ঢাকার বনশ্রী এলাকায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনকে গুলি করে স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে স্বর্ণালংকার ও অবৈধ অস্ত্র।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক খুদে বার্তায় এ কথা জানানো হয়েছে।

ডিএমপি জানিয়েছে, ওই ছয়জনকে গতকাল শুক্রবার অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তাঁদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

আরও পড়ুনবনশ্রীতে গুলি করে স্বর্ণালংকার লুটের ভিডিও ভাইরাল, ‘ও আম্মা গো’ বলে বারবার চিৎকার২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

এ বিষয়ে আজ শনিবার দুপুরে সংবাদমাধ্যমের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরবেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো.

সাজ্জাত আলী।

২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে বনশ্রী এলাকায় আনোয়ার হোসেনকে (৪২) গুলি করে দুর্বৃত্তরা। বনশ্রী ডি ব্লকে তাঁর স্বর্ণের দোকান রয়েছে। প্রতিদিনের মতো সেই রাতেও তিনি দোকান থেকে বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় তিনটি মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা তাঁকে ঘিরে ধরে। পরে আনোয়ারের কাছে থাকা স্বর্ণালংকার লুট করা হয়।

আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আনোয়ারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই সময় হাসপাতাল সূত্র জানায়, আনোয়ারের শরীরে গুলি ও কোপের চিহ্ন রয়েছে।

আরও পড়ুনবনশ্রীতে বাসার সামনে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি, ‘২০০ ভরি স্বর্ণালংকার’ ছিনতাই২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

পরে স্বর্ণ ব্যবসায়ী আনোয়ার পুলিশকে জানান, তাঁর কাছ থেকে ২০০ ভরি স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।

স্বর্ণ লুটের এ ঘটনায় ৩২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

আরও পড়ুনস্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দায় এড়াবেন কীভাবে২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স বর ণ ল ক র ব যবস য় বনশ র

এছাড়াও পড়ুন:

ঝিনাইদহে ছেলের হাতে বাবা খুন

ঝিনাইদহে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের কোদালের কোপে শাহাদত হোসেন (৬৩) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফয়সাল হোসেনকে (২২) আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৬ জুন) সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাহাদত হোসেন ওই গ্রামের তাইজেল হোসেনের ছেলে।

নিহতের স্বজনেরা অভিযোগ করেন, সকাল ১০টার দিকে শাহাদত হোসেন ছেলে ফয়সাল হোসেনকে সাথে নিয়ে মাঠে কাজ করতে যান। কাজ করার ফাঁকে ফয়সাল কোদাল দিয়ে তার বাবার মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে মৃত বাবাকে মাঠে রেখে বাড়িতে গিয়ে মাকে পুরো ঘটনা জানান ফয়সাল। স্বজনেরা দ্রুত মাঠে গিয়ে শাহাদতের লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন।

আরো পড়ুন:

কারাগারে ‘ফাঁস নিলেন’ জুলাই-আগস্ট হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সুজন

মহাসড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ফয়সাল হোসেন দুই বছর ধরে মানসিক বিকারগ্রস্ত। পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে কিছুদিন আগে বাড়িতে ফিরেছেন।

ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘‘অভিযুক্ত ফয়সালকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ