সৌদি আরবের তায়েফে ভারতের বিপক্ষে এএফসি বাছাইপর্বের প্রস্তুতি হিসেবে কন্ডিশনিং ক্যাম্পে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। সোমবার (১০ মার্চ) অনুশীলনের বিরতিতে সময়কে কাজে লাগিয়ে দলের মুসলিম খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ ও ম্যানেজমেন্টের সদস্যরা পবিত্র ওমরাহ পালন করেছেন।

দলের ম্যানেজার আমের খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আজ আমাদের অনুশীলনের বিরতি ছিল। এই সুযোগে দলের ভেতর বন্ধন দৃঢ় করতে আমরা ওমরাহ পালনের সিদ্ধান্ত নিই। এমন একটি পবিত্র স্থানে এসে ওমরাহ না করতে পারলে খারাপ লাগত। এই পরিকল্পনাটি হঠাৎ করেই নেওয়া হয়েছে।’

দলের ফরোয়ার্ড রহমত জানান, ‘আমি আগেও ফুটবল দলের সঙ্গে দুবার ওমরাহ করার সুযোগ পেয়েছি। এবার হলো তৃতীয়বার। এটা সব মুসলমানের জন্য শান্তির জায়গা। সৌদিতে আসার সুযোগে ওমরাহ করতে পারাটা সত্যিই সৌভাগ্যের। এটি আমাদের মনোসংযোগ বাড়াতে সাহায্য করবে।’

দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘গত ২-৩ বছর আমরা সৌদিতে অনুশীলন ক্যাম্প করেছি। প্রতিবারই আমরা ওমরাহ পালনের সুযোগ পেয়েছি। সবাই একসঙ্গে ওমরাহ করতে পারাটা দলের জন্য ইতিবাচক। আমাদের জন্য দোয়া করবেন, যেন ভারতের বিপক্ষে ভালো ফল করতে পারি।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ল দ শ ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ