সেমিফাইনালে না থেকেও অন্য এক ‘জয়ে’র আশায় পাকিস্তান
Published: 4th, March 2025 GMT
গাদ্দাফি স্টেডিয়ামটা বলতে গেলে ২৪ ঘণ্টাই চোখের সামনে থাকছে। কাল রাতে যেমন হোটেলের জানালা দিয়ে অনেকটা সময় ফ্লাডলাইট জ্বলে থাকার দৃশ্য চোখে পড়ল। নইলে এমনিতে রাতের বেলায় নিশতার পার্ক স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ভেতর গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের আশপাশের রাস্তায় ল্যাম্পপোস্টের বাতি ছাড়া আর কিছু জ্বলতে দেখা যায় না। প্রায় অন্ধকারে ঢেকে থাকে পুরো এলাকা। স্টেডিয়ামের এত কাছে থেকেও তাই বোঝার উপায় নেই এখানে একটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট চলমান এবং সেই টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনাল আজ!
আরও পড়ুনঢাকায় ইতালিয়ান নাগরিক খুন, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আর খেলাই হল না ফেকেটের৯ ঘণ্টা আগেসেটাই হওয়ার কথা, কারণ আজ তো আর সেমিফাইনাল লাহোরে হচ্ছে না। হচ্ছে দুবাইয়ে। ভারত–অস্ট্রেলিয়া প্রথম সেমিফাইনাল লাহোরে না হয়ে দুবাইয়ে কেন হচ্ছে, কেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালও সেখানেই হতে পারে; এসব অজানা নয় কারও। বিশ্ব ক্রিকেটে ভারতের কথাই শেষ কথা বলে পাকিস্তানকে হাইব্রিড চ্যাম্পিয়নস ট্রফির থিওরি মেনেই এই টুর্নামেন্টের আয়োজক হতে হয়েছে। ভারতের বিপক্ষে এমনকি স্বাগতিক পাকিস্তানকেও গিয়ে খেলতে হয়েছে দুবাইয়ে। ওদিকে শেষ চারের আগে সব দলই ফাঁকা সময়টা পাকিস্তানের চেয়ে দুবাইয়ে কাটানোটাকে শ্রেয় মনে হয়ছে। পাকিস্তানের দিক থেকে এসবের দারুণ জবাব হতে পারত, যদি পাকিস্তান দলটা টুর্নামেন্টে ভালো কিছু করত। সেমিফাইনালের আগেই তারা টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ায় তা হয়নি।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সব ম্যাচ দুবাইয়ে খেলছে ভারত.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ম ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?