Prothomalo:
2025-06-16@08:35:30 GMT

অরিন্দম কহিলা বিষাদে

Published: 2nd, March 2025 GMT

কবির আহমেদ মাসুম চিশতির প্রদর্শনী ‘মেঘনাদবধ’দেখতে পেলে দর্শক একটা ক্ষীণ আভাস পেতে পারেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত যখন প্রথম মেঘনাদবধ কাব্য লিখলেন, তখন বাঙালি পাঠক কেমন বোধ করেছিলেন।

মধুসূদন দত্ত মেঘনাদবধ কাব্যতে এক অভূতপূর্ব ব্যতিক্রম ঘটিয়েছিলেন। রাম ও রাবণকে ভিন্ন এক দৃষ্টিভঙ্গিতে উপস্থাপন করেছিলেন। রামায়ণের প্রচলিত বর্ণনাকে তিনি অনুসরণ করেননি। উনিশ শতকে মধুসূধনের লেখায় রাবণ হয়ে উঠেছিলেন নায়ক এবং রাম তাঁর সম্পূর্ণ বিপরীত। আর এই ঘটনার একটি একুশ শতকীয় পুনর্ঘটন দর্শক পাবেন মাসুম চিশতির প্রদর্শনীতে। চিশতিও তাঁর শিল্পে এনেছেন নিজস্ব ভাবনা ও প্রকাশের নতুনত্ব। মধুসূদন যেমন ইউরোপীয় মিথ, কাব্য ও দর্শনের নির্যাসকে ভারতীয় পুরাণ, কাব্য ও দর্শনের সঙ্গে মিশিয়ে গড়েছেন এক নতুন রূপ, তেমনি চিশতিও নিজের চিত্রকর্মে স্রেফ মেঘনাদবধ কাব্য-এর আক্ষরিক রূপবিন্যাস না করে জুড়েছেন শিল্পের বিভিন্ন আঙ্গিক আর আপন ভাবনার মোজাইক। 

মাসুম চিশতি কাজ করেছেন লিখিত ভাষার আক্ষরিক ব্যবহারের মাধ্যমে। ফলে প্রদর্শনীতে যখন দর্শক দেখতে পাবেন মেঘনাদবধ কাব্য-এর দৃশ্যপটের সঙ্গে অজস্র টেক্সট, তখন তাঁরা মোহিত ও বিমূঢ় দুই-ই হতে পারেন। চলচ্চিত্রের স্টোরিবোর্ড ও কমিক–শিল্পের ধরন অনুসরণে শিল্পী এঁকেছেন মেঘনাদবধ-এর দৃশ্য। এতে তিনি ব্যবহার করেছেন অনেক লিখিত ভাষার অক্ষর। অক্ষর বলছি কারণ, শিল্পীর হাতের লেখায় এই অক্ষর বা শব্দগুলো সব সময় বোধগম্য নয়। সেটা তিনি চেয়েছেন, এমনও নয়। তবে শিল্প তৈরির খাতিরে টেক্সটগুলো একটা সময় দর্শকের কাছে দৃশ্যের যে জন্ম দেবে, তা তো বটেই।

মাসুম চিশতির আঁকাআঁকির ক্ষেত্রে একধরণের সারগ্রাহী ভাব লক্ষণীয়। একাধারে তিনি প্রাচ্যরীতি, আধুনিক কমিকসের ধারা এবং মায় মাংগা রীতিকে নিয়ে এসেছেন শিল্পকর্মে। মধুসূদন যেমন করে ভারতীয় পুরাণ ও পাশ্চাত্য দৃষ্টিভঙ্গির মিশ্রণে লিখেছিলেন মহাকাব্যটি, একইভাবে চিশতির অঙ্কনেও পাওয়া যায় হরেক শৈলী। কাগজে চারকোল ও গ্রাফাইটের মাধ্যমে তিনি মেঘনাদবধই এঁকেছেন, কিন্তু জুড়ে দিয়েছেন আধুনিক জীবন-বাস্তবতার নানান অনুষঙ্গ। চিশতির ‘মেঘনাদবধে’ আছে যৌনতার চিত্রণ, আছে যুদ্ধবিমান, ট্যাংক ইত্যাদি আধুনিক সমরযন্ত্র।

প্রদর্শনীতে ‘মেঘনাদবধের’ ৩৮টি চিত্রকর্মের দেখা মেলে। এর বাইরে আছে আরও কিছু ছবি। লালমাটিয়ার কলাকেন্দ্র গ্যালারিতে ভাস্কর লালারুখ সেলিমের কিউরেশনে প্রদর্শনীটি চলবে আগামী ৪ মার্চ অবধি।

অনিন্দ্য নাহার হাবীব

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম স ম চ শত চ শত র

এছাড়াও পড়ুন:

গুগলের সার্কেল টু সার্চে আসছে নতুন দুই সুবিধা

অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা স্মার্টফোনে দ্রুত নির্দিষ্ট তথ্য খুঁজে দিতে গত বছর ‘সার্কেল টু সার্চ’-সুবিধা চালু করে গুগল। এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে ফোনে ভিডিও দেখার সময় বিভিন্ন দৃশ্যে থাকা পণ্যের ছবি নির্বাচন করে সে বিষয়ে সরাসরি গুগলে সার্চের ফলাফল জানা যায়। অর্থাৎ ভিডিওতে থাকা যেকোনো ব্যক্তির চশমা সার্কেল করলে নিচে চশমাটি-সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য গুগল সার্চের মাধ্যমে দেখার সুযোগ মিলে থাকে। ব্যবহারকারীদের দ্রুত বিভিন্ন তথ্য জানার সুযোগ দিতে সার্কেল টু সার্চে নতুন দুই সুবিধা যুক্ত করতে যাচ্ছে গুগল।

জানা গেছে, গুগল অ্যাপের সর্বশেষ বেটা সংস্করণ বিশ্লেষণ করে সার্কেল টু সার্চে নতুন দুই সুবিধা যুক্তের বিষয়টি শনাক্ত করা হয়েছে। গানের তালিকা সংরক্ষণ এবং অনুবাদপ্রক্রিয়া আরও সহজ করতে সক্ষম সুবিধাগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত না হলেও পরীক্ষামূলকভাবে কাজ করছে।

সার্কেল টু সার্চ ব্যবহার করে গান শনাক্তের সময় পর্দায় বর্তমানে একটি ছোট মিউজিক আইকন দেখা যায়। কিন্তু নতুন সুবিধাগুলো চালু হলে মিউজিক আইকনে যুক্ত হবে একটি অতিরিক্ত বাটন, যা দেখতে অনেকটা ঘড়ির মতো। এই নতুন আইকনের মাধ্যমে সরাসরি প্রবেশ করা যাবে ‘রিসেন্ট সং সার্চ’ নামের একটি মেনুতে। ফলে ব্যবহারকারী সহজেই আগে শনাক্ত করা গানের তালিকা দেখতে পারবেন। শুধু তা-ই নয়, এখানে গানের শিরোনাম, শিল্পীর নাম এবং অ্যালবামের ছবিও দেখা যাবে।

সার্কেল টু সার্চের আরেকটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসছে অনুবাদ সুবিধায়। বর্তমানে কোনো লেখাকে চিহ্নিত করার পর তা অনুবাদ করতে চাইলে ব্যবহারকারীকে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করতে হয়। নতুন সুবিধা চালু হলে সার্কেল টু সার্চে কোনো লেখা ট্যাপ করলেই সঙ্গে সঙ্গে অনুবাদের বাটন পর্দায় দেখা যাবে।

সূত্র: অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ

সম্পর্কিত নিবন্ধ