সৌদিতে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের কর্মকর্তারা
Published: 7th, March 2025 GMT
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের জন্য শান্তি চুক্তির কাঠামো নিয়ে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে সৌদি আরবে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের কর্মকর্তারা। দুই দেশের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে শুক্রবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার ইউক্রেনীয় প্রতিপক্ষ ভলোদিমির জেলেনস্কির হোয়াইট হাউসে বাদানুবাদের কয়েকদিন পর চলতি সপ্তাহে ওয়াশিংটন কিয়েভের সাথে সামরিক সহায়তা এবং গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি স্থগিত করে। এরপরেই ওয়াশিংটন ও কিয়েভের কর্মকর্তাদের সম্ভাব্য এই বৈঠকের খবর এলো।
ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি আগামী সপ্তাহে সৌদি আরবে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করে শান্তি চুক্তির কাঠামো তৈরি করবেন।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের বাইরে সাংবাদিকদের উইটকফ বলেন , “আমরা এখন রিয়াদ অথবা সম্ভাব্যভাবে জেদ্দায় ইউক্রেনীয়দের সাথে একটি বৈঠকের সমন্বয়ের জন্য আলোচনা করছি। তাই শহরটি এখনও অনিশ্চিত, তবে এটি সৌদি আরবেই হবে।”
বৈঠকের আলোচ্য সূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি মনে করি ধারণাটি হল একটি শান্তি চুক্তি এবং প্রাথমিক যুদ্ধবিরতির জন্য একটি কাঠামো তৈরি করা।”
একই দিন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি সোমবার একদল কর্মকর্তার সাথে সৌদি আরব সফর করবেন এবং মার্কিন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করার পরিকল্পনা করছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, “যুবরাজের সঙ্গে দেখা করার জন্য আমার সৌদি আরব সফরের কথা রয়েছে। এরপর, আমার দল আমেরিকান অংশীদারদের সাথে কাজ করার জন্য সৌদি আরবে থাকবে। ইউক্রেন শান্তিতে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত দ র র কর মকর ত ইউক র ন য র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।
কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।
নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।
জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’
কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’