শিক্ষার্থীদের কাছে সব পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দেওয়ার দাবি শিক্ষা সংস্কৃতি আন্দোলনের
Published: 5th, March 2025 GMT
অবিলম্বে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্তরের সব শিক্ষার্থীর কাছে সব পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষা সংস্কৃতি আন্দোলন।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির আহ্বায়ক মাহমুদ সেলিম ও সদস্য সচিব রুস্তম আলী খোকন।
বিবৃতিতে তারা বলেছেন, দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যথাসময়ে বই সরবরাহ না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বছরের প্রথম দুই মাস অতিক্রান্ত হয়ে তৃতীয় মাস চলছে। ইতোমধ্যে বিদ্যালয়গুলোতে চল্লিশ দিনের রমজানের ছুটি শুরু হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি, মাধ্যমিক স্তরে ৬ কোটি ২২ লাখ পাঠ্যপুস্তক এখনও ছাপা হয়নি। বিভিন্ন সূত্র জানাচ্ছে, কাগজসহ নানা সঙ্কটের কারণে এনসিটিবি চলতি মাসে সব বই পৌঁছে দেওয়ার ঘোষণা দিলেও প্রকৃতপক্ষে তা সম্ভব না।’
বিবৃতিতে শিক্ষাজীবন রক্ষায় অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের মাঝে সব বই তুলে দিতে প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান জাতীয় শিক্ষা সংস্কৃতি আন্দোলনের নেতারা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বই
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?