পুঁজিবাজারে কাগজ ও মুদ্রণ খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হাক্কানী পাল্প লিমিটেডের এক জন উদ্যোক্তা পরিচালক পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন করেছেন।

সোমবার (৩ মার্চ) চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

হাক্কানী পাল্প লিমিটেডের উদ্যোক্তা পরিচালক মোহম্মদ গোলাম মোরশেদ এ কোম্পানির ১ লাখ শেয়ার বিক্রি করেছেন। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্লক মার্কেটের মাধ্যমে বর্তমান বাজারদরে এসব শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি হাক্কানী পাল্প লিমিটেডের উদ্যোক্তা পরিচালক মোহাম্মদ গোলাম মোর্শেদ চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে কোম্পানির ১৪ লাখ ৬৬ হাজার ৬৬৬টি শেয়ারের মধ্যে থেকে ১ লাখ শেয়ার বিক্রি করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। তিনি পরবর্তী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সিএসইর মাধ্যমে বিদ্যমান বাজারমূল্যে কোম্পানির উল্লিখিত পরিমাণ শেয়ার বিক্রি করার ঘোষণা দেন।

ঢাকা/এনটি/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সেই রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যা ঘটেছিল

২৩ আগস্ট রাতে আমাদের গ্রেপ্তার

সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ,  ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামন, এই লেখক শেখ আবদুল আজিজ ও আবদুস সামাদ আজাদ—এই ৬ জনকে ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট একসঙ্গে গ্রেপ্তার করে আমাদের পল্টনে কন্ট্রোল রুমে একটি ভাঙা বাড়িতে নেওয়া হয়। আমরা বসা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সৈয়দ আহমদকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জনৈক কর্নেল ফারুককে অনুরোধ করেছিলেন।

কর্নেল ফারুক উত্তরে বলেছিলেন, ‘আপনাদের সবার ট্রায়াল এখানে হবে।’ আমাদের উদ্দেশ করে বলা হয়েছিল, ‘ইউ উইল হ্যাভ টু জাস্টিফাই ইয়োর করাপশন।’ এ কথা শুনে আমরা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, এটা কোর্ট নয়, আদালত নয়, কীভাবে এখানে বিচার হবে? এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরস্পরের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ইতিমধ্যে মেজর ডালিম এসে এইচ এম কামারুজ্জামানের সঙ্গে আস্তে আস্তে কথা বলতে লাগল। কামরুজ্জামান ডালিমকে বলেছিল, ‘এ রকম তো কথা ছিল না!’ তারপর ডালিম চলে গেল। আমাদের সামনে আমাদের সহানুভূতিশীল পুলিশ কর্মচারীরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। কিছু সময় পর তারা এসে বলল, ‘আপনারা এই গাড়ি ও মাইক্রোবাসে তাড়াতাড়ি ওঠেন; সেন্ট্রাল জেলে যেতে হবে।’ আমরা গাড়িতে উঠলাম এবং ভাবলাম, বেঁচে গেলাম। সেন্ট্রাল জেলে প্রবেশ করলাম। আমাদের নতুন জেলে থাকার জায়গা করে দেওয়া হলো।

শেখ আবদুল আজিজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ