Prothomalo:
2025-08-01@20:48:39 GMT

মাদারীপুরের ক্যাকটাস ভুবনে

Published: 6th, March 2025 GMT

একটা ক্যাকটাস দেখে মনে হলো কেউ বুঝি গোশত কেটে টুকরা করে রেখেছে। অদ্ভুত চেহারা, কোনোভাবেই তাকে গাছ বলে মনে হচ্ছে না। নাম চকলেট ক্যাকটাস, তাই চেহারাটাকে গলে যাওয়া চকলেট ভাবলেও ভুল হবে না। এটা বেশ বড় গাদা করে জন্মে, অন্য ক্যাকটাসের মতো শক্ত নয়, কাণ্ডের অগ্রপ্রান্ত বা কিনারা খাঁজকাটা ও কোঁচকানো, সূক্ষ্ম²পশমের মতো কাঁটাও থাকে সেসব খাঁজের মাথায়। অন্য প্রজাতির ক্যাকটাসের কাণ্ডের মাথায় এই ক্যাকটাসের অংশজুড়ে তৈরি করা হয়েছে চকলেট ক্যাকটাসগাছ।

মাদারীপুর হর্টিকালচার সেন্টারে গিয়ে সম্প্রতি দেখা হলো বিচিত্র সব ক্যাকটাস।

একটি ক্যাকটাসের চ্যাপটা পুরু সবুজ পাতার মধ্যে দেখলাম খুদে খুদে ফোড়ার মতো হালকা উঁচু উঁচু গড়ন। অনেক শাখা–প্রশাখা নিয়ে গাছটা হাত দেড়েক লম্বা হয়েছে। এ রকম গাছ আমাদের গ্রামের অনেক জায়গায় চোখে পড়ে, কেউ কেউ বাড়ির বেড়া হিসেবে লাগায়, পদ্মের মতো পাপড়ি মেলে ফুল ফোটে। এ জন্য অনেক গাঁয়ে এ ক্যাকটাসকে বলে পদ্মসেজী, উদ্ভিদবিদেরা বলেন ওপানশিয়া, বাংলা নাম ফণীমনসা। আর একটা ক্যাকটাসের খেজুরগাছের মতো দেহে থাকে খাঁজকাটা, ডালপালার মতো অঙ্গ, মাঝের প্রধান কাণ্ডটির মাথায় কয়েকটি ম্যাজেন্টা রঙের ফুল। এটি একধরনের ইউফরবিয়া, উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম ইউফরবিয়া টুলিয়রেনসিস।

কোনো কোনো ক্যাকটাসের গায়ে কাঁটাভর্তি, কোনোটার গায়ে কাঁটা নেই, আছে চিত্র–বিচিত্র নকশা। কোনোটার কাঁটাগুলো আবার কোমল, কোনোটার কাঁটা খুবই তীক্ষ্ণ ও শক্ত। কোনোটার রং সবুজ, কোনোটার রং লাল, কোনোটার আবার নীল। নীল রঙের চ্যাপটা গোলাকার একটি ক্যাকটাস চোখে পড়ল, কাঁটা দেখলাম না তাতে, ইংরেজি নাম ডিভাইন ক্যাকটাস, উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম লোফোপোরা উইলিয়ামসি। কাঁটাবিহীন এই ক্যাকটাসের মাথা গভীরভাবে পাঁচটি খাদে বিভক্ত, কেন্দ্রে একটা হালকা গোলাপি রঙের ফুল ফোটে গরমকালে। ডিভাইন ক্যাকটাসের জন্ম মেক্সিকোয়।

ডিভাইন ক্যাকটাস.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা

আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’

স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।

ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’

আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ