনের বিখ্যাত লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ফাইনালের মধ্য দিয়ে।

মোট ৩৩টি ম্যাচ হবে ইংল্যান্ডের সাতটি ভেন্যুতে। এর মধ্যে রয়েছে—লর্ডস, দ্য ওভাল, এজবাস্টন, ওল্ড ট্রাফোর্ড, হেডিংলি, হ্যাম্পশায়ার বোল ও ব্রিস্টলের কাউন্টি গ্রাউন্ড। আইসিসির এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়। পুরো সূচি ও ম্যাচের সময়সূচি পরে জানাবে আইসিসি।

আসন্ন বিশ্বকাপের ভেন্যু ও সূচি ঘোষণা করে আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের বিত্তশালী ও বৈচিত্র্যপূর্ণ আয়োজন প্রতিটি দলের জন্য আবেগীয় সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ। এখানে এমন ইভেন্ট অতীতেও স্মরণীয় হয়ে আছে। ২০১৭ আসরে লর্ডস দারুণ নারী ক্রিকেটে দারুণ মাইলফলক তৈরি করেছিল, তাই ফাইনালের জন্য এরচেয়ে উপযুক্ত ভেন্যু হতে পারে না। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মাধ্যমে সমর্থকদের সঙ্গে আমরাও যেমন রোমাঞ্চিত, তেমনি ২০২৮ লস অ্যাঞ্জলস অলিম্পিকে ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তনের জন্যও পূর্ব-প্রদর্শনী।’

???? 7 venues. One unmissable tournament ????

The ICC Women’s T20 World Cup 2026 will grace some of England’s most iconic grounds ????

✍️: https://t.co/BqtN44SMEX pic.twitter.com/UmkuBU4HL3

— ICC (@ICC) May 1, 2025

এই প্রথমবারের মতো নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে সর্বোচ্চ ১২টি দল। দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে দলগুলো খেলবে গ্রুপ পর্ব, এরপর নকআউট হয়ে শেষ পর্যন্ত গড়াবে ফাইনালে। আয়োজক ইংল্যান্ডসহ ইতোমধ্যে মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে আরও সাতটি দল—অস্ট্রেলিয়া, ভারত, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাকি চার দলকে আসতে হবে বাছাইপর্ব পেরিয়ে।

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সফল দল অস্ট্রেলিয়া, যারা ছয়বার শিরোপা জিতেছে। ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছে একটি করে। সবশেষ ২০২৪ সালের বিশ্বকাপ হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেবার ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জেতে নিউজিল্যান্ড।

সম্পর্কিত নিবন্ধ