Prothomalo:
2025-06-16@17:03:50 GMT

মাদারীপুরের ক্যাকটাস ভুবনে

Published: 6th, March 2025 GMT

একটা ক্যাকটাস দেখে মনে হলো কেউ বুঝি গোশত কেটে টুকরা করে রেখেছে। অদ্ভুত চেহারা, কোনোভাবেই তাকে গাছ বলে মনে হচ্ছে না। নাম চকলেট ক্যাকটাস, তাই চেহারাটাকে গলে যাওয়া চকলেট ভাবলেও ভুল হবে না। এটা বেশ বড় গাদা করে জন্মে, অন্য ক্যাকটাসের মতো শক্ত নয়, কাণ্ডের অগ্রপ্রান্ত বা কিনারা খাঁজকাটা ও কোঁচকানো, সূক্ষ্ম²পশমের মতো কাঁটাও থাকে সেসব খাঁজের মাথায়। অন্য প্রজাতির ক্যাকটাসের কাণ্ডের মাথায় এই ক্যাকটাসের অংশজুড়ে তৈরি করা হয়েছে চকলেট ক্যাকটাসগাছ।

মাদারীপুর হর্টিকালচার সেন্টারে গিয়ে সম্প্রতি দেখা হলো বিচিত্র সব ক্যাকটাস।

একটি ক্যাকটাসের চ্যাপটা পুরু সবুজ পাতার মধ্যে দেখলাম খুদে খুদে ফোড়ার মতো হালকা উঁচু উঁচু গড়ন। অনেক শাখা–প্রশাখা নিয়ে গাছটা হাত দেড়েক লম্বা হয়েছে। এ রকম গাছ আমাদের গ্রামের অনেক জায়গায় চোখে পড়ে, কেউ কেউ বাড়ির বেড়া হিসেবে লাগায়, পদ্মের মতো পাপড়ি মেলে ফুল ফোটে। এ জন্য অনেক গাঁয়ে এ ক্যাকটাসকে বলে পদ্মসেজী, উদ্ভিদবিদেরা বলেন ওপানশিয়া, বাংলা নাম ফণীমনসা। আর একটা ক্যাকটাসের খেজুরগাছের মতো দেহে থাকে খাঁজকাটা, ডালপালার মতো অঙ্গ, মাঝের প্রধান কাণ্ডটির মাথায় কয়েকটি ম্যাজেন্টা রঙের ফুল। এটি একধরনের ইউফরবিয়া, উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম ইউফরবিয়া টুলিয়রেনসিস।

কোনো কোনো ক্যাকটাসের গায়ে কাঁটাভর্তি, কোনোটার গায়ে কাঁটা নেই, আছে চিত্র–বিচিত্র নকশা। কোনোটার কাঁটাগুলো আবার কোমল, কোনোটার কাঁটা খুবই তীক্ষ্ণ ও শক্ত। কোনোটার রং সবুজ, কোনোটার রং লাল, কোনোটার আবার নীল। নীল রঙের চ্যাপটা গোলাকার একটি ক্যাকটাস চোখে পড়ল, কাঁটা দেখলাম না তাতে, ইংরেজি নাম ডিভাইন ক্যাকটাস, উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম লোফোপোরা উইলিয়ামসি। কাঁটাবিহীন এই ক্যাকটাসের মাথা গভীরভাবে পাঁচটি খাদে বিভক্ত, কেন্দ্রে একটা হালকা গোলাপি রঙের ফুল ফোটে গরমকালে। ডিভাইন ক্যাকটাসের জন্ম মেক্সিকোয়।

ডিভাইন ক্যাকটাস.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

২০২৬ সালের হজের রোডম্যাপ, ১২ অক্টোবরের মধ্যে নিবন্ধন

আগামী বছরে হজে যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি হজযাত্রীদের চলতি বছরের ১২ অক্টোবরের মধ্যে নিবন্ধন শেষ করতে হবে। একই সঙ্গে নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মে হজযাত্রীদের তথ্য আপলোড এবং গ্রুপ গঠন শুরু করতে হবে।

এই সময়সীমা বে‌ধে দি‌য়ে গত ৮ জুন ২০২৬ সালের হজের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে সৌদি সরকার।

রোডম‌্যা‌পের নি‌র্দেশনা অনুযায়ী সৌদি সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের ৯ ন‌ভেম্বর হজচুক্তি সম্পন্ন হ‌বে। আগামী ১০ জুলাই হজের কোটা ঘোষণা করবে সৌদি সরকার। তাছাড়া বা‌ড়ি ভাড়া, প‌রিবহনসহ অন‌্যান‌্য প্রক্রিয়া শেষ করার পর হজযাত্রীদের ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে ২০২৬ সা‌লের ৮ ফেব্রুয়ারি। ভিসা দেওয়ার কার্যক্রম চলবে ২০ মার্চ পর্যন্ত এবং হজ ফ্লাইট শুরু হবে ১৮ এপ্রিল।

আরো পড়ুন:

ইউরোপীয় গুপ্তচর যেভাবে মক্কায় ঢুকেছিলেন

প্রথম ফিরতি ফ্লাইটে দেশে ফিরলেন ৩৬৯ হাজি

এদিকে, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) ও হজ কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সৌ‌দি সরকা‌রের হ‌জের রোডম‌্যা‌প অবহিত ক‌রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রোববার (১৫ জুন) ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে চি‌ঠি পাঠানো হয়েছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের চি‌ঠি‌তে আরও বলা হ‌য়ে‌ছে, মেডিকেল ফিটনেস ছাড়া কোনো হজযাত্রী হজে যেতে পারবেন না। বিশেষ করে হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার সিরোসিস, কিডনি রোগে আক্রান্ত, নিউরোলজিক্যাল, মানসিক রোগ, ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা, সংক্রামক যক্ষ্মা এবং কেমোথেরাপি/রেডিওথেরাপি গ্রহণকারী ক্যানসার আক্রান্ত রোগী হজের নিবন্ধন করতে পারবেন না।

সৌ‌দি স‌রকা‌রের রোডম্যাপ অনুযায়ী, নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ক্যাম্পের তথ্য অবলোকন এবং অর্থ স্থানান্তরের সুবিধা চালু হবে ২৬ জুলাই। ৯ থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত চলতি হজের ক্যাম্পগুলো আগামী হজ মৌসুমে গ্রহণের সুযোগ থাকবে। নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে (ক্যাম্পের ভাড়া ও মাশায়ের প্যাকেজ) চুক্তি করা যাবে।
২৪ আগস্টের মধ্যে নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সেবা প্যাকেজ, আবাসন এবং পরিবহনের চুক্তি শুরু এবং হজযাত্রী পরিবহনের এয়ারলাইন্স নিয়োগ ও ফ্লাইট সময়সূচি প্রস্তুত করতে হবে। ৯ নভেম্বর বাংলাদেশ সরকার ও সৌদি সরকারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক হজচুক্তি স্বাক্ষর হবে।

‘হজ সম্মেলন ও প্রদর্শনীতে’ সেবা প্রদানকারী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সেবা চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে সেবা প্যাকেজের (তাঁবু ভাড়া মাশায়ের প্যাকেজ) প্রয়োজনীয় অর্থ পাঠাতে হবে।

আগামী বছরের ৪ জানুয়ারি নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে সেবা গ্রহণের (তাঁবু ভাড়া+মাশায়ের প্যাকেজ) চূড়ান্ত চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে। একইসঙ্গে এয়ারলাইন্স ও ফ্লাইট সিডিউল চূড়ান্ত করতে হবে। আগামী বছর ২০ জানুয়ারি মক্কা ও মদিনায় হজযাত্রীদের বাড়ি/হোটেল এবং পরিবহন চুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ স্থানান্তর শুরু হবে।

নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মক্কা ও মদিনায় হজযাত্রীদের জন্য বাড়ি/হোটেল ভাড়া এবং পরিবহনের চুক্তি চূড়ান্ত করতে হবে। ৮ ফেব্রুয়ারি হজযাত্রীদের ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং চলবে ২০ মার্চ পর্যন্ত।

রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী বছরের ১৮ এপ্রিল হজের উদ্দেশ্যে হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হবে। ২০২৬ সালের হজে হজযাত্রীদের জন্য সর্বোচ্চ দুইটি সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করা যাবে। নুসুক মাসার প্লাটফর্মে আগামী ১০ জুলাই হজ কোটা ঘোষণা করা হবে।

আগামী বছরের হজে সব ধরনের চুক্তি এবং সেবা সংক্রান্ত পেমেন্ট নুসুক মাসার প্লাটফর্মে সম্পন্ন করতে হবে। এর বাইরে কোনো পেমেন্ট কঠোরভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। সব হজযাত্রীর কোরবানির অর্থ নুসুক মাসার প্লাটফর্মে আবশ্যিকভাবে জমা দিতে হবে। হজযাত্রীদের খাবারের জন্য সৌদি ক্যাটারিং কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। এছাড়া হজযাত্রী ব্যবস্থাপনার কাজে হজে গমনকারীদের তাঁবু, সার্ভিস প্যাকেজ এবং পরিবহন সেবামূল্য দেওয়া বাধ্যতামূলক।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ