যে কারণে ইংলিশদের হার কামনা করেছিল টাইগার ফ্যানরা
Published: 2nd, March 2025 GMT
চলমান আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শেষ চারের দৌড় থেকে বাংলাদেশ এবং ইংল্যান্ড ছিটকে গিয়েছিল দ্বিতীয় ম্যাচের পরেই। একটি ওয়ানডে ও ২টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী ইংল্যান্ডের অবস্থা এতটাই বাজে যে, এই মুহুর্তে বাংলাদেশের বিপক্ষে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলা হলে তারা আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারবে না তারা জিতবেই।
মাঠের লড়াইয়ে যেহেতু মুখোমুখি হয়নি বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড, তাই বলা সম্ভব না কে জিতত। তবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে একটা জায়গায় ঠিকই ইংলিশদের পেছনে ফেলল টাইগাররা। ইংল্যান্ড শনিবার (১ মার্চ, ২০২৫) দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিধ্বস্ত হয়ে ৭ উইকেটে পরাজয় বরণ করে। ফলে বাংলাদেশ উঠে আসে ষষ্ঠ স্থানে আর ইংল্যান্ড শেষ করে তলানিতে থেকে।
এই ম্যাচে আবার বাংলাদেশি সমর্থকরা ইংল্যান্ডের হার কামনা করেছেন। কেননা থ্রি লায়ন্সরা হেরে গেলেই কেবল সাত নম্বর থেকে ষষ্ঠ স্থানে ওঠার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। তবে সমর্থকরা উদ্বেগ মূলত ষষ্ঠ স্থানের প্রাইজমানি নিয়ে ছিল।
আরো পড়ুন:
ভারতকে ২৪৯ রানের বেশি করতে দেয়নি নিউ জিল্যান্ড
বিরাটকে ৩০০তম ওয়ানডেতে বিরাট ধাক্কা দিলেন গ্লেন ‘জন্টি’ ফিলিপস
আইসিসি ঘোষিত প্রাইজমানি অনুযায়ী, সপ্তম ও অষ্টম দল প্রাইজমানি পাবে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার (প্রায় ১ কোটি ৬৯ লাখ ১৫ হাজার ৪০১ টাকা) করে। এ ছাড়া প্রতিটি দল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য পাবে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার (প্রায় ১ কোটি ৫১ লাখ ৩ হাজার ৩৭ টাকা) করে। মানে বাংলাদেশ দলের কোষাগারে প্রায় ৩ কোটি টাকা আগেই চলে এসেছিল।
তবে ষষ্ঠ স্থান অর্জন করে প্রাইজমানি হিসেবে বাংলাদেশ পাচ্ছে ৪ কোটি ২২ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের চেয়ে প্রায় তিন কোটি টাকা বেশি পেয়েছে বাংলাদেশ।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প র ইজম ন
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবকে এখনও দেশের সবচেয়ে বড় তারকা মানেন তামিম
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে মুখ খুলেছেন তামিম ইকবাল। সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তারকা খ্যাতি বা ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, এই দুই তারকার দূরত্বের পেছনে অন্য কারণ কাজ করেছে। তবে সেই দূরত্ব ঘোচানোর জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলেও আক্ষেপ করেছেন তিনি।
তামিম বলেন, ‘অনেকে বলে, কে কার চেয়ে সেরা। কার এনডোর্সমেন্ট বেশি। এগুলো কিছুই আমাদের সম্পর্ককে প্রভাবিত করেনি। আমি সব সময় বলেছি, বাংলাদেশের স্পোর্টসে সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব। আমি নিজেই যখন এটা বলি, তখন তারকা খ্যাতি সম্পর্কের অবনতির কারণ হতে পারে না।’
তিনি জানান, বিসিবির পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হলে সাকিব ও তার মধ্যকার দূরত্ব কমত। ‘তারা আলাদাভাবে কথা বলেছেন, কিন্তু দু’জনকে একসঙ্গে বসিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেননি’, বলেন তামিম।
তামিম আরও বলেন, অধিনায়ক থাকার সময় সম্পর্কটা স্বাভাবিক করতে তিনি নিজেই চেষ্টা করেছেন। যদিও সে চেষ্টা তখন সফল হয়নি, ভবিষ্যতে সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা এখনও তিনি দেখেন।
এমনকি নিজের অসুস্থতার সময় সাকিবের সহানুভূতিশীল আচরণের কথাও কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করেন তামিম। বলেন, ‘আমার অসুস্থতার সময়ে সাকিব তার ফেসবুকে দোয়ার অনুরোধ করেছিল। তার বাবা-মা হাসপাতালে আমাকে দেখতে গিয়েছেন। আমরা দু’জনই পরিণত। সামনাসামনি হলে এবং নিজেদের মধ্যে কথা হলে সম্পর্ক উন্নত হতে পারে।’
তামিমের এই মন্তব্যেই বোঝা যায়, ব্যক্তিগত বিরোধ থাকলেও তামিম এখনও চান সাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কটা সুস্থতায় ফিরুক।