বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে ডাকাতির ঘটনায় নেতৃত্ব দেন কাউসার: ডিএমপি কমিশনার
Published: 8th, March 2025 GMT
রাজধানীর বনশ্রীতে একজন সোনা ব্যবসায়ীকে গুলি করে ডাকাতির ঘটনায় ছয়জন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা সবাই সংঘবদ্ধ দলের সদস্য বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. কাউছার (৩১), মো. ফরহাদ (৬৪), মো. খলিলুর রহমান (৫০), মো. সুমন (৩০), দুলাল চৌধুরী (৪৩) ও মো. আমিনুল (৩৫)। তাঁদের মধ্যে মো. কাউসার বনশ্রীতে এ ডাকাতির ঘটনার নেতৃত্বে ছিলেন।
আজ শনিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন ডিএমপির কমিশনার শেখ মো.
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ওই ঘটনায় খোয়া যাওয়া চার ভরি সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা, একটি রিভলবার ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে সোনা ব্যবসায়ীর দাবি, তাঁর ২০০ ভরি সোনা নিয়ে গেছে ডাকাতেরা।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, বনশ্রীতে সশস্ত্র ডাকাতির ওই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে জনমনে আতঙ্ক তৈরি হয়। মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা বেড়ে যায়। সে জন্য ডাকাতির ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব ডিবিকে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় সাতজন জড়িত হলেও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা গেছে।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে বনশ্রী এলাকায় আনোয়ার হোসেনকে (৪২) গুলি করে দুর্বৃত্তরা। বনশ্রী ডি ব্লকে তাঁর সোনার দোকান রয়েছে। প্রতিদিনের মতো সেই রাতেও তিনি দোকান থেকে বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় তিনটি মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা তাঁকে ঘিরে ধরে। পরে আনোয়ারের কাছে থাকা স্বর্ণালংকার লুট করা হয়।
আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আনোয়ারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই সময় হাসপাতাল সূত্র জানায়, আনোয়ারের শরীরে গুলি ও কোপের চিহ্ন রয়েছে।
সোনা লুটের এ ঘটনায় ৩২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ড ক ত র ঘটন বনশ র ত ঘটন য় ড এমপ
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, চালক আটক
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে চলন্ত বাসে এক কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে বাসচালককে আটক করেছেন স্থানীয়রা। এসময় পালিয়ে গেছেন চালকের সহকারী।
রবিবার (১৫ জুন) দিবাগত রাত ১০টার দিকে উপজেলার আউশকান্দির তিনতালাব পুকুরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক বাসচালক সাব্বির মিয়া (২৫) উপজেলার ইনাতাবাদ বাংলাবাজার এলাকার ছাতির আলীর ছেলে। পালিয়ে যাওয়া হেলপার লিটন মিয়া সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বাসিন্দা।
নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো. দুলাল মিয়া বলেন, ‘‘রবিবার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের উদ্দেশে বাসে উঠেন ওই কলেজছাত্রী। শায়েস্তাগঞ্জে নামার কথা থাকলেও বাসে ঘুমিয়ে পড়ায় তাকে নামিয়ে দেওয়া হয় শেরপুরে। পরে বাড়ি ফেরার জন্য মা এন্টারপ্রাইজের একটি লোকাল বাসে উঠেন তিনি। বাসটি আউশকান্দিতে পৌঁছালে অন্য যাত্রীরা নেমে যান। এরপর চালক ও হেলপার ওই ছাত্রীকে বাসের ভেতরে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগীর চিৎকারে স্থানীয়রা বাস থামিয়ে চালককে ধরে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেন। এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে।’’
আরো পড়ুন:
রাজবাড়ীতে ২ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
ঢাকা/মামুন/রাজীব