চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভ্রমণ: নিউ জিল্যান্ড ৭,১৫০ কিলোমিটার, ভারত ০
Published: 9th, March 2025 GMT
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালের আগের রাতে বিতর্ক যেন আরো একটু উসকে দিলেন পাকিস্তানের সাবেক পেসার জুনায়েদ খান। ২০১৭ সালে সবশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতকে হারিয়ে পাকিস্তানকে শিরোপা জেতানোতে ভূমিকায় ছিলেন জুনায়েদ। এবার তিনি দর্শকের ভূমিকায়।
তবে দর্শকের ভূমিকায় থেকেও ভারতের ‘পিছু ছাড়ছেন না’ জুনায়েদ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কড়া সমালোচনা করে লিখেছেন, ‘কিছু দল স্কিলের কারণে জিতে যায়। কেউ কেউ সিডিউলের কারণে।’ জুনায়েদের সমালোচনার তীর যে ভারতের দিকে তা বুঝতে বাকি নেই কারোরই।
কেননা ভারত এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলছে দুবাইয়ে। পাকিস্তান স্বাগতিক হওয়ায় ভারত সফর থেকে পাকিস্তান সফরের অনুমতি পাননি রোহিত-কোহলিরা। তাই বাধ্য হয়ে পাকিস্তানকে হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করতে হয়। যেখানে ভারত তাদের সবগুলো ম্যাচ খেলে দুবাইয়ে। অার তাদের বিপক্ষে যারা খেলেছে প্রত্যেকেকে পাকিস্তান, দুবাই সফর করতে হয়েছে।
ভারত দুবাইয়ে স্থির থেকে কোনো ভ্রমণক্লান্তি ছাড়া গ্রুপ পর্ব থেকে ফাইনাল পর্যন্ত সবকটি ম্যাচ খেলেছে। নিউ জিল্যান্ডকে শুরুতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে হয়েছে করাচিতে। এরপর বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ খেলে রাওয়ালপিণ্ডিতে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলতে তাদের উড়াল দিতে হয় দুবাই।
এরপর সেমিফাইনাল ম্যাচ খেলতে কেন উইলিয়ামসন, টম লাথামদের যেতে হয় লাহোরে। সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে তারা পায় ফাইনালের টিকিট। এখন ফাইনাল খেলতে নিউ জিল্যান্ড এখন দুবাইয়ে।
সব মিলিয়ে নিউ জিল্যান্ড চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে ভ্রমণ করেছে ৭, ১৫০ কিলোমিটার। ভারত করেছে শূন্য কিলোমিটার। দক্ষিণ আফ্রিকা ৩, ২৮৬ কিলোমিটার।
জুনায়েদ খান এক্স-অ্যাকাউন্টে সে-ই কথাই তুলে ধরেছেন, ‘‘২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ম্যাচগুলির মধ্যে ভ্রমণ করা দলগুলোর দূরত্বের পরিমান:
নিউ জিল্যান্ড: ৭,১৫০ কিলোমিটার
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩,২৮৬ কিলোমিটার
ভারত: ০ কিলোমিটার’’
ভারতের পাশে জুনায়েদ বাড়ির ইমোজি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন ভারত স্বাগতিক হয়ে এই প্রতিযোগিতায় খেলছে।
শুধু ভ্রমণঝাক্কিই শেষ কথা নয়। নিউ জিল্যান্ড একেক কন্ডিশনে খেলছে। একেক উইকেটে পরীক্ষা দিচ্ছে। সেখানে ভারত একই ভেনু্য, প্রায় একই ধরণের কন্ডিশন ও উইকেটে খেলে ‘অভ্যস্ত’ হয়ে গেছে। সব কিছু মিলিয়ে প্রবল সমালোচনায় বিদ্ধ তারা। যদিও টুর্নামেন্টের শুরু থেকে ভারত দাবি করে আসছে, বাড়তি কোনো সুবিধাই তারা পাচ্ছে না। তাদেরকেও কন্ডিশনের সঙ্গে, উইকেটের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হচ্ছে।
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা
লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে পা রাখেন পিয়া বিপাশা। এরপর অভিনয় করেছেন মিউজিক ভিডিও, নাটক ও সিনেমায়। কিন্তু হুট করেই নাই হয়ে গেলেন। পরে জানা গেল অভিনেত্রী আমেরিকায়। গেল পাঁচ বছর সেখানেই বাস করছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রবাসজীবনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
পিয়া বিপাশা জানান, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে তাঁর প্রেম ও ভালোবাসা তৈরি হয়। তারপর তাঁরা বিয়ে করেন। দুজনে মিলে বিয়ে করলেও আনুষ্ঠানিকতা সারেননি। চলতি বছরের শেষ দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়ার ইচ্ছা।
পিয়া বিপাশা বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালো লাগত না। কারণ, লবিং ছাড়া কাজ হতো না। ভালো একটা সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এরপর আমার মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছাই নষ্ট হয়ে যায়। আমি আসলে কাজ করতে চেয়েছিলাম টাকা কামানোর জন্য। কাজ না করতে পারলে টাকা কামাব কী করে। তাই সিদ্ধান্ত নিই অন্য কিছু করার।’
বিপাশার কথায়, ‘টাকা রোজগারের জন্য আমি বিনোদন অঙ্গনে কাজ করেছিলাম। কারণ, আমার একটা মেয়ে ছিল। মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকার বিষয় ছিল। পরে দেখলাম, যেভাবে কাজ হয়, আমাকে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, আমেরিকায় চলে আসার। এখানে এসে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। অনেক টাকাও আয় করছি।’
পিয়া বিপাশা বলেন, ‘সত্যি বলতে এখন আমার এমন অবস্থা, টাকা ইনকাম না করলেও হয়। যতটুকুই করি, আমার মেয়ে ও হাজব্যান্ড ওরাই বলে। আমার এখন আর কোনো স্বপ্ন নেই। যা চেয়েছি, গত পাঁচ বছরে সবই পেয়েছি। টাকাপয়সা, সুন্দর জীবন, প্রতিষ্ঠিত হওয়া, ভালো স্বামী—সবই আমার হয়েছে। টাকা নিয়ে এখন কোনো চিন্তা নেই আমার—যা আয় করি, তা ব্যয় করার সময় পাই না।’
পিয়া বিপাশা জানান, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্যের যেসব পোস্ট করেন, তার জন্য বেশ ভালো সম্মানী পান। তাঁর দাবি, এই সম্মানী কখনো দুই হাজার ডলার, আবার কখনো তিন হাজার ডলারের মধ্যে।
২০১৩ সালে ‘দ্বিতীয় মাত্র’ নাটকে তাহসান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। ছোটবেলায় রূপকথার বই পড়তে পছন্দ করতেন। বই পড়ার সময় গল্পের নায়িকার চরিত্রে নিজেকে কল্পনাও করতেন। বড় পর্দায়ও অভিনয় করেছিলেন। ‘রুদ্র: দ্য গ্যাংস্টার’ নামের সেই ছবি মুক্তি পায়। এরপর ‘রাজনীতি’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। পরে সেই ছবিতে পিয়া বিপাশার পরিবর্তে অপু বিশ্বাস অভিনয় করেন।