দেশের বাজারে ৬ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের শক্তিশালী ব্লু-ভোল্ট ব্যাটারিযুক্ত নতুন স্মার্টফোন এনেছে ভিভো। ‘ভিভো ভি৫০ ফাইভজি’ মডেলের ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনটিতে ৯০ ওয়াটের ফ্ল্যাশচার্জ প্রযুক্তি থাকায় মাত্র ১০ মিনিট চার্জ করে ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত কথা বলা যায়। ২৫৬ গিগাবাইট ধারণক্ষমতার ফোনটির দাম ধরা হয়েছে ৬২ হাজার ৯৯৯ টাকা। আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ভিভো বাংলাদেশ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফোনটির সামনে-পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেলের তিনটি জাইসেল ক্যামেরা থাকায় সহজেই উচ্চ রেজল্যুশনের পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফি করা যায়। রয়েছে সিআইপিএ ৪.

০ ডিএসএলআর লেভেলের স্ট্যাবিলাইজেশন সুবিধাও। এর ফলে ছবি তোলার সময় হাত নড়ে গেলেও ভালো মানের ছবি তোলা যায়।

স্ট্যারি ব্লু ও স্যাটিন ব্ল্যাক রঙে বাজারে আসা ফোনটিতে কোয়ালকম স্নাপড্রাগন ৭ জেন ৩ প্রসেসরসহ ১২ গিগাবাইট র‍্যাম রয়েছে, যা আরও ১২ গিগাবাইট পর্যন্ত বাড়ানো যায়। ফলে একসঙ্গে একাধিক কাজ দ্রুত করা সম্ভব। আইপি৬৮-৬৯ ডাস্ট ও ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স প্রযুক্তি থাকায় ফোনটি ভিজলে নষ্ট হয় না, ধুলাও জমে না।

এআই প্রযুক্তি সমর্থন করায় ফোনটিতে গুগল জেমিনি এআই চ্যাটবট ব্যবহারের পাশাপাশি ভিভোর এআই ট্রান্সস্ক্রিপ্ট, লাইভ টেক্সটের মতো বিভিন্ন স্মার্ট প্রযুক্তি সহজেই ব্যবহার করা সম্ভব।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা

‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’

এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন। 

এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী  বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’

প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’

প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ