চলমান আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শেষ চারের দৌড় থেকে বাংলাদেশ এবং ইংল্যান্ড ছিটকে গিয়েছিল দ্বিতীয় ম্যাচের পরেই। একটি ওয়ানডে ও ২টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী ইংল্যান্ডের অবস্থা এতটাই বাজে যে, এই মুহুর্তে বাংলাদেশের বিপক্ষে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলা হলে তারা আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারবে না তারা জিতবেই।

মাঠের লড়াইয়ে যেহেতু মুখোমুখি হয়নি বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড, তাই বলা সম্ভব না কে জিতত। তবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে একটা জায়গায় ঠিকই ইংলিশদের পেছনে ফেলল টাইগাররা। ইংল্যান্ড শনিবার (১ মার্চ, ২০২৫) দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিধ্বস্ত হয়ে ৭ উইকেটে পরাজয় বরণ করে। ফলে বাংলাদেশ উঠে আসে ষষ্ঠ স্থানে আর ইংল্যান্ড শেষ করে তলানিতে থেকে।

এই ম্যাচে আবার বাংলাদেশি সমর্থকরা ইংল্যান্ডের হার কামনা করেছেন। কেননা থ্রি লায়ন্সরা হেরে গেলেই কেবল সাত নম্বর থেকে ষষ্ঠ স্থানে ওঠার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। তবে সমর্থকরা উদ্বেগ মূলত ষষ্ঠ স্থানের প্রাইজমানি নিয়ে ছিল।

আরো পড়ুন:

ভারতকে ২৪৯ রানের বেশি করতে দেয়নি নিউ জিল্যান্ড

বিরাটকে ৩০০তম ওয়ানডেতে বিরাট ধাক্কা দিলেন গ্লেন ‘জন্টি’ ফিলিপস

আইসিসি ঘোষিত প্রাইজমানি অনুযায়ী, সপ্তম ও অষ্টম দল প্রাইজমানি পাবে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার (প্রায় ১ কোটি ৬৯ লাখ ১৫ হাজার ৪০১ টাকা) করে। এ ছাড়া প্রতিটি দল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য পাবে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার (প্রায় ১ কোটি ৫১ লাখ ৩ হাজার ৩৭ টাকা) করে। মানে বাংলাদেশ দলের কোষাগারে প্রায় ৩ কোটি টাকা আগেই চলে এসেছিল।

তবে ষষ্ঠ স্থান অর্জন করে প্রাইজমানি হিসেবে বাংলাদেশ পাচ্ছে ৪ কোটি ২২ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের চেয়ে প্রায় তিন কোটি টাকা বেশি পেয়েছে বাংলাদেশ।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প র ইজম ন

এছাড়াও পড়ুন:

গণভোট নিয়ে মতভেদে উপদেষ্টা পরিষদের উদ্বেগ

জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুতত সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়। যদিও এর আগেই এক সংবাদ সম্মেলনে এমন কথায় জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

প্রেস উইং জানায়, জাতীয় ঐক্যমত কমিশন থেকে প্রণীত জুলাই সনদ এবং এর বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপনের প্রচেষ্টার জন্য এবং বহু বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।  

এতে বলা হয়, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) আদেশ চূড়ান্তকরণ এবং এতে উল্লেখিত গণভোট আয়োজন ও গণভোটের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে লক্ষ্য করা হয় যে, ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘদিন আলোচনার পরও কয়েকটি সংস্কারের সুপারিশ বিষয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। এছাড়া, গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে ও এর বিষয়বস্তু কী হবে এসব প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর  মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে সে জন্য সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে গণভোটের সময় কখন হবে, গণভোটের বিষয়বস্তু কী হবে, জুলাই সনদে বর্ণিত ভিন্নমতগুলো প্রসঙ্গে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা নিয়ে ঐক্যমত কমিশনের প্রস্তাবগুলোর আলোকে জরুরী ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে সভা অভিমত ব্যক্ত করে।

এসব ক্ষেত্রে ফ্যসিবাদবিরোধী আন্দোলনের দীর্ঘদিনের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে স্বীয় উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে দ্রুততম সময়ে ( সম্ভব  হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে) সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা প্রদান করার আহ্বান জানানো হয়। এমন নির্দেশনা পেলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেক সহজ হবে। বলেও উল্লেখ করা হয়। পরিস্থিতিতে কালক্ষেপণের যেকোনো সুযোগ নাই সেটাও সবার বিবেচনায় রাখার জন্য বলা হয়।

সভায় ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্থে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা না পেলে কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরা আলাপ-আলোচনা করে এই বিষয়েও আমাদের একটি ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবে—এ প্রত্যাশা করছি। ওনারা যদি আলাপ-আলোচনা করেন, আমাদের জন্য কাজটি অত্যন্ত সহজ হয়। ওনারা যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, অবশ্যই সরকার সরকারের মতো সিদ্ধান্ত নেবে।” 

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ