Prothomalo:
2025-11-03@09:14:35 GMT

মাদারীপুরের ক্যাকটাস ভুবনে

Published: 6th, March 2025 GMT

একটা ক্যাকটাস দেখে মনে হলো কেউ বুঝি গোশত কেটে টুকরা করে রেখেছে। অদ্ভুত চেহারা, কোনোভাবেই তাকে গাছ বলে মনে হচ্ছে না। নাম চকলেট ক্যাকটাস, তাই চেহারাটাকে গলে যাওয়া চকলেট ভাবলেও ভুল হবে না। এটা বেশ বড় গাদা করে জন্মে, অন্য ক্যাকটাসের মতো শক্ত নয়, কাণ্ডের অগ্রপ্রান্ত বা কিনারা খাঁজকাটা ও কোঁচকানো, সূক্ষ্ম²পশমের মতো কাঁটাও থাকে সেসব খাঁজের মাথায়। অন্য প্রজাতির ক্যাকটাসের কাণ্ডের মাথায় এই ক্যাকটাসের অংশজুড়ে তৈরি করা হয়েছে চকলেট ক্যাকটাসগাছ।

মাদারীপুর হর্টিকালচার সেন্টারে গিয়ে সম্প্রতি দেখা হলো বিচিত্র সব ক্যাকটাস।

একটি ক্যাকটাসের চ্যাপটা পুরু সবুজ পাতার মধ্যে দেখলাম খুদে খুদে ফোড়ার মতো হালকা উঁচু উঁচু গড়ন। অনেক শাখা–প্রশাখা নিয়ে গাছটা হাত দেড়েক লম্বা হয়েছে। এ রকম গাছ আমাদের গ্রামের অনেক জায়গায় চোখে পড়ে, কেউ কেউ বাড়ির বেড়া হিসেবে লাগায়, পদ্মের মতো পাপড়ি মেলে ফুল ফোটে। এ জন্য অনেক গাঁয়ে এ ক্যাকটাসকে বলে পদ্মসেজী, উদ্ভিদবিদেরা বলেন ওপানশিয়া, বাংলা নাম ফণীমনসা। আর একটা ক্যাকটাসের খেজুরগাছের মতো দেহে থাকে খাঁজকাটা, ডালপালার মতো অঙ্গ, মাঝের প্রধান কাণ্ডটির মাথায় কয়েকটি ম্যাজেন্টা রঙের ফুল। এটি একধরনের ইউফরবিয়া, উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম ইউফরবিয়া টুলিয়রেনসিস।

কোনো কোনো ক্যাকটাসের গায়ে কাঁটাভর্তি, কোনোটার গায়ে কাঁটা নেই, আছে চিত্র–বিচিত্র নকশা। কোনোটার কাঁটাগুলো আবার কোমল, কোনোটার কাঁটা খুবই তীক্ষ্ণ ও শক্ত। কোনোটার রং সবুজ, কোনোটার রং লাল, কোনোটার আবার নীল। নীল রঙের চ্যাপটা গোলাকার একটি ক্যাকটাস চোখে পড়ল, কাঁটা দেখলাম না তাতে, ইংরেজি নাম ডিভাইন ক্যাকটাস, উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম লোফোপোরা উইলিয়ামসি। কাঁটাবিহীন এই ক্যাকটাসের মাথা গভীরভাবে পাঁচটি খাদে বিভক্ত, কেন্দ্রে একটা হালকা গোলাপি রঙের ফুল ফোটে গরমকালে। ডিভাইন ক্যাকটাসের জন্ম মেক্সিকোয়।

ডিভাইন ক্যাকটাস.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রপ্তানিকারকদের সুবিধা বাড়ল, বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব থেকে সোয়াপ করে টাকা তোলা যাবে

রপ্তানিকারকদের সুবিধা বাড়ল। এখন থেকে রপ্তানিকারকেরা নিজেদের বৈদেশিক মুদ্রা (এফসি) হিসাব থেকে সোয়াপের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন।

আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোকে ৩০ দিনের পুলে রক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রা এবং রপ্তানিকারকের রিটেনশন কোটা (ইআরকিউ) হিসাবের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রা-টাকা সোয়াপ চুক্তি করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সোয়াপ কী

সার্কুলার অনুসারে, আলোচ্য সোয়াপ চুক্তি বলতে একটি নির্দিষ্ট হারে ও মেয়াদে টাকার বিনিময়ে বৈদেশিক মুদ্রার স্পট ক্রয় এবং একই সঙ্গে একটি নির্ধারিত তারিখে পুনঃবিক্রয়ের ব্যবস্থাকে বোঝাবে। এ ক্ষেত্রে রপ্তানিকারকের নিজস্ব উৎসের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহৃত হবে। সোয়াপের মেয়াদ ইআরকিউ তহবিলের ব্যবহারযোগ্য মেয়াদের বেশি হতে পারবে না এবং ৩০ দিনের পুল তহবিলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০ দিন মেয়াদি সোয়াপ করা যাবে।

সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, সোয়াপের হার নির্ধারণে বাজারভিত্তিক বা খরচভিত্তিক সুদ বা মুনাফার পার্থক্য বিবেচনায় নেওয়া যাবে। আলোচ্য সোয়াপ লেনদেনকে ঋণ বা অর্থায়ন সুবিধা হিসেবে গণ্য করা হবে না। সোয়াপের মাধ্যমে প্রাপ্ত টাকা শুধু রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চলতি মূলধনের চাহিদা মেটাতে ব্যবহার করা যাবে। কোনো ফটকা উদ্দেশ্যে ওই অর্থ ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

শিল্প খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের এ উদ্যোগের কারণে রপ্তানিকারকদের স্বল্পমেয়াদি তারল্য চাপ কমাতে সহায়তা করবে। এতে প্রচলিত রপ্তানি ঋণের ওপর নির্ভর না করেও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চালাতে পারবেন। পাশাপাশি এটি বাজারভিত্তিক বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনাকেও উৎসাহিত করবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ